Ajker Patrika

ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ১১: ৩২
ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের তিনকোনা মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকদের সঙ্গে তিন দিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে মেহেদী পক্ষের কয়েক জন নেতা-কর্মীরা রোববার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রসহ উপজেলা শহরে মহড়া দেয়। 

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেহেদী তার লোকজনসহ ফুলবাড়ী শহরের তিনকোণা মোড়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

এদিকে এ ঘটনার জন্য উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। তাঁরা বলছেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলনের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর চাচাতো ভাই ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। তাঁরা ছাত্রলীগের উপজেলা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।

এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। 
তবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন দাবি করেছেন, ‘মেহেদী নয় বরং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মেহেদী ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমার নেতৃত্বে হামলা হয়নি। বরং আমি মারামারি থামিয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তাঁরাও বিষয়টি জানে। আর ছাত্রলীগ আগে হামলা করেছে।’ 

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, ‘মেহেদী ও তাঁর ভাই মিলনের ছত্রছায়ায় উপজেলায় মাদক চোরাচালান হয়। মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বর্তমান কমিটিতে তাঁর স্থান হয়নি। ছাত্রলীগ তাদের মাদক ব্যবসায় বিরোধিতা করে। তাই মিলনের ছত্রছায়ায় পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের কার্যালয়ে হামলা করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’ 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মিলনের মদদে মেহেদী হাসান বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। মেহেদীর বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে বরাবর ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে চায়। আমরা ছাত্রলীগের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’ 

ওসি ফজলুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা ও ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে বলা যাবে।’ 

তবে মেহেদীর মাদক সংশ্লিষ্টতা ও মামলা প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

এপিএসের বেতন ১ বছরে বেড়েছে ১৮ বছরের সমান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত