Ajker Patrika

রমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ১৯
রমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর আন্দোলনের তোপের মুখে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালককে বদলি করা হয় গত ২৩ জানুয়ারি। পরিচালকের বদলির পর সেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ‘বকশিশ সিন্ডিকেট’ ও অনিয়ম-দুর্নীতি ক্ষতিয়ে দেখতে হাসপাতালে প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদক বলছে, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। 

আজ সোমবার দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাবদারুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্র জব্দ করা হয়। 

দুদক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর দ্বারা রোগী হয়রানি, ট্রলি-বাণিজ্য, ভর্তি টিকিটের দাম বেশি রাখা ও বকশিশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোগী জিম্মির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা হয়। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের রংপুরের সহকারী পরিচালক সাবদারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল প্রায় তিন ঘণ্টা ওই অভিযান পরিচালনা করে। হাসপাতালের ওয়ার্ডসহ পুরো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ড মাস্টারের কার্যালয়, উপপরিচালকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করেন। হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তারা কথা বলেন। এ সময় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। 

দুদক রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাবদারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি ক্ষতিয়ে দেখতে কমিশন থেকে চিঠি আসছিল। সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল অবজার্ভ করেছি। অভিযোগের কিছু সত্যতা পেয়েছি। ওয়ার্ড মাস্টার ও উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলে ইনফর্ম করেছি। এ বিষয়ে তাদের কাছে একটি ফলোআপ চাওয়া হয়েছে।’ 

রমেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মানিক আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কিছু বহিরাগত লোক থাকার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।’ 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘বকশিশ সিন্ডিকেটের’ দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সেবা প্রার্থীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ১৬ জন কর্মচারীকে বদলি করেন পরিচালক। ২২ জানুয়ারি সেই পরিচালক শরীফুল হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতি। 

আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে ২৩ জানুয়ারি দুপুরে পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। এ সময় পরিচালক শরীফুল হাসানকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামও দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শরীফুল হাসানকে রমেক হাসপাতাল থেকে বদলি করা হয়। এরপর কর্মসূচি থেকে সড়ে যান বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। 
     
এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক, দুই সহকারী পরিচালকসহ তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত