Ajker Patrika

শুধুই আশ্বাস, ছাত্রলীগ কর্মী সবুজের পরিবারের পাশে নেই কেউ

নীলফামারী প্রতিনিধি
শুধুই আশ্বাস, ছাত্রলীগ কর্মী সবুজের পরিবারের পাশে নেই কেউ

নীলফামারী সদরের আরাজী দলুয়া বাংলা বাজারের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বাদশা দিনমজুরি ও তাঁর স্ত্রী সূর্য্য বানু কাজ করেন অন্যের বাড়িতে। দুজনের সামান্য আয়ে সাত সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের পাশাপাশি ছেলে সবুজ আলীকে পড়াচ্ছিলেন ঢাকা কলেজে। খরচ জোগাতে সবুজ ঢাকায় রিকশা চালিয়েছেন, দোকানে কাজ করেছেন। স্বপ্ন দেখছিলেন, পড়াশোনা শিখে ধরবেন সংসারের হাল; কিন্তু নিমেষেই সে স্বপ্ন নিভে গেল। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ। ছেলের এমন করুণ মৃত্যুতে পাগলপ্রায় মা সূর্য্য বানু ছেলেকে খুঁজছেন তাঁর ঘরে। ভাঙাচোরা টিনের ঘরের পাটকাঠির বেড়া ধরে দরজায় দাঁড়িয়ে ছেলের অপেক্ষায় ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকেন সকাল-সন্ধ্যা। এখনো ঘুমের ঘোরে সবুজ সবুজ বলে ডেকে ওঠেন। 

গত বৃহস্পতিবার সবুজের বাড়িতে গিয়ে কথা হলে বুক চাপড়ে সূর্য্য বানু বলেন, ‘আমার বেটাকে ওরা পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। যাদু মোর বাঁচার জন্য কতই না কাকুতি-মিনতি করেছে পাষানদের কাছে। ওদের দিলে কি একটু মায়া-দয়া নেই। আল্লাহ ওদের বিচার করবে।’ 

 এ সময় পাশে বসা সবুজের বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘মানুষের বাড়িতে দিনমজুরি করে সংসার চালাইছি। ছেলেও আমার ঢাকায় কখনো রিকশা চালাইছে, আবার কখনো অন্যের দোকানে কাজ করেছে। মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমার অন্য ছেলেকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জানাজার সময়; কিন্তু আজও কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেননি কেউ।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত