কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দী অবস্থায় একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫) নামে এক হাজতির মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এরশাদের পরিবার পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ করলেও পুলিশ বলছে, তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁকে ধরতে গেলে উল্টো পুলিশের ওপর হামলা করতেন। মাদক ব্যবসা ও সেবনসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।
একরামুল হোসেন এরশাদ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে। মাদক মামলায় তিনি এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
গত বুধবার (৩১ মে) এরশাদকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এরশাদের পরিবারের দাবি, পুলিশি নির্যাতনের কারণে কারাগারে এরশাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার বিকেলে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা ভূরুঙ্গামারীতে অভিযান চালিয়ে এরশাদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এরশাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এপিবিএন সদ্যস্যদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় তাঁর কাছ থেকে ২৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে এপিবিএন বাদী হয়ে এরশাদ, তাঁর স্ত্রী আদুরি ও দুই বোনের বিরুদ্ধে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
এ ছাড়া উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নে মাদক কেনাবেচা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করেন এরশাদ। ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান মিঠু বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৬ সালে ভূরুঙ্গামারী থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
এসব অভিযোগ ছাড়াও এরশাদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান, ব্যবসা, সেবন, স্বর্ণালঙ্কার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর, ভূরুঙ্গামারী ও লালমনিরহাট থানায় মামলা রয়েছে।
গত বুধবার এরশাদকে গ্রেপ্তার অভিযানে যাওয়া ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, মাদক চোরাচালান হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলার আগেই পরিবারের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পায়। বাড়ির কাছে যেতেই এরশাদ পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে কোদাল নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। পরে তাঁকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরশাদের বড় বোন শিউলি বেগমের দাবি, আটকের পর পুলিশের নির্যাতনের কারণে এরশাদ মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ এসে তাকে ধরে পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের কাছে কোনও কিছু পায় নাই। থানায় নিয়ে গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার ভাইকে টর্চার করার কারণে সে মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এরশাদ ও পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা করে বলে দাবি করেন তিনি।
এরশাদের স্ত্রী আদুরি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে অন্যায় হইছে। আমি এর বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এরশাদ চিহ্নিত ও সাজাপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী। সে নিয়মিত মাদক সেবন করত। তাকে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। গ্রেপ্তারের পর তার পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি। মৃত্যুর পর এসব অভিযোগ করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরোতহাল প্রতিবেদনসহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দী অবস্থায় একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫) নামে এক হাজতির মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এরশাদের পরিবার পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ করলেও পুলিশ বলছে, তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁকে ধরতে গেলে উল্টো পুলিশের ওপর হামলা করতেন। মাদক ব্যবসা ও সেবনসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।
একরামুল হোসেন এরশাদ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে। মাদক মামলায় তিনি এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
গত বুধবার (৩১ মে) এরশাদকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এরশাদের পরিবারের দাবি, পুলিশি নির্যাতনের কারণে কারাগারে এরশাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার বিকেলে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা ভূরুঙ্গামারীতে অভিযান চালিয়ে এরশাদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এরশাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এপিবিএন সদ্যস্যদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় তাঁর কাছ থেকে ২৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে এপিবিএন বাদী হয়ে এরশাদ, তাঁর স্ত্রী আদুরি ও দুই বোনের বিরুদ্ধে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
এ ছাড়া উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নে মাদক কেনাবেচা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করেন এরশাদ। ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান মিঠু বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৬ সালে ভূরুঙ্গামারী থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
এসব অভিযোগ ছাড়াও এরশাদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান, ব্যবসা, সেবন, স্বর্ণালঙ্কার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর, ভূরুঙ্গামারী ও লালমনিরহাট থানায় মামলা রয়েছে।
গত বুধবার এরশাদকে গ্রেপ্তার অভিযানে যাওয়া ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, মাদক চোরাচালান হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলার আগেই পরিবারের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পায়। বাড়ির কাছে যেতেই এরশাদ পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে কোদাল নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। পরে তাঁকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরশাদের বড় বোন শিউলি বেগমের দাবি, আটকের পর পুলিশের নির্যাতনের কারণে এরশাদ মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ এসে তাকে ধরে পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের কাছে কোনও কিছু পায় নাই। থানায় নিয়ে গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার ভাইকে টর্চার করার কারণে সে মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এরশাদ ও পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা করে বলে দাবি করেন তিনি।
এরশাদের স্ত্রী আদুরি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে অন্যায় হইছে। আমি এর বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এরশাদ চিহ্নিত ও সাজাপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী। সে নিয়মিত মাদক সেবন করত। তাকে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। গ্রেপ্তারের পর তার পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি। মৃত্যুর পর এসব অভিযোগ করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরোতহাল প্রতিবেদনসহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করালে আগামীকাল মঙ্গলবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে
৩ মিনিট আগেরাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে দুদক কর্মকর্তারা এ ভবনের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য নেন। এ ছাড়া অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা..
৪ মিনিট আগেসূর্যমুখীর এই মাছঘাট তিন দশকের পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার ব্যবসায়ী ও জেলেরা শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। হঠাৎ একটি মহল ঘাটের ঠিক পাশে খালের দক্ষিণ পাড়ে নতুন মাছঘাট তৈরি করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিরোধ ও সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে।
৬ মিনিট আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক এবং বগুড়া–ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো আওয়ামী লীগের পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগে