তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
দেশের উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা এখন নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দল বেঁধে নিয়মিত স্কুল কলেজে যাচ্ছেন এখানকার ছাত্রীরা ৷
মেয়েদের সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করায় প্রথমদিকে নানা রকম মন্তব্য উঠে আসলেও সবকিছু উপেক্ষা করে মেয়েরা এখন নিয়মিত ও সময়মতো স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে। অনেকে আবার লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে বিদ্যালয়ের ফলাফলও ভালো করছে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার চারদিকে ভারত বেষ্টিত ৷ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ পাথর, চা শ্রমিকসহ দিনমজুর ও কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ৷ দিন দিন এ উপজেলায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেখাপড়ায় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অভিভাবকেরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের যৌথ চেষ্টায় সকাল থেকেই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে। এমন চিত্র উপজেলার কমবেশি সব সড়কে দেখা যাচ্ছে। ফলে রোধ হচ্ছে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি, বৃদ্ধি পাচ্ছে মেয়েদের শিক্ষার হার।
এ বিষয়ে উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী আরেফিন আকতার বলেন, আগে যখন আমি পায়ে হেঁটে বা ভ্যানে স্কুলে যেতাম তখন অনেক সময় লাগত। এমনকি স্কুলে উপস্থিত হতে দেরি হওয়াতে শিক্ষকেরাও শাস্তি দিতেন ৷ আমার ভাইয়ের একটা সাইকেল ছিল। সেটা বাসায় ভাইয়ের সঙ্গে খেলার সময় চালাতাম ৷ পরে চিন্তা করলাম সবার মতো আমিও সাইকেল চালাতে পারলেও নিয়মিত দ্রুত সময়ের স্কুলে যেতে পারব। পরে বাবার কাছে সাইকেল কিনে চাইলে বাবা রাজি হয়নি ৷ পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মাধ্যমে বাবাকে বুঝিয়ে একটা সাইকেল কিনে আমি এখন নিয়মিত সাইকেল দিয়ে যাতায়াত করি। আমার মতো অনেক মেয়েই এখন সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করছে ৷
উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারিয়ালজোত এলাকার স্কুলছাত্রী শারমিন বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে স্কুল ৮ কিলোমিটার দূরে ৷ তাই প্রতিদিন সাইকেল নিয়েই স্কুল ও প্রাইভেটে যাতায়াত করি ৷ এতে আমার ভালোই লাগে। আগে এ বিষয়টা মানুষ খারাপ ভাবলেও এখন ভালো চোখেই দেখে। আমার মতো অনেক মেয়েই এখন সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া কাজীপাড়া এলাকার অভিভাবক কাজী মকছেদুর রহমান জানান, তেঁতুলিয়ার বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া করে ৷ এতে আমাদের মেয়েরা যেমন নিয়মিত পাঠদান করতে পারছে আমরাও অভিভাবকেরা মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তা মুক্ত থাকতে পারছি।
রবিউল ইসলাম নামে আরেক অভিভাবক জানান, আমার মেয়ে সকাল হলেই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যায় ৷ আগে স্কুলে আমাকে দিয়ে আসতে হতো। এখন সেই কষ্ট আর করতে হচ্ছে না। আমার মেয়ে এখন নিজেই সাইকেল চালিয়ে নিয়মিত স্কুল যাচ্ছে। পরীক্ষায় ফলাফলও ভালো করছে ৷
কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক জানান, আগে মেয়েরা অনেক দূর থেকে হেঁটে কষ্ট করে স্কুল কলেজে আসত। রাস্তা ঘাট ভালো ছিল না। যারা দূরের এলাকা থেকে স্কুলে আসত তাদের স্কুল পৌঁছাতে বিলম্ব ও দুর্ভোগ পোহাতে হতো ৷ এতে অভিভাবক যেমন চিন্তিত থাকত অন্যদিকে লেখাপড়া থেকে মেয়েরাও ঝড়ে পড়ত ৷ পরে আমরা শিক্ষকেরা মেয়েদের বাইসাইকেল চালিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করি। পরে ধীরে ধীরে সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা মেয়েদের সংখ্যা বাড়তে থাকে ৷ এ ছাড়া এতে অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে এবং নিয়মিত ও সময়মতো স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে শিক্ষার্থীরা। যার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানও বেড়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার বেশির ভাগ স্কুল কলেজের ছাত্রীরা এখন নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল কলেজে যাচ্ছে। এতে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস পাচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ করেছি ৷
দেশের উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা এখন নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দল বেঁধে নিয়মিত স্কুল কলেজে যাচ্ছেন এখানকার ছাত্রীরা ৷
মেয়েদের সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করায় প্রথমদিকে নানা রকম মন্তব্য উঠে আসলেও সবকিছু উপেক্ষা করে মেয়েরা এখন নিয়মিত ও সময়মতো স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে। অনেকে আবার লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে বিদ্যালয়ের ফলাফলও ভালো করছে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার চারদিকে ভারত বেষ্টিত ৷ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ পাথর, চা শ্রমিকসহ দিনমজুর ও কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ৷ দিন দিন এ উপজেলায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেখাপড়ায় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অভিভাবকেরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের যৌথ চেষ্টায় সকাল থেকেই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে। এমন চিত্র উপজেলার কমবেশি সব সড়কে দেখা যাচ্ছে। ফলে রোধ হচ্ছে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি, বৃদ্ধি পাচ্ছে মেয়েদের শিক্ষার হার।
এ বিষয়ে উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী আরেফিন আকতার বলেন, আগে যখন আমি পায়ে হেঁটে বা ভ্যানে স্কুলে যেতাম তখন অনেক সময় লাগত। এমনকি স্কুলে উপস্থিত হতে দেরি হওয়াতে শিক্ষকেরাও শাস্তি দিতেন ৷ আমার ভাইয়ের একটা সাইকেল ছিল। সেটা বাসায় ভাইয়ের সঙ্গে খেলার সময় চালাতাম ৷ পরে চিন্তা করলাম সবার মতো আমিও সাইকেল চালাতে পারলেও নিয়মিত দ্রুত সময়ের স্কুলে যেতে পারব। পরে বাবার কাছে সাইকেল কিনে চাইলে বাবা রাজি হয়নি ৷ পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মাধ্যমে বাবাকে বুঝিয়ে একটা সাইকেল কিনে আমি এখন নিয়মিত সাইকেল দিয়ে যাতায়াত করি। আমার মতো অনেক মেয়েই এখন সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করছে ৷
উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারিয়ালজোত এলাকার স্কুলছাত্রী শারমিন বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে স্কুল ৮ কিলোমিটার দূরে ৷ তাই প্রতিদিন সাইকেল নিয়েই স্কুল ও প্রাইভেটে যাতায়াত করি ৷ এতে আমার ভালোই লাগে। আগে এ বিষয়টা মানুষ খারাপ ভাবলেও এখন ভালো চোখেই দেখে। আমার মতো অনেক মেয়েই এখন সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া কাজীপাড়া এলাকার অভিভাবক কাজী মকছেদুর রহমান জানান, তেঁতুলিয়ার বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া করে ৷ এতে আমাদের মেয়েরা যেমন নিয়মিত পাঠদান করতে পারছে আমরাও অভিভাবকেরা মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তা মুক্ত থাকতে পারছি।
রবিউল ইসলাম নামে আরেক অভিভাবক জানান, আমার মেয়ে সকাল হলেই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যায় ৷ আগে স্কুলে আমাকে দিয়ে আসতে হতো। এখন সেই কষ্ট আর করতে হচ্ছে না। আমার মেয়ে এখন নিজেই সাইকেল চালিয়ে নিয়মিত স্কুল যাচ্ছে। পরীক্ষায় ফলাফলও ভালো করছে ৷
কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক জানান, আগে মেয়েরা অনেক দূর থেকে হেঁটে কষ্ট করে স্কুল কলেজে আসত। রাস্তা ঘাট ভালো ছিল না। যারা দূরের এলাকা থেকে স্কুলে আসত তাদের স্কুল পৌঁছাতে বিলম্ব ও দুর্ভোগ পোহাতে হতো ৷ এতে অভিভাবক যেমন চিন্তিত থাকত অন্যদিকে লেখাপড়া থেকে মেয়েরাও ঝড়ে পড়ত ৷ পরে আমরা শিক্ষকেরা মেয়েদের বাইসাইকেল চালিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করি। পরে ধীরে ধীরে সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা মেয়েদের সংখ্যা বাড়তে থাকে ৷ এ ছাড়া এতে অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে এবং নিয়মিত ও সময়মতো স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে শিক্ষার্থীরা। যার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানও বেড়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার বেশির ভাগ স্কুল কলেজের ছাত্রীরা এখন নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল কলেজে যাচ্ছে। এতে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস পাচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ করেছি ৷
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে