Ajker Patrika

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চুরি: নিরাপত্তা বাহিনীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নীলফামারী প্রতিনিধি
মো. জাবেদ। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাবেদ। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপে লোহার বাবরি চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) মো. জাবেদকে (৩৫) আটক করেছে সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

এ ঘটনায় ওই বাহিনীর দায়িত্বরত ইনচার্জ (হাবিলদার), রেলের কর্মচারী ও ব্যবসায়ীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে।

আটক মো. জাবেদ সৈয়দপুর পৌর এলাকার পাটোয়ারী পাড়ার মমিতুল ইসলামের ছেলে।

মামলার সূত্র মতে, কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপে চুরির ঘটনাটি সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে গোপন সূত্রে জানতে পারেন ওই শপের ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তাৎক্ষণিক রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ককে বিষয়টি অবগত করেন। পরে ওই শপের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত হন। টিএলআর মো. জাবেদ একটি বস্তায় করে লোহার বাবরি চুরি করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিতের পর সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জাবেদকে আটক করে। তিনি ওয়াগন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। এ ছাড়াও চুরির সঙ্গে জড়িত বাফার সেকশনের টিএলআর মো. হুমায়ুন কবির (৪৩), ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের টিএলআর সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চুরির মালপত্রের ক্রেতা সৈয়দপুর শহরের ব্যবসায়ী মোহন চন্দ্র, মুন্না হোসেন, জাভেদ আকতার ও এরশাদ আলীর নাম উল্লেখ করেন।

রাতে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তাঁদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে রেলওয়ে কারখানা থেকে মালপত্র চুরির অপরাধে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ টিএলআর হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মামলার বাদী।

সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘আসামি জাবেদ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাটের কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলমের নির্দেশে হাবিলদার হাসান আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

এপিএসের বেতন ১ বছরে বেড়েছে ১৮ বছরের সমান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত