নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে একই সময় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে শান্তি সমাবেশ শুরু করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই সময়ে ৫০ গজ দূরে ওই মার্কেটে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে পদযাত্রার জন্য সমবেত হয় জেলা বিএনপি একাংশের নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার। উভয় দিক থেকে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে উত্তেজনা সৃষ্টির একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক বিএনপির মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে সেখানে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে শান্তি সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরি করি। পরে তারাও আমাদের সভা মঞ্চের অদূরে মঞ্চ তৈরি করলে তাদের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে পারি। পরবর্তী সময় তারা জানায়, আমাদের কর্মসূচি শেষ হলে তারা কর্মসূচি শুরু করবে। কিন্তু আমাদের সভা শুরু হলে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা রকম অশ্লীল ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। আমাদের ছেলেরা সেখানে গিয়ে তাদের নিষেধ করেছে মাত্র। আমরা তাদের কোনো ব্যানার ছিঁড়ি নাই, সেখানে কোনো মঞ্চ ছিল না। শুধুমাত্র একটা ব্যানার ছিল।’
অপর দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করি। একই সময়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের অদূরে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে। আমরা বলেছি তারা কর্মসূচি শেষ করলে আমরা কর্মসূচি শুরু করব। এ অবস্থায় বিনা উসকানিতে তারা আমাদের সভাস্থলে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এতে আমাদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউপ বলেন, ‘পাশাপাশি দূরত্বে দুই দলের কর্মসূচি ঘোষণার কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপি জানায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শেষে তারা কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হলে বিএনপির সভাস্থল থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শেষে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ পুনরায় সমাবেশ শুরু করে। সভা শেষে বেলা ১টার দিকে মিছিল নিয়ে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হাফিজুর রশিদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মমতাজুল হক, সহসভাপতি অক্ষয় কুমার রায়, মো. আমজাদ হোসেন, আহসান রহিম মঞ্জিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মসফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার।
বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর সেলিম ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সেফাউল জাহাঙ্গীর, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আজম, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ পারভেজ প্রমুখ।
অপর দিকে বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের নেতৃত্বে শহরের বড় বাজারে পৃথক পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়। তাঁরা শহরের গাছবাড়ি থেকে পদযাত্রা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে পুলিশের বাধায় বড় বাজার ট্রাফিক মোড়ে সমাবেশ করেন।
সেখানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তফা হক প্রধানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুব উর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাহেদুল ইসলাম দোলন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মগ্নি মাসুদুল আলম প্রমুখ।
নীলফামারীতে একই সময় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে শান্তি সমাবেশ শুরু করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই সময়ে ৫০ গজ দূরে ওই মার্কেটে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে পদযাত্রার জন্য সমবেত হয় জেলা বিএনপি একাংশের নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার। উভয় দিক থেকে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে উত্তেজনা সৃষ্টির একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক বিএনপির মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে সেখানে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে শান্তি সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরি করি। পরে তারাও আমাদের সভা মঞ্চের অদূরে মঞ্চ তৈরি করলে তাদের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে পারি। পরবর্তী সময় তারা জানায়, আমাদের কর্মসূচি শেষ হলে তারা কর্মসূচি শুরু করবে। কিন্তু আমাদের সভা শুরু হলে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা রকম অশ্লীল ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। আমাদের ছেলেরা সেখানে গিয়ে তাদের নিষেধ করেছে মাত্র। আমরা তাদের কোনো ব্যানার ছিঁড়ি নাই, সেখানে কোনো মঞ্চ ছিল না। শুধুমাত্র একটা ব্যানার ছিল।’
অপর দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করি। একই সময়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের অদূরে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে। আমরা বলেছি তারা কর্মসূচি শেষ করলে আমরা কর্মসূচি শুরু করব। এ অবস্থায় বিনা উসকানিতে তারা আমাদের সভাস্থলে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এতে আমাদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউপ বলেন, ‘পাশাপাশি দূরত্বে দুই দলের কর্মসূচি ঘোষণার কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপি জানায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শেষে তারা কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হলে বিএনপির সভাস্থল থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শেষে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ পুনরায় সমাবেশ শুরু করে। সভা শেষে বেলা ১টার দিকে মিছিল নিয়ে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হাফিজুর রশিদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মমতাজুল হক, সহসভাপতি অক্ষয় কুমার রায়, মো. আমজাদ হোসেন, আহসান রহিম মঞ্জিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মসফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার।
বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর সেলিম ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সেফাউল জাহাঙ্গীর, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আজম, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ পারভেজ প্রমুখ।
অপর দিকে বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের নেতৃত্বে শহরের বড় বাজারে পৃথক পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়। তাঁরা শহরের গাছবাড়ি থেকে পদযাত্রা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে পুলিশের বাধায় বড় বাজার ট্রাফিক মোড়ে সমাবেশ করেন।
সেখানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তফা হক প্রধানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুব উর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাহেদুল ইসলাম দোলন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মগ্নি মাসুদুল আলম প্রমুখ।
ঘটনার পরদিন নিহতের ভাতিজা আরিফুল ইসলাম বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ, তাঁর ছেলে সোহেল রানা পুটুসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করা হয়। পরে রওশন আলীর মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। তবে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার মূল আসামি
৫ মিনিট আগেসড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ইট–খোয়া। খানাখন্দে প্রতিনিয়ত নসিমন, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। অনেক সময় যাত্রী আহত হচ্ছেন, যানবাহনের যন্ত্রাংশও বিকল হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
১৬ মিনিট আগেঅভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই ওই ছাত্রীকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায় কাউসার মিয়া। ইজিবাইকটি মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে হুমায়ূন ইজিবাইকে ওঠে।
৪২ মিনিট আগেধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারা প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এবং সেই অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারে, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার।
১ ঘণ্টা আগে