রংপুর ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভারতকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, আগেও বলেছি, এখনো বলছি। বাংলাদেশের মানুষের সাথে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেন। আমাদের সঙ্গে বড় দাদা আর মাস্তানমুখী আচরণ বন্ধ করেন। আমরা আমাদের পায়ের ওপরে দাঁড়াতে চাই। আমরা আমাদের হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে একটা বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, সে বন্ধুত্ব হবে সম্মানের সঙ্গে, আমার যে পাওনা আছে, সে পাওয়া বুঝে দেওয়ার সঙ্গে।’
আজ সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু তিস্তা নয়; ৫৪টি নদী আছে, যেগুলো ভারত থেকে আমাদের দেশে আসে। সবগুলো নদী উজানে তারা (ভারত) বাঁধ দিয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি তুলে নিয়ে যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আর আমাদের দেশের মানুষ এখানে ধান ফলাতে পারে না, ফসল ফলাতে পারে না। এখানের মানুষ জীবন-জীবিকা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের জেলে যাঁরা মাছ ধরেন, তাঁরা মাছ ধরতে পারেন না।’
আওয়ামী লীগ ও ভারতের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষকে আজকে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। আমরা লড়াই করেছি ১৫ বছর। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। সকলের লড়াইয়ের মাধ্যমে পালিয়েছে, কোথায়? ওই ভারতে। একদিকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের যে শত্রু, তাঁকে দিল্লিতে রাজার হালে বসায় রাখছে। ওইখান থেকে আবার সে বিভিন্ন রকম হুকুম জারি করে।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আছে নাকি এ্যালা। পালাইছে। বন্ধুগণ আজকের এই সংগ্রাম বাঁচা-মরার সংগ্রাম, এই এলাকার মানুষের সংগ্রাম। এই সংগ্রামকে আমরা কখনো বন্ধ হতে দেব না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার। কথায় কথায় আপনারা বলেন নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ কিন্তু এই জায়গায় থাকলে চলবে না। এই জায়গায় আপনাকে মুখ খুলতে হবে। ভারতকে বলতে হবে যে আমার পানির ন্যায্য হিস্যা আমি চাই। আর আপনি যে অন্তর্বর্তী সরকার, তাড়াতাড়ি নির্বাচনটা দিন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেন।’
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। অন্যদের মধ্যে একই মঞ্চে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও নদীপারের ভুক্তভোগী নুর বকস।
সমাবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তিস্তা নদীর দুই পারের ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি পয়েন্টে করা হয়েছে মঞ্চ ও থাকার ব্যবস্থা। তিস্তাপারের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষনির্বিশেষে দলে দলে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখরিত করে তোলে তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামলে প্রতিটি পয়েন্ট কানায় কানায় ভরে ওঠে।
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভারতকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, আগেও বলেছি, এখনো বলছি। বাংলাদেশের মানুষের সাথে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেন। আমাদের সঙ্গে বড় দাদা আর মাস্তানমুখী আচরণ বন্ধ করেন। আমরা আমাদের পায়ের ওপরে দাঁড়াতে চাই। আমরা আমাদের হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে একটা বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, সে বন্ধুত্ব হবে সম্মানের সঙ্গে, আমার যে পাওনা আছে, সে পাওয়া বুঝে দেওয়ার সঙ্গে।’
আজ সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু তিস্তা নয়; ৫৪টি নদী আছে, যেগুলো ভারত থেকে আমাদের দেশে আসে। সবগুলো নদী উজানে তারা (ভারত) বাঁধ দিয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি তুলে নিয়ে যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আর আমাদের দেশের মানুষ এখানে ধান ফলাতে পারে না, ফসল ফলাতে পারে না। এখানের মানুষ জীবন-জীবিকা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের জেলে যাঁরা মাছ ধরেন, তাঁরা মাছ ধরতে পারেন না।’
আওয়ামী লীগ ও ভারতের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষকে আজকে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। আমরা লড়াই করেছি ১৫ বছর। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। সকলের লড়াইয়ের মাধ্যমে পালিয়েছে, কোথায়? ওই ভারতে। একদিকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের যে শত্রু, তাঁকে দিল্লিতে রাজার হালে বসায় রাখছে। ওইখান থেকে আবার সে বিভিন্ন রকম হুকুম জারি করে।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আছে নাকি এ্যালা। পালাইছে। বন্ধুগণ আজকের এই সংগ্রাম বাঁচা-মরার সংগ্রাম, এই এলাকার মানুষের সংগ্রাম। এই সংগ্রামকে আমরা কখনো বন্ধ হতে দেব না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার। কথায় কথায় আপনারা বলেন নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ কিন্তু এই জায়গায় থাকলে চলবে না। এই জায়গায় আপনাকে মুখ খুলতে হবে। ভারতকে বলতে হবে যে আমার পানির ন্যায্য হিস্যা আমি চাই। আর আপনি যে অন্তর্বর্তী সরকার, তাড়াতাড়ি নির্বাচনটা দিন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেন।’
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। অন্যদের মধ্যে একই মঞ্চে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও নদীপারের ভুক্তভোগী নুর বকস।
সমাবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তিস্তা নদীর দুই পারের ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি পয়েন্টে করা হয়েছে মঞ্চ ও থাকার ব্যবস্থা। তিস্তাপারের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষনির্বিশেষে দলে দলে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখরিত করে তোলে তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামলে প্রতিটি পয়েন্ট কানায় কানায় ভরে ওঠে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
২৮ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে