প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধার)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে। তিস্তা নদী বিধৌত এ জনপদের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকোটি দুপাশের প্রায় ১৩ টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সেই বাঁশের সাঁকো টিও এখন নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিস্তা নদীর শাখা খালের ওপর কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয় কাঠের সেতু। কিন্তু দুই বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় সেই সেতুটিও ভেঙে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয় কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে আবারও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় সাঁকোটি। হাজারো মানুষের চলাচলের ফলে সেই সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নড়বড়ে আর ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিরুপায় হয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি তুললেও কোন ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে নানা সময় প্রতিশ্রুতি পেলেও সেতু নিয়ে কোনো সুফল পাননি স্থানীয়রা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। এতে যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে বড় দুর্ঘটনায় আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
জানা যায়, বুড়াইল এলাকার এই সাঁকো দিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, চরখোর্দ্দা, লাটশালা, বৈরাগীপাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামসহ মোট ১৩ টি গ্রামের কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ প্রতি নিয়ত চলাচল করেন। দুই উপজেলার মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকোটি। এ ছাড়া হাজারো স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর ওপর দিয়ে।
লাটশালা গ্রামের মানিক ব্যাপারী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমরা একটা ব্রিজের দাবি করে আসছি। কিন্তু নানা সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।
একই গ্রামের বৃদ্ধ মজিবুর রহমান বলেন, `সাঁকোত উঠলে মোর কইলজা ধকধক করে বাপো। কখন যে ভাঙি পরোম সেই ভয় নিয়া হাঁটি আসনু। এত দিন ধরি হামাক ব্রিজ করি দিবার চায়া ভোট নেয় আর ভোটে হইলে খোঁজ নেয় না।'
এ ব্যাপারে তারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, `আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলাম। আমি এ বছর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সেতুর বরাদ্দে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। আশা করছি এই বছরেই সেতুর কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ব্রিজ নির্মাণে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত ব্রিজটি হয়ে যাবে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে। তিস্তা নদী বিধৌত এ জনপদের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকোটি দুপাশের প্রায় ১৩ টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সেই বাঁশের সাঁকো টিও এখন নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিস্তা নদীর শাখা খালের ওপর কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয় কাঠের সেতু। কিন্তু দুই বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় সেই সেতুটিও ভেঙে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয় কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে আবারও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় সাঁকোটি। হাজারো মানুষের চলাচলের ফলে সেই সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নড়বড়ে আর ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিরুপায় হয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি তুললেও কোন ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে নানা সময় প্রতিশ্রুতি পেলেও সেতু নিয়ে কোনো সুফল পাননি স্থানীয়রা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। এতে যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে বড় দুর্ঘটনায় আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
জানা যায়, বুড়াইল এলাকার এই সাঁকো দিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, চরখোর্দ্দা, লাটশালা, বৈরাগীপাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামসহ মোট ১৩ টি গ্রামের কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ প্রতি নিয়ত চলাচল করেন। দুই উপজেলার মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকোটি। এ ছাড়া হাজারো স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর ওপর দিয়ে।
লাটশালা গ্রামের মানিক ব্যাপারী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমরা একটা ব্রিজের দাবি করে আসছি। কিন্তু নানা সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।
একই গ্রামের বৃদ্ধ মজিবুর রহমান বলেন, `সাঁকোত উঠলে মোর কইলজা ধকধক করে বাপো। কখন যে ভাঙি পরোম সেই ভয় নিয়া হাঁটি আসনু। এত দিন ধরি হামাক ব্রিজ করি দিবার চায়া ভোট নেয় আর ভোটে হইলে খোঁজ নেয় না।'
এ ব্যাপারে তারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, `আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলাম। আমি এ বছর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সেতুর বরাদ্দে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। আশা করছি এই বছরেই সেতুর কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ব্রিজ নির্মাণে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত ব্রিজটি হয়ে যাবে।
বরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
৪ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
৪ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে মব সৃষ্টি করে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হানিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে। হানিফ উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।
৪ ঘণ্টা আগে