Ajker Patrika

রাজশাহীতে বৃষ্টিতে ক্রেতা হারাচ্ছে আম, কমেছে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৩, ১৯: ৫৪
রাজশাহীতে বৃষ্টিতে ক্রেতা হারাচ্ছে আম, কমেছে দাম

কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণে রাজশাহীতে আমের ক্রেতা কমে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আম নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু কেনার মতো লোক তেমন পাচ্ছেন না। বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারেও। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে আমের দাম কমে গেছে। এ জন্য বৃষ্টির কারণে নানা রকম ভোগান্তির কথা বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফুটপাতে আম বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের পর থেকেই খুচরা আমের এই বাজারে ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আম ব্যবসায়ী মো. তুহিন বলেন, ‘ঈদের পরদিনই দোকান খুলেছি, কিন্তু বৃষ্টি লেগেই আছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতারা ঠিকমতো আসছে না। বাধ্য হয়ে দাম কমাতে হচ্ছে।’

আরেক ব্যবসায়ী সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে আমের বাজার খারাপ হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আম শেষের দিকে। প্রতিবছর এই সময় আমের দাম বাড়তে থাকে। এবার বৃষ্টির কারণে চিত্র উল্টো। আম বিক্রি না করলে পচে যাবে। তাই কম দামে হলেও আম বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এতে লাভ থাকছে না।’

ক্রেতা না থাকায় অলস বসে থাকা কয়েকজন আম বিক্রেতাআজ সোমবার সকালে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে আম আনেন উপজেলার চামটা গ্রামের চাষি কোরবান আলী। তিনি বলেন, ঈদের আগে তিনি বাজারে লক্ষণভোগ বা লখনা আম বিক্রি করে গিয়েছেন দেড় হাজার টাকা মণ। আজ এই আম বিক্রি করতে হলো ১ হাজার ২০০ টাকায়। কোরবান বলেন, ‘আম না পাড়লিউ হচ্ছি না। বিষ্টিত সব আম গাছিই পাইকি যাচ্ছে। বাজারে আইনি কুনুরকমে ঠেইলি দেওয়া লাগছি। বিষ্টি না হোলি বাজারডা ভালো থাকত।’

বানেশ্বর বাজারের আম ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আজ এখানে ফজলি আম মণপ্রতি ১ হাজার ৩০০ টাকা, লখনা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং আম্রপালি ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে চাষিদের কাছ থেকে কিনেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ঈদের আগে এসব আমের দাম আরেকটু বেশি ছিল। ঈদের পরের দুই দিনে বৃষ্টির কারণে দাম কমেছে। তবে রবি ও সোমবার দাম কমেনি বলে দাবি করেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন, ‘এই বৃষ্টি কৃষির জন্য ভালো। চাষিরা আমন ধানের জন্য জমি প্রস্তুত করে নিতে পারছেন। পাটগাছ দ্রুত বেড়ে উঠবে। শুধু চরাঞ্চলে যেসব তিল কেটে রাখা হয়েছে, সেগুলো মাড়াই করতে সমস্যা হচ্ছে। আর আমের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। বৃষ্টির কারণে একসঙ্গে অতিরিক্ত আম পেকে যাবে। এ কারণে সবই বাজারে তুলতে হবে। তাতে দাম কিছুটা কমতে পারে। তা ছাড়া বৃষ্টি থাকলে আমের বাজারজাত প্রক্রিয়ায়ও একটু বিরূপ প্রভাব পড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত