কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের তিনকোনা মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকদের সঙ্গে তিন দিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে মেহেদী পক্ষের কয়েক জন নেতা-কর্মীরা রোববার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রসহ উপজেলা শহরে মহড়া দেয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেহেদী তার লোকজনসহ ফুলবাড়ী শহরের তিনকোণা মোড়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার জন্য উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। তাঁরা বলছেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলনের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর চাচাতো ভাই ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। তাঁরা ছাত্রলীগের উপজেলা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
তবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন দাবি করেছেন, ‘মেহেদী নয় বরং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মেহেদী ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমার নেতৃত্বে হামলা হয়নি। বরং আমি মারামারি থামিয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তাঁরাও বিষয়টি জানে। আর ছাত্রলীগ আগে হামলা করেছে।’
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, ‘মেহেদী ও তাঁর ভাই মিলনের ছত্রছায়ায় উপজেলায় মাদক চোরাচালান হয়। মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বর্তমান কমিটিতে তাঁর স্থান হয়নি। ছাত্রলীগ তাদের মাদক ব্যবসায় বিরোধিতা করে। তাই মিলনের ছত্রছায়ায় পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের কার্যালয়ে হামলা করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মিলনের মদদে মেহেদী হাসান বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। মেহেদীর বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে বরাবর ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে চায়। আমরা ছাত্রলীগের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
ওসি ফজলুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা ও ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
তবে মেহেদীর মাদক সংশ্লিষ্টতা ও মামলা প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি ওসি।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের তিনকোনা মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকদের সঙ্গে তিন দিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে মেহেদী পক্ষের কয়েক জন নেতা-কর্মীরা রোববার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রসহ উপজেলা শহরে মহড়া দেয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেহেদী তার লোকজনসহ ফুলবাড়ী শহরের তিনকোণা মোড়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার জন্য উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। তাঁরা বলছেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলনের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর চাচাতো ভাই ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। তাঁরা ছাত্রলীগের উপজেলা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
তবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন দাবি করেছেন, ‘মেহেদী নয় বরং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মেহেদী ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমার নেতৃত্বে হামলা হয়নি। বরং আমি মারামারি থামিয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তাঁরাও বিষয়টি জানে। আর ছাত্রলীগ আগে হামলা করেছে।’
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, ‘মেহেদী ও তাঁর ভাই মিলনের ছত্রছায়ায় উপজেলায় মাদক চোরাচালান হয়। মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বর্তমান কমিটিতে তাঁর স্থান হয়নি। ছাত্রলীগ তাদের মাদক ব্যবসায় বিরোধিতা করে। তাই মিলনের ছত্রছায়ায় পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের কার্যালয়ে হামলা করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মিলনের মদদে মেহেদী হাসান বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। মেহেদীর বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে বরাবর ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে চায়। আমরা ছাত্রলীগের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
ওসি ফজলুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা ও ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
তবে মেহেদীর মাদক সংশ্লিষ্টতা ও মামলা প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি ওসি।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
২১ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৬ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে