শিপুল ইসলাম, রংপুর

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে কৃষকদের দাবি, ঘুষ, হয়রানি, পরিবহন ব্যয়সহ নানা কারণে তাঁরা ধান দিচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরে সংগ্রহ শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯০ দিনে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর। সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। এমন অবস্থায় চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার সরকারিভাবে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে ৬ হাজার ৩৮ টন ধান এবং ৪০৬টি চালকল থেকে ১২ হাজার ৪৬০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চালের দাম ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। ৯০ দিনে মাত্র ১৮১ টন ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ, যা লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের নিচে। তবে শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরেও আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। সে সময় ৯ হাজার ৪৩ টন আমন ধান ও ১৫ হাজার ৮৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেবারও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম ১৪ ভাগ আর্দ্রতা না হলে ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের জন্য, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকদের চাঁদায় ৫০০-৬০০ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদাম কয়েক বছর ধরে ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির কৃষক সোনা মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থাকি ১০ কিলো দূরোত খাদ্যগুদাম। ওটে ধান নিগাইলে ৩০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝামেলা অনেক। ধান অল্পে আনা কম শুকনা হইলে নিবার চায় না, বস্তাতে ৩০-৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া, শ্রমিকের চাঁদা তো আছেই। ব্যাংকোত টাকার জন্যে দৌড়াদৌড়ি তো আছে। মাঠোত পুড়ি আবাদ করি এত কষ্ট কায় করে। ওই জন্যে দুই টাকা কম হইলো এ্যালা বাড়িতে পাইকারের কাছোত ধান বেচাই।’
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি গ্রামের কৃষক রাতুল মণ্ডল জানান, ধান মাড়াইয়ের পর উঠানেই ৮২০ টাকা মণ দরে পাইকার ধান কিনে নেয়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্য শুকিয়ে দিতে গেলে হয় ২১ থেকে ২৪ কেজি। ৩০ টাকা দরে তার দাম ৬৩০ থেকে ৭৩৫ টাকা। হিসাব করলে খাদ্যগুদামে ধান দিতে প্রতি মণে লস তাঁর ১০০ টাকা। এ জন্য তিনি খাদ্যগুদামে ধান দেন না।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে কোনো আর্দ্রতার পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ধান-চাল সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ। এবারও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে কৃষকদের দাবি, ঘুষ, হয়রানি, পরিবহন ব্যয়সহ নানা কারণে তাঁরা ধান দিচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরে সংগ্রহ শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯০ দিনে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর। সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। এমন অবস্থায় চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার সরকারিভাবে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে ৬ হাজার ৩৮ টন ধান এবং ৪০৬টি চালকল থেকে ১২ হাজার ৪৬০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চালের দাম ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। ৯০ দিনে মাত্র ১৮১ টন ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ, যা লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের নিচে। তবে শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরেও আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। সে সময় ৯ হাজার ৪৩ টন আমন ধান ও ১৫ হাজার ৮৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেবারও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম ১৪ ভাগ আর্দ্রতা না হলে ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের জন্য, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকদের চাঁদায় ৫০০-৬০০ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদাম কয়েক বছর ধরে ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির কৃষক সোনা মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থাকি ১০ কিলো দূরোত খাদ্যগুদাম। ওটে ধান নিগাইলে ৩০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝামেলা অনেক। ধান অল্পে আনা কম শুকনা হইলে নিবার চায় না, বস্তাতে ৩০-৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া, শ্রমিকের চাঁদা তো আছেই। ব্যাংকোত টাকার জন্যে দৌড়াদৌড়ি তো আছে। মাঠোত পুড়ি আবাদ করি এত কষ্ট কায় করে। ওই জন্যে দুই টাকা কম হইলো এ্যালা বাড়িতে পাইকারের কাছোত ধান বেচাই।’
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি গ্রামের কৃষক রাতুল মণ্ডল জানান, ধান মাড়াইয়ের পর উঠানেই ৮২০ টাকা মণ দরে পাইকার ধান কিনে নেয়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্য শুকিয়ে দিতে গেলে হয় ২১ থেকে ২৪ কেজি। ৩০ টাকা দরে তার দাম ৬৩০ থেকে ৭৩৫ টাকা। হিসাব করলে খাদ্যগুদামে ধান দিতে প্রতি মণে লস তাঁর ১০০ টাকা। এ জন্য তিনি খাদ্যগুদামে ধান দেন না।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে কোনো আর্দ্রতার পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ধান-চাল সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ। এবারও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
শিপুল ইসলাম, রংপুর

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে কৃষকদের দাবি, ঘুষ, হয়রানি, পরিবহন ব্যয়সহ নানা কারণে তাঁরা ধান দিচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরে সংগ্রহ শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯০ দিনে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর। সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। এমন অবস্থায় চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার সরকারিভাবে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে ৬ হাজার ৩৮ টন ধান এবং ৪০৬টি চালকল থেকে ১২ হাজার ৪৬০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চালের দাম ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। ৯০ দিনে মাত্র ১৮১ টন ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ, যা লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের নিচে। তবে শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরেও আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। সে সময় ৯ হাজার ৪৩ টন আমন ধান ও ১৫ হাজার ৮৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেবারও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম ১৪ ভাগ আর্দ্রতা না হলে ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের জন্য, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকদের চাঁদায় ৫০০-৬০০ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদাম কয়েক বছর ধরে ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির কৃষক সোনা মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থাকি ১০ কিলো দূরোত খাদ্যগুদাম। ওটে ধান নিগাইলে ৩০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝামেলা অনেক। ধান অল্পে আনা কম শুকনা হইলে নিবার চায় না, বস্তাতে ৩০-৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া, শ্রমিকের চাঁদা তো আছেই। ব্যাংকোত টাকার জন্যে দৌড়াদৌড়ি তো আছে। মাঠোত পুড়ি আবাদ করি এত কষ্ট কায় করে। ওই জন্যে দুই টাকা কম হইলো এ্যালা বাড়িতে পাইকারের কাছোত ধান বেচাই।’
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি গ্রামের কৃষক রাতুল মণ্ডল জানান, ধান মাড়াইয়ের পর উঠানেই ৮২০ টাকা মণ দরে পাইকার ধান কিনে নেয়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্য শুকিয়ে দিতে গেলে হয় ২১ থেকে ২৪ কেজি। ৩০ টাকা দরে তার দাম ৬৩০ থেকে ৭৩৫ টাকা। হিসাব করলে খাদ্যগুদামে ধান দিতে প্রতি মণে লস তাঁর ১০০ টাকা। এ জন্য তিনি খাদ্যগুদামে ধান দেন না।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে কোনো আর্দ্রতার পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ধান-চাল সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ। এবারও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে কৃষকদের দাবি, ঘুষ, হয়রানি, পরিবহন ব্যয়সহ নানা কারণে তাঁরা ধান দিচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরে সংগ্রহ শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯০ দিনে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর। সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। এমন অবস্থায় চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার সরকারিভাবে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে ৬ হাজার ৩৮ টন ধান এবং ৪০৬টি চালকল থেকে ১২ হাজার ৪৬০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চালের দাম ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। ৯০ দিনে মাত্র ১৮১ টন ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ, যা লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের নিচে। তবে শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরেও আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। সে সময় ৯ হাজার ৪৩ টন আমন ধান ও ১৫ হাজার ৮৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেবারও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম ১৪ ভাগ আর্দ্রতা না হলে ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের জন্য, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকদের চাঁদায় ৫০০-৬০০ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদাম কয়েক বছর ধরে ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির কৃষক সোনা মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থাকি ১০ কিলো দূরোত খাদ্যগুদাম। ওটে ধান নিগাইলে ৩০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝামেলা অনেক। ধান অল্পে আনা কম শুকনা হইলে নিবার চায় না, বস্তাতে ৩০-৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া, শ্রমিকের চাঁদা তো আছেই। ব্যাংকোত টাকার জন্যে দৌড়াদৌড়ি তো আছে। মাঠোত পুড়ি আবাদ করি এত কষ্ট কায় করে। ওই জন্যে দুই টাকা কম হইলো এ্যালা বাড়িতে পাইকারের কাছোত ধান বেচাই।’
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি গ্রামের কৃষক রাতুল মণ্ডল জানান, ধান মাড়াইয়ের পর উঠানেই ৮২০ টাকা মণ দরে পাইকার ধান কিনে নেয়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্য শুকিয়ে দিতে গেলে হয় ২১ থেকে ২৪ কেজি। ৩০ টাকা দরে তার দাম ৬৩০ থেকে ৭৩৫ টাকা। হিসাব করলে খাদ্যগুদামে ধান দিতে প্রতি মণে লস তাঁর ১০০ টাকা। এ জন্য তিনি খাদ্যগুদামে ধান দেন না।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে কোনো আর্দ্রতার পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ধান-চাল সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ। এবারও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে