মো. ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়
১৭ বছর ধরে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার দোকান চলছে একই ভাড়ায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় থাকা জেলা পরিষদের দোকান থেকে পরিষদ ভাড়া পাচ্ছে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। তার বিপরীতে ইজারা নেওয়া দোকানমালিকেরা অন্য ব্যক্তিদের সাবলিজ দিয়ে ভাড়া তুলছেন সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমান বাজারমূল্যের তুলনায় এ ভাড়া প্রায় ২৫ গুণ কম হওয়ায় দোকানভাড়া থেকে বাস্তবসম্মত রাজস্ব আয় করতে পারছে না পঞ্চগড় জেলা পরিষদ।
জানা যায়, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের ১২৬টি দোকান বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়া আছে। কিন্তু দোকানভাড়ার হার ও জেলা পরিষদের রাজস্ব আয়ের হিসাবে অসামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে। ১৭ বছর আগের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী ১২৬টি দোকান থেকে মাসে আয় করেছে প্রায় ১ লাখ টাকা। প্রতিবছর ১২ লাখ টাকা আদায় করার কথা থাকলেও অধিকাংশই ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ করেনি। কারও কারও বাকি ১৫৯ মাসের, তো কারও বাকি ৯৪ মাসের। আর বাস্তবে বাজারমূল্যে ভাড়া প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় জেলা পরিষদ মার্কেটে বর্তমান দোকানভাড়া ৬ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু তার বিপরীতে একটি দোকানের ভাড়া বাবদ জেলা পরিষদকে মাসে ৩০০-৭৬৫ ও ৮১০ টাকা দেন ইজারা নেওয়া দোকানমালিকেরা। অথচ দোকানের সামনের বারান্দায় দুজন হকার বসিয়েই মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছেন তাঁরা, যা মূল ভাড়ার চেয়ে প্রায় ১২ গুণ বেশি।
পঞ্চগড় পাবনা সুইটস মিষ্টির দোকানের মালিক আনিসুজ্জামান সবুজ বলেন, ‘আমরা একজনের কাছে থেকে এ দোকানভাড়া নিয়েছি। প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা ভাড়া দেই। তিনি জেলা পরিষদকে কত দেন জানি না। আমরা দোকানের সামনে আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছি, তাঁর কাছ থেকে মাসে ৬ হাজার টাকা নিই।’
পিঠার দোকানদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা তো জানি না জেলা পরিষদের এ দোকানগুলোর আসল ভাড়া কত। কিন্তু আমরা প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ভাড়া দেই।’ আরেক দোকানদার কামাল বাদশা বলেন, ‘আমার দোকানে আমি ১৫ হাজার টাকা মাসে ভাড়া দেই। শুনলাম আমার দোকানের ভাড়া ৮৫৫ টাকা।’ সেলিম নামের এক দোকানদার বলেন, ‘এসব দোকান কয়েক হাতবদল হওয়ার পরই ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ভাড়া বাড়ানো।’
গত ৫ আগস্টের পর থেকে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পরিষদের সদস্য হারেজ আলী আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম অধিকাংশ দোকানের ভাড়া বাকি অনেক মাসের। তাঁদের নোটিশ দিয়ে এক মাসের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করে নিয়েছি। আমাদের মার্কেটে যে দোকানগুলো রয়েছে, সেখানে সরকার খুবই নামমাত্র ভাড়া পায়। সে জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটা কমিটি করেছি।’
১৭ বছর ধরে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার দোকান চলছে একই ভাড়ায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় থাকা জেলা পরিষদের দোকান থেকে পরিষদ ভাড়া পাচ্ছে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। তার বিপরীতে ইজারা নেওয়া দোকানমালিকেরা অন্য ব্যক্তিদের সাবলিজ দিয়ে ভাড়া তুলছেন সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমান বাজারমূল্যের তুলনায় এ ভাড়া প্রায় ২৫ গুণ কম হওয়ায় দোকানভাড়া থেকে বাস্তবসম্মত রাজস্ব আয় করতে পারছে না পঞ্চগড় জেলা পরিষদ।
জানা যায়, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের ১২৬টি দোকান বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়া আছে। কিন্তু দোকানভাড়ার হার ও জেলা পরিষদের রাজস্ব আয়ের হিসাবে অসামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে। ১৭ বছর আগের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী ১২৬টি দোকান থেকে মাসে আয় করেছে প্রায় ১ লাখ টাকা। প্রতিবছর ১২ লাখ টাকা আদায় করার কথা থাকলেও অধিকাংশই ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ করেনি। কারও কারও বাকি ১৫৯ মাসের, তো কারও বাকি ৯৪ মাসের। আর বাস্তবে বাজারমূল্যে ভাড়া প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় জেলা পরিষদ মার্কেটে বর্তমান দোকানভাড়া ৬ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু তার বিপরীতে একটি দোকানের ভাড়া বাবদ জেলা পরিষদকে মাসে ৩০০-৭৬৫ ও ৮১০ টাকা দেন ইজারা নেওয়া দোকানমালিকেরা। অথচ দোকানের সামনের বারান্দায় দুজন হকার বসিয়েই মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছেন তাঁরা, যা মূল ভাড়ার চেয়ে প্রায় ১২ গুণ বেশি।
পঞ্চগড় পাবনা সুইটস মিষ্টির দোকানের মালিক আনিসুজ্জামান সবুজ বলেন, ‘আমরা একজনের কাছে থেকে এ দোকানভাড়া নিয়েছি। প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা ভাড়া দেই। তিনি জেলা পরিষদকে কত দেন জানি না। আমরা দোকানের সামনে আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছি, তাঁর কাছ থেকে মাসে ৬ হাজার টাকা নিই।’
পিঠার দোকানদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা তো জানি না জেলা পরিষদের এ দোকানগুলোর আসল ভাড়া কত। কিন্তু আমরা প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ভাড়া দেই।’ আরেক দোকানদার কামাল বাদশা বলেন, ‘আমার দোকানে আমি ১৫ হাজার টাকা মাসে ভাড়া দেই। শুনলাম আমার দোকানের ভাড়া ৮৫৫ টাকা।’ সেলিম নামের এক দোকানদার বলেন, ‘এসব দোকান কয়েক হাতবদল হওয়ার পরই ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ভাড়া বাড়ানো।’
গত ৫ আগস্টের পর থেকে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পরিষদের সদস্য হারেজ আলী আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম অধিকাংশ দোকানের ভাড়া বাকি অনেক মাসের। তাঁদের নোটিশ দিয়ে এক মাসের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করে নিয়েছি। আমাদের মার্কেটে যে দোকানগুলো রয়েছে, সেখানে সরকার খুবই নামমাত্র ভাড়া পায়। সে জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটা কমিটি করেছি।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৫ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে