Ajker Patrika

বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রয়োজনে আরও চাল আমদানির অনুমতি দেবে: খাদ্য উপদেষ্টা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর সার্কিট হাউসে আজ বুধবার দুপুরে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুর সার্কিট হাউসে আজ বুধবার দুপুরে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে যাচাই-বাছাই কমিটি চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এরই মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আরও চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, যাঁরা চাল আমদানি করছেন, দেশে যদি চাহিদা না থাকত কিংবা ব্যবসায়ীরা লাভ না পেতেন, তাহলে তাঁরা আমদানি করতেন না। চাল শুধু মানুষে খায় না। তা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও মাছেরও খাদ্য। বর্তমান সময়ে চালের বহুবিধ ব্যবহার হচ্ছে।

অনেক ব্যবসায়ী চাল আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চালের বাজারকে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি কেজি চালের জন্য সরকার ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে আসছে। গত বছর কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সময়ও প্রতি কেজিতে প্রায় চার টাকা বাড়িয়ে ধান কেনা হয়েছে। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচের চাপ কিছুটা লাঘব হয়েছে।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সব জিনিসের দাম বেড়েছে। কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটিও বিবেচনা করতে হবে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশে ৫৫ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে ছয় মাস ১৫ টাকা দরে চাল পাবে। এই ৫৫ লাখের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রয়েছে রংপুর বিভাগে। দরকার হলে আরও কিছু দেওয়া যাবে। বিতরণটা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় এবং ভবিষ্যতে কীভাবে কাজকর্ম করতে হবে, এসব বিষয়ে আজকে আলোচনা করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রংপুর-রাজশাহী অঞ্চলকে দেশের খাদ্যভান্ডার উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘এবার আমরা স্মরণকালের সর্বোচ্চ প্রকিউরমেন্ট (কেনাকাটা) করেছি। অর্থাৎ শতভাগেরও বেশি প্রকিউরমেন্ট করা হয়েছে।’

সম্প্রতি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ওএমএস কর্মসূচির চাল জব্দের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, যাঁরা লাইসেন্স ছাড়া খাদ্যশস্য মজুত করবেন অথবা শর্ত ভঙ্গ করবেন, সেগুলো ধরা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেঁতুলিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তাধীন। খাদ্য কেলেঙ্কারি, মজুতবাজি বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে অনেককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, রংপুরের আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

‘আপত্তিকর’ ভিডিও: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেন গভর্নর

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের যৌন সহিংসতার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে তুললেন ভারতীয় দূত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত