দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রশাসনিক অদক্ষতা, অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে তাঁকে কেন অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরেরা মেয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও পৌরসভার বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্প্রতি অভিযোগগুলো তদন্ত করে। এর মধ্যে ৯টি অভিযোগের প্রমাণ পায় তদন্ত দল। পরে তারা তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দেয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, হাটবাজার ইজারার টাকা যথাসময়ে আদায় না হলেও আইনগত পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তিনি প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ছাড়াই ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৫ টাকার টেন্ডার করেছেন। ২০২০-২০২১ পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী তিন বছরের বরাদ্দ থেকে সমন্বয় করার কারণে পরবর্তী বছরগুলোতেও টেন্ডার করেছেন।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে পৌরসভার গরিব দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকার মধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯০ টাকা বিতরণে স্বচ্ছতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৩ জন কর্মচারীকে মাস্টাররোলে নিয়োগে কোনো বিধিবিধান মানা হয়নি এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধার্যকৃত নিবন্ধন ও নবায়ন ফি থেকে আয় নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করে বর্ণিত খাতের বাইরে বেতন-ভাতা সম্মানী খাতে ব্যয় করা হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভায় ৬১টি বিল বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা দীর্ঘদিন বকেয়া থাকলেও তা আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে পৌরসভার জমির ভাড়া দাবি করে ২৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় পৌরসভা উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৮ লাখ টাকা ভবন নির্মাণ না করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা প্রদান করেছেন, যা বিধিসম্মত হয়নি।
উল্লেখিত অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ২০০৯-এর ধারা ৩২-এর উপধারা (১) (ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে একই আইনের ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে কেন তাঁকে উক্ত আইনের ধারা ৩২-এর উপধারা (২) ও (৩) অনুয়ায়ী মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরখাস্ত পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে সমস্ত অভিযোগ ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করে আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করে অব্যাহতি দিয়েছে, সেই সব পুরোনো অভিযোগই আবার নতুন করে উপস্থাপন করে আমাকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এটি করা হয়েছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।’
এদিকে পৌরসভার কার্যক্রম চলমান রাখতে প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলালকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক অদক্ষতা, অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে তাঁকে কেন অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরেরা মেয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও পৌরসভার বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্প্রতি অভিযোগগুলো তদন্ত করে। এর মধ্যে ৯টি অভিযোগের প্রমাণ পায় তদন্ত দল। পরে তারা তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দেয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, হাটবাজার ইজারার টাকা যথাসময়ে আদায় না হলেও আইনগত পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তিনি প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ছাড়াই ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৫ টাকার টেন্ডার করেছেন। ২০২০-২০২১ পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী তিন বছরের বরাদ্দ থেকে সমন্বয় করার কারণে পরবর্তী বছরগুলোতেও টেন্ডার করেছেন।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে পৌরসভার গরিব দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকার মধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯০ টাকা বিতরণে স্বচ্ছতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৩ জন কর্মচারীকে মাস্টাররোলে নিয়োগে কোনো বিধিবিধান মানা হয়নি এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধার্যকৃত নিবন্ধন ও নবায়ন ফি থেকে আয় নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করে বর্ণিত খাতের বাইরে বেতন-ভাতা সম্মানী খাতে ব্যয় করা হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভায় ৬১টি বিল বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা দীর্ঘদিন বকেয়া থাকলেও তা আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে পৌরসভার জমির ভাড়া দাবি করে ২৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় পৌরসভা উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৮ লাখ টাকা ভবন নির্মাণ না করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা প্রদান করেছেন, যা বিধিসম্মত হয়নি।
উল্লেখিত অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ২০০৯-এর ধারা ৩২-এর উপধারা (১) (ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে একই আইনের ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে কেন তাঁকে উক্ত আইনের ধারা ৩২-এর উপধারা (২) ও (৩) অনুয়ায়ী মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরখাস্ত পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে সমস্ত অভিযোগ ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করে আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করে অব্যাহতি দিয়েছে, সেই সব পুরোনো অভিযোগই আবার নতুন করে উপস্থাপন করে আমাকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এটি করা হয়েছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।’
এদিকে পৌরসভার কার্যক্রম চলমান রাখতে প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলালকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২১ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩১ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে