শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকেই ওই নারী সেতুর পাশে বসে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ৫-৬ বছরের এক মেয়েও রয়েছে। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে সেতুর পাশে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে প্রতিবন্ধী ছেলেকে সেতুর রেলিংয়ের ফাঁকা দিয়ে নদে ফেলে দেন। দূর থেকে দেখতে পেয়ে পথচারীরা দৌড়ে এলেও ছেলেটিকে রক্ষা করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট এলাকার মৃত আজগর আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগমের চার ছেলে-মেয়ে। তাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে ও একজন ছেলে। ছেলে নাসিরউদ্দিন (১৫) জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। চোখে দেখে না। চলাফেরাও করতে পারে না। এদিকে সংসার চালাতে ভিক্ষা করেন রিজিয়া বেগম। বুধবার সন্ধ্যায় শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতু থেকে প্রতিবন্ধী ছেলেকে পানিতে ফেলে দেন তিনি।
সন্ন্যাসীরচর চৌরাস্তা এলাকার নূর আলম নামের এক আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, ‘আমি আইসক্রিম বিক্রি করে ফিরতেছিলাম। দূর থেকে দেখলাম, মহিলা ছেলেটিকে নদে ফেলে দিল। আরও অনেকে দেখেছে। এক অটোওয়ালা দৌড়ে আসতে আসতে ছেলেকে ফেলে দিছে নদে!’
মো. আরিফ নামের স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আসরের সময় থেকে মহিলাটিকে ব্রিজের ওপর বসে থাকতে দেখি। তখন প্রতিবন্ধী ছেলেটি কাঁদতেছিল। মহিলাকে জিজ্ঞেস করতে বলল, খিদার জন্য কাঁদতেছে। সন্ধ্যার পরে লোকজন কমে এলে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়।’
এদিকে ভরণপোষণ দিতে না পারায় ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে নদে ফেলে দেন বলে জানান ওই নারীও। তবে ওই নারী মানসিকভাবে অপ্রকৃতিস্থ বলেও স্থানীয়রা বলছেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। মহিলা একজন ভিক্ষুক। জানতে পেরেছি, ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, নিজের ছেলেকে সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে নদে ফেলে দেয় সে। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা নদে ট্রলার নিয়ে খোঁজ শুরু করেছি।’
মাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকেই ওই নারী সেতুর পাশে বসে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ৫-৬ বছরের এক মেয়েও রয়েছে। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে সেতুর পাশে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে প্রতিবন্ধী ছেলেকে সেতুর রেলিংয়ের ফাঁকা দিয়ে নদে ফেলে দেন। দূর থেকে দেখতে পেয়ে পথচারীরা দৌড়ে এলেও ছেলেটিকে রক্ষা করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট এলাকার মৃত আজগর আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগমের চার ছেলে-মেয়ে। তাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে ও একজন ছেলে। ছেলে নাসিরউদ্দিন (১৫) জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। চোখে দেখে না। চলাফেরাও করতে পারে না। এদিকে সংসার চালাতে ভিক্ষা করেন রিজিয়া বেগম। বুধবার সন্ধ্যায় শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতু থেকে প্রতিবন্ধী ছেলেকে পানিতে ফেলে দেন তিনি।
সন্ন্যাসীরচর চৌরাস্তা এলাকার নূর আলম নামের এক আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, ‘আমি আইসক্রিম বিক্রি করে ফিরতেছিলাম। দূর থেকে দেখলাম, মহিলা ছেলেটিকে নদে ফেলে দিল। আরও অনেকে দেখেছে। এক অটোওয়ালা দৌড়ে আসতে আসতে ছেলেকে ফেলে দিছে নদে!’
মো. আরিফ নামের স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আসরের সময় থেকে মহিলাটিকে ব্রিজের ওপর বসে থাকতে দেখি। তখন প্রতিবন্ধী ছেলেটি কাঁদতেছিল। মহিলাকে জিজ্ঞেস করতে বলল, খিদার জন্য কাঁদতেছে। সন্ধ্যার পরে লোকজন কমে এলে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়।’
এদিকে ভরণপোষণ দিতে না পারায় ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে নদে ফেলে দেন বলে জানান ওই নারীও। তবে ওই নারী মানসিকভাবে অপ্রকৃতিস্থ বলেও স্থানীয়রা বলছেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। মহিলা একজন ভিক্ষুক। জানতে পেরেছি, ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, নিজের ছেলেকে সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে নদে ফেলে দেয় সে। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা নদে ট্রলার নিয়ে খোঁজ শুরু করেছি।’
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
৬ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৯ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৪২ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে