Ajker Patrika

তারাগঞ্জে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

শিপুল ইসলাম, রংপুর
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ২০
তারাগঞ্জে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন অভিভাবকও শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এবং পরে আবার বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তাঁরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসব। সেখানে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে।’

জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ২১ জন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সদস্যই সাতজন। অভিযোগ উঠেছে, আধিপত্য বিস্তারের জন্য গোপনে প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্ত্রী, ভাই, ভাতিজা, ভাতিজা বউকে চাকরি পাইয়ে দেন। এরপর গড়ে তোলেন দুর্নীতির সাম্রাজ্য।

রংপুর শহরে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল বাড়ি, গ্রামে করেছেন কোটি টাকার জমি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হন অভিভাবক ও  শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের লোকজন।

গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান কেন ইউএনওকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এরপর আজ রোববার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের বড়গোলা এলাকায় ঘনিরাপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯৬ সালে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান আলিয়ার রহমান। এরপর তাঁর বড় ভাই মফিজাল রহমানকে কৌশলে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করেন।

বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ২১ জন। এর মধ্যে সাতজনই প্রধান শিক্ষকের স্বজন।

বড়গোলা গ্রামের অভিভাবক মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান ও সভাপতি মফিজাল মিলে আধিপত্য বিস্তারের জন্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজা বউকে নিয়োগ পাইয়ে দেন।

২০০০ সালে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আলেয়া বেগম সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে ভাতিজা আজম আলী, ২০১৬ সালে ভাতিজার স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

এরপর ২০২২ সালে আরেক ভাতিজা আজমির সরকারকে পিয়ন ও ভাতিজার স্ত্রীকে মালি পদে নিয়োগ দেন। ২০২৩ সালে প্রধান শিক্ষক তাঁর আরেক ভাজিতাকে ঝাড়ুদার পদে নিয়োগ দেন।

অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা অভিযোগ করেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পরিবারের শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যাপারে কেউ কথা বলতে পারেন না। অন্য শিক্ষকেরাও ভয়ে থাকেন। এই সুযোগে প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম করেন। কেউ কিছু বললে হুমকি–ধমকি দেন।

Rangpur-2শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রতি মাসে ৫০ টাকা, বই বিতরণে রসিদ ছাড়াই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রতিটি পরীক্ষার ফি বাবদ ৬০০-৮০০, এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধনের নামে ৮০০ টাকা, ফরম পূরণের সময় বোর্ড ফির চার গুণ অতিরিক্ত টাকা, নম্বরপত্র উত্তোলনে ৩০০ টাক, প্রশংসাপত্রের জন্য ৪০০ এবং সনদ উত্তোলন বাবদ ৪০০ টাকা বাধ্যতামূলক আদায় করেন প্রধান শিক্ষক।

এগুলোর কোনো রসিদ দেন না। এভাবে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে গত কয়েক বছরে টাকা আদায় করে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর শহরে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান বলেন, ‘ভাই নিজের জমি–জায়গা দিয়ে অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয় আমার ভাইসহ প্রতিষ্ঠা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী আমার ভাই মফিজাল রহমান সভাপতি হয়েছেন। বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একটি মহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে এসব করাচ্ছে।’

অভিভাবক নাজির উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক তাঁর ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। সব বিদ্যালয় থেকে এখানে লেখাপড়ার খরচ অনেক বেশি। তাঁদের দাপটে কেউ কথা বলতে সাহস পান না। বিদ্যালয়ের অর্থ প্রধান শিক্ষকের পুরো পরিবার লুটপাট করে খেয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্কুলে কোনো কাগজ স্বাক্ষর করতে গেলেও টাকা লাগে। কিছু বললে হেড স্যার টিসি দেওয়ার হুমকি দেন। উনার স্ত্রী, ভাতিজারাও ভয় দেখান। এ জন্য স্যারের পদত্যাগের দাবিতে আমরা সড়কে দাঁড়াইছি। পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।’

তারাগঞ্জের ইউএনও রুবেল রানা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরই ৮ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেক ডিজঅনারের মামলা: ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েদির মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।

ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে  ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।

জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির স্মরণে ঝালকাঠিতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠি শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা হয়। এর আগের দিন রাতে পৌর শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণ শিল্পী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা এতে অংশ নেন।

আয়োজকেরা জানান, কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে পর্যায়ক্রমে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন হবে। এই উদ্যোগ স্থানীয় তরুণসমাজের মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা জাগাবে এবং ন্যায়বিচারের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ‘এই গ্রাফিতি শুধু স্মরণ নয়, এটি প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের আহ্বান। শহীদ ওসমান হাদির আদর্শ ও হত্যার বিচারের দাবিকে আমরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর হিসেবে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এ বন্দর সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে।

সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং সীমান্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

উদ্বোধন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে গিয়ে কৃষক দল নেতার মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি
খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি । ছবি: সংগৃহীত
খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি । ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার পূর্বাচলে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। যাত্রাপথে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরে পৌঁছালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আক্তারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই কৃষক দল নেতাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তানজিরুল ইসলাম মামুন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমাদের নেতা তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। এ উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার সময় বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়। এ সময় লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি গাড়িবহরে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করেন। সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত