ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আবারও আন্দোলনে ফিরেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর কাজীপাড়া ও চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দারা। জমি অধিগ্রহণ না করা পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়েছেন এলাকাবাসী।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পূর্ব পাশে ৯ নম্বর হামিদপুর ইউনিয়নের চৌহাটি ও বাঁশপুকুর কাজীপাড়ার মধ্যবর্তী জমিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দুটি গ্রামের কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুন্নবী সোহানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা এস এম নুরুজ্জামান জামান, কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব সালমান মাহমুদ, কমিটির সহসভাপতি মাহামুদুন্নবী মিলন, জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির অর্থ উপদেষ্টা আতাউর রহমান, তুহিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘এই কয়লাখনি করার সময় আমাদের নানা রকম প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তা কখনোই বাস্তবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ। ভূগর্ভে বোমা বিস্ফোরণের কারণে আমাদের বাড়ি-ঘরে ফাটল ধরছে। ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ভূগর্ভে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বারবার আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও তারা নানা রকম মিথ্যা আশ্বাস, জরিপ, অনুসন্ধান, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করছে।’ তাঁদের দাবি, ‘আমাদের জমি অধিগ্রহণ করতে হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। শোনা যাচ্ছে, খনি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করছে। তাই আমাদের জমিতে খনি কর্তৃপক্ষকে আর প্রবেশ করতে দেব না। সে কারণে আজ লাল পতাকা টাঙিয়ে দিলাম। তার পরও যদি আমাদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তারাই দায়ী থাকবে।’
বক্তব্য শেষে চৌহাটি ও বাঁশপুকুর গ্রামের বিস্তীর্ণ অনধিগ্রহণকৃত জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সব ধরনের প্রবেশ নিষেধ ঘোষণা করেন এলাকাবাসী।
গ্রামবাসী জানান, পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবৈধভাবে ভূগর্ভে বিস্ফোরক ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রদান, সিআরএস ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সুপেয় পানির সংকট দূর করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রামবাসী কর্মসূচি দিয়েছে, তা আমরা শুনেছি। তাদের সমস্যাগুলো সার্ভে করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। কমিটির লোকজন ওই সব এলাকায় গিয়ে সার্ভে করলে তারপর তাদের সমস্যাগুলোর বিষয়ে জানতে পারব এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। কিন্তু গ্রামবাসী যদি তাদের এলাকায় প্রবেশ করতে না দেয়, তবে কী করে আমরা সার্ভে করব এবং সমস্যাগুলো দেখব? জমি অধিগ্রহণ করতে হলেও আগে তা যাচাই করতে হবে, সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। নইলে কী করে আমরা কাজ করব?’
দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আবারও আন্দোলনে ফিরেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর কাজীপাড়া ও চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দারা। জমি অধিগ্রহণ না করা পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়েছেন এলাকাবাসী।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পূর্ব পাশে ৯ নম্বর হামিদপুর ইউনিয়নের চৌহাটি ও বাঁশপুকুর কাজীপাড়ার মধ্যবর্তী জমিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দুটি গ্রামের কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুন্নবী সোহানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা এস এম নুরুজ্জামান জামান, কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব সালমান মাহমুদ, কমিটির সহসভাপতি মাহামুদুন্নবী মিলন, জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির অর্থ উপদেষ্টা আতাউর রহমান, তুহিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘এই কয়লাখনি করার সময় আমাদের নানা রকম প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তা কখনোই বাস্তবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ। ভূগর্ভে বোমা বিস্ফোরণের কারণে আমাদের বাড়ি-ঘরে ফাটল ধরছে। ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ভূগর্ভে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বারবার আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও তারা নানা রকম মিথ্যা আশ্বাস, জরিপ, অনুসন্ধান, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করছে।’ তাঁদের দাবি, ‘আমাদের জমি অধিগ্রহণ করতে হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। শোনা যাচ্ছে, খনি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করছে। তাই আমাদের জমিতে খনি কর্তৃপক্ষকে আর প্রবেশ করতে দেব না। সে কারণে আজ লাল পতাকা টাঙিয়ে দিলাম। তার পরও যদি আমাদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তারাই দায়ী থাকবে।’
বক্তব্য শেষে চৌহাটি ও বাঁশপুকুর গ্রামের বিস্তীর্ণ অনধিগ্রহণকৃত জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সব ধরনের প্রবেশ নিষেধ ঘোষণা করেন এলাকাবাসী।
গ্রামবাসী জানান, পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবৈধভাবে ভূগর্ভে বিস্ফোরক ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রদান, সিআরএস ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সুপেয় পানির সংকট দূর করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রামবাসী কর্মসূচি দিয়েছে, তা আমরা শুনেছি। তাদের সমস্যাগুলো সার্ভে করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। কমিটির লোকজন ওই সব এলাকায় গিয়ে সার্ভে করলে তারপর তাদের সমস্যাগুলোর বিষয়ে জানতে পারব এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। কিন্তু গ্রামবাসী যদি তাদের এলাকায় প্রবেশ করতে না দেয়, তবে কী করে আমরা সার্ভে করব এবং সমস্যাগুলো দেখব? জমি অধিগ্রহণ করতে হলেও আগে তা যাচাই করতে হবে, সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। নইলে কী করে আমরা কাজ করব?’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৪ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৯ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৪ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে