আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
‘কেমন আছ?’ , ‘কত দিন তোমাকে দেখি না’, ‘মরিচা পড়া ডাকবাক্সে চিঠি দিও রোজ’, ‘খামভর্তি প্রেম দিও’, ‘রাখিও একটু খোঁজ’—এ রকম হরেক শিরোনামে ভাব আদান-প্রদান হতো হলুদ খামের ভেতরে চিঠিতে। একসময় এই বহুল কাঙ্ক্ষিত খাম ডাকপিয়নেরা পৌঁছে দিত মানুষের কাছে। শহর-বন্দর-নগর থেকে গ্রাম—সর্বত্র। সময়ে পালাবদলে কেউ আর এভাবে চিঠি লেখে না প্রিয় মানুষদের কাছে।
ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ডাকপিয়নের তেমন কাজ নেই বললেই চলে। তার পরও সরকারিসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ চিঠি চালাচালি হয় ডাকের মাধ্যমে। আর এই পৌঁছে দেওয়ার সংশ্লিষ্ট কাজগুলো যাঁরা করেন তাঁরা হলেন ডাক বিভাগের ইডি ডাকপিয়ন।
ডাক অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ৩৯২ জন ইডি (এক্সট্রা ডিপার্টমেন্টাল) কর্মচারী আছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা নামমাত্র ৪ হাজার ৪৬০ টাকা বেতন-ভাতায় চাকরি করছেন। এই অর্থ দিয়েই তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমান বাজারে এই বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁদের। এই বেতনে চাকরি করে ঈদের আনন্দ পূরণের সুযোগ জোটেনি বলে দাবি তাঁদের।
সরকারিসহ অন্য চাকরিজীবীরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারলেও ডাক অফিসের এই কর্মচারীরা তা করতে পারেন না। গাইবান্ধা ইডি কর্মচারী আবু জাহিদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। আমরা যে কয়টা টাকা পাই, তা দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল। ভালো কোনো খাবার কিনতে পারি না। বছরে ভালো কাপড় কিনতে পারি না। এভাবে কি জীবন চলে? বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়ছে।’
তফিজুর রহমান তারা নামে আরেক কর্মচারী বলেন, ‘আগামীকাল ঈদ। পরিবারের সদস্যদের নতুন কাপড় কিনে দিতে পারি নাই। বছরে এক টুকরা গরুর মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আমাদের হয় না। আমাদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগেও ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেতন বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবি তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাঁদের দাবিগুলো হচ্ছে—ডাক বিভাগে ইডি প্রথা বাতিল, জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত, পর্যায়ক্রমে ইডি কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে সংযুক্ত, এক অভিন্ন নিয়োগকাঠামো চালু, প্রতিটি ডাকঘরের ভবন নির্মাণ ও বিভাগীয় অফিসের মতো শাখা ডাকঘরগুলোতেও সব সেবা চালু।
আরেক কর্মচারী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দাবি আদায়ে ইতিমধ্যে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছি। যদি আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এর চেয়ে কঠিন আন্দোলন করে হলেও আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করব। আমরা দুবেলা ভালো-মন্দ খেয়ে যেন বেঁচে থাকতে পারি—এটুকু শুধু আমাদের দাবি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাইবান্ধা পোস্ট অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলার ৩৯২ জন ডাকপিয়ন যাতায়াতের জন্য নামমাত্র একটা টাকা পান। এই টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলানো সম্ভব নয়। আগামীকাল ঈদ। এই সামান্য পরিমাণ টাকা দিয়ে ঈদের জন্য কী কেনা-কাটা করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি যেরকম সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাই, ইডি কর্মচারী আছে তাদেরও সুবিধা দেওয়া উচিত বলে মনে করি আমি।’
গাইবান্ধা পোস্টমাস্টার বিপ্লব কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীরা যে দাবিগুলো করছেন, সেগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেখার বিষয়।’
‘কেমন আছ?’ , ‘কত দিন তোমাকে দেখি না’, ‘মরিচা পড়া ডাকবাক্সে চিঠি দিও রোজ’, ‘খামভর্তি প্রেম দিও’, ‘রাখিও একটু খোঁজ’—এ রকম হরেক শিরোনামে ভাব আদান-প্রদান হতো হলুদ খামের ভেতরে চিঠিতে। একসময় এই বহুল কাঙ্ক্ষিত খাম ডাকপিয়নেরা পৌঁছে দিত মানুষের কাছে। শহর-বন্দর-নগর থেকে গ্রাম—সর্বত্র। সময়ে পালাবদলে কেউ আর এভাবে চিঠি লেখে না প্রিয় মানুষদের কাছে।
ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ডাকপিয়নের তেমন কাজ নেই বললেই চলে। তার পরও সরকারিসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ চিঠি চালাচালি হয় ডাকের মাধ্যমে। আর এই পৌঁছে দেওয়ার সংশ্লিষ্ট কাজগুলো যাঁরা করেন তাঁরা হলেন ডাক বিভাগের ইডি ডাকপিয়ন।
ডাক অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ৩৯২ জন ইডি (এক্সট্রা ডিপার্টমেন্টাল) কর্মচারী আছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা নামমাত্র ৪ হাজার ৪৬০ টাকা বেতন-ভাতায় চাকরি করছেন। এই অর্থ দিয়েই তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমান বাজারে এই বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁদের। এই বেতনে চাকরি করে ঈদের আনন্দ পূরণের সুযোগ জোটেনি বলে দাবি তাঁদের।
সরকারিসহ অন্য চাকরিজীবীরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারলেও ডাক অফিসের এই কর্মচারীরা তা করতে পারেন না। গাইবান্ধা ইডি কর্মচারী আবু জাহিদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। আমরা যে কয়টা টাকা পাই, তা দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল। ভালো কোনো খাবার কিনতে পারি না। বছরে ভালো কাপড় কিনতে পারি না। এভাবে কি জীবন চলে? বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়ছে।’
তফিজুর রহমান তারা নামে আরেক কর্মচারী বলেন, ‘আগামীকাল ঈদ। পরিবারের সদস্যদের নতুন কাপড় কিনে দিতে পারি নাই। বছরে এক টুকরা গরুর মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আমাদের হয় না। আমাদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগেও ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেতন বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবি তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাঁদের দাবিগুলো হচ্ছে—ডাক বিভাগে ইডি প্রথা বাতিল, জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত, পর্যায়ক্রমে ইডি কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে সংযুক্ত, এক অভিন্ন নিয়োগকাঠামো চালু, প্রতিটি ডাকঘরের ভবন নির্মাণ ও বিভাগীয় অফিসের মতো শাখা ডাকঘরগুলোতেও সব সেবা চালু।
আরেক কর্মচারী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দাবি আদায়ে ইতিমধ্যে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছি। যদি আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এর চেয়ে কঠিন আন্দোলন করে হলেও আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করব। আমরা দুবেলা ভালো-মন্দ খেয়ে যেন বেঁচে থাকতে পারি—এটুকু শুধু আমাদের দাবি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাইবান্ধা পোস্ট অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলার ৩৯২ জন ডাকপিয়ন যাতায়াতের জন্য নামমাত্র একটা টাকা পান। এই টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলানো সম্ভব নয়। আগামীকাল ঈদ। এই সামান্য পরিমাণ টাকা দিয়ে ঈদের জন্য কী কেনা-কাটা করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি যেরকম সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাই, ইডি কর্মচারী আছে তাদেরও সুবিধা দেওয়া উচিত বলে মনে করি আমি।’
গাইবান্ধা পোস্টমাস্টার বিপ্লব কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীরা যে দাবিগুলো করছেন, সেগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেখার বিষয়।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে