বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
বদরগঞ্জে ফাতেমা খাতুন (৭৯) নামে এক নারীর বিধবাভাতার টাকা চলে গেছে ইউপি সদস্যের ছেলের ফোন নম্বরে। এই টাকা ফেরত পেতে ফাতেমা কখনো ইউপি সদস্যের বাড়িতে আবার কখনো সমাজ সেবা কার্যালয়ে ঘুরছেন। আড়াই মাস ঘুরেও টাকা ফেরত পাননি তিনি। এখন অনেকটা আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
ইউপি সদস্যের ছেলের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফাতেমার নাতি সাইবুল ইসলাম। আজ রোববারও তিনি স্থানীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে এ প্রতিবেদককে দেখে বলেন, ‘ভাই আমাদের কথা কেউ শুনছে না। অফিসে ঘুরছি আর ঘুরছি। কিন্তু টাকা পাচ্ছি না। আপনি অফিসে কথা বলে মেম্বরের ছেলের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দেন, আপনাকে এক হাজার টাকা সম্মান করবো।’
ফাতেমা খাতুনের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ নয়াপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে ফাতেমা খাতুনের নামে বিধবাভাতার কার্ড হয়। ভাতার টাকা ফোনে দেওয়া হবে বলে জুনের আগে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। তিনি উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর নগদ নম্বর দিয়ে আসেন। কিন্তু এই নম্বরে তিনি কোনো টাকা পাননি। দীর্ঘদিন সমাজ সেবা কার্যালয়ে ঘোরার পর জানতে পারেন তাঁর নামে ৯ হাজার টাকা অন্য নম্বরে চলে গেছে। পরে ফাতেমা কল করে জানতে পারেন ওই নম্বরটি ব্যবহার করছেন এলাকার ইউপি সদস্য আজিজুল হকের ছেলে রোস্তম মিয়া। ফাতেমা ভাতার টাকা চাইতে যান। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টা তাঁকে সমাজ সেবা কার্যালয়ে যেতে পরামর্শ দেন রোস্তম।
ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘বাবা, মুই সমাজ সেবা অফিসোত নম্বর দিচনু নিজের, আর টাকা চলি গেইচে মেম্বরের ছইলের গোরোত (ছেলে কাছে)। ম্যালায় ঘুরনু, টাকা ফেরত পানু না।’
ফাতেমার নাতি সাইবুল ইসলাম বলেন, ‘কোন নম্বরে টাকা গেছে এটা জানতে দীর্ঘদিন সমাজ সেবা অফিসে ঘুরছি, অবশেষে অনেক চেষ্টা করে নম্বরটি পেয়েছি। পরে দেখি এলাকার মেম্বারের ছেলে রোস্তমের মোবাইল নম্বরে টাকা গেছে। তাকে টাকার কথা বললেই রেগে যান।’
নিজের নম্বরে ফাতেমার বিধবা ভাতার টাকা আসার কথা স্বীকার করেছেন রোস্তম মিয়া। তিনি বলেন, ‘ফাতেমার বিধবা ভাতার কার্ডটি আমি নিজে সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে করে দিয়েছি। সেখানে আমার নম্বর দেওয়া ছিল না। কিন্তু কীভাবে যে সমাজ সেবা অফিস আমার নম্বর পেয়েছে, তা জানি না। যখন আমার মোবাইলে টাকা আসে, তখন ভাবছিলাম হয়তো ছেলের স্কুলের টাকা ঢুকেছে।’
টাকা কেন ফেরত দিচ্ছেন না জানতে চাইলে রোস্তম বলেন, ‘একটু সময় নিয়ে ফাতেমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছি। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দেওয়ার কি আছে।’
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আজিজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মাধ্যমেই তাঁকে পাওয়া যায়নি।
ফাতেমার টাকা ইউপি সদস্যের ছেলের ফোন নম্বরে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা ছিল না। হয়তো ভুলক্রমে হয়েছে। আর এ রকম ভুল হবে না।’ তবে টাকা উদ্ধার হবে কীভাবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
বদরগঞ্জে ফাতেমা খাতুন (৭৯) নামে এক নারীর বিধবাভাতার টাকা চলে গেছে ইউপি সদস্যের ছেলের ফোন নম্বরে। এই টাকা ফেরত পেতে ফাতেমা কখনো ইউপি সদস্যের বাড়িতে আবার কখনো সমাজ সেবা কার্যালয়ে ঘুরছেন। আড়াই মাস ঘুরেও টাকা ফেরত পাননি তিনি। এখন অনেকটা আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
ইউপি সদস্যের ছেলের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফাতেমার নাতি সাইবুল ইসলাম। আজ রোববারও তিনি স্থানীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে এ প্রতিবেদককে দেখে বলেন, ‘ভাই আমাদের কথা কেউ শুনছে না। অফিসে ঘুরছি আর ঘুরছি। কিন্তু টাকা পাচ্ছি না। আপনি অফিসে কথা বলে মেম্বরের ছেলের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দেন, আপনাকে এক হাজার টাকা সম্মান করবো।’
ফাতেমা খাতুনের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ নয়াপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে ফাতেমা খাতুনের নামে বিধবাভাতার কার্ড হয়। ভাতার টাকা ফোনে দেওয়া হবে বলে জুনের আগে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। তিনি উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর নগদ নম্বর দিয়ে আসেন। কিন্তু এই নম্বরে তিনি কোনো টাকা পাননি। দীর্ঘদিন সমাজ সেবা কার্যালয়ে ঘোরার পর জানতে পারেন তাঁর নামে ৯ হাজার টাকা অন্য নম্বরে চলে গেছে। পরে ফাতেমা কল করে জানতে পারেন ওই নম্বরটি ব্যবহার করছেন এলাকার ইউপি সদস্য আজিজুল হকের ছেলে রোস্তম মিয়া। ফাতেমা ভাতার টাকা চাইতে যান। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টা তাঁকে সমাজ সেবা কার্যালয়ে যেতে পরামর্শ দেন রোস্তম।
ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘বাবা, মুই সমাজ সেবা অফিসোত নম্বর দিচনু নিজের, আর টাকা চলি গেইচে মেম্বরের ছইলের গোরোত (ছেলে কাছে)। ম্যালায় ঘুরনু, টাকা ফেরত পানু না।’
ফাতেমার নাতি সাইবুল ইসলাম বলেন, ‘কোন নম্বরে টাকা গেছে এটা জানতে দীর্ঘদিন সমাজ সেবা অফিসে ঘুরছি, অবশেষে অনেক চেষ্টা করে নম্বরটি পেয়েছি। পরে দেখি এলাকার মেম্বারের ছেলে রোস্তমের মোবাইল নম্বরে টাকা গেছে। তাকে টাকার কথা বললেই রেগে যান।’
নিজের নম্বরে ফাতেমার বিধবা ভাতার টাকা আসার কথা স্বীকার করেছেন রোস্তম মিয়া। তিনি বলেন, ‘ফাতেমার বিধবা ভাতার কার্ডটি আমি নিজে সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে করে দিয়েছি। সেখানে আমার নম্বর দেওয়া ছিল না। কিন্তু কীভাবে যে সমাজ সেবা অফিস আমার নম্বর পেয়েছে, তা জানি না। যখন আমার মোবাইলে টাকা আসে, তখন ভাবছিলাম হয়তো ছেলের স্কুলের টাকা ঢুকেছে।’
টাকা কেন ফেরত দিচ্ছেন না জানতে চাইলে রোস্তম বলেন, ‘একটু সময় নিয়ে ফাতেমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছি। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দেওয়ার কি আছে।’
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আজিজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মাধ্যমেই তাঁকে পাওয়া যায়নি।
ফাতেমার টাকা ইউপি সদস্যের ছেলের ফোন নম্বরে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা ছিল না। হয়তো ভুলক্রমে হয়েছে। আর এ রকম ভুল হবে না।’ তবে টাকা উদ্ধার হবে কীভাবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
২ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা নির্যাতনে জিদানকে হত্যা করে লাশ শৌচাগারে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল
৩ ঘণ্টা আগে