চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটে চিরকুট লিখে ৯ জুলাই রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজুর মা সুফিয়া খানম শারীরিক নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, মামলায় দূর্জয় হাসান শান্ত (২৬), মোহাম্মদ টুটুল (৩০), জনি ইসলাম (২৩) ও মেহেদী হাসান প্রান্ত (২৮) নামের চার যুবককে আসামি করা হয়েছে।
আসামি চারজনই রাজুর বন্ধু হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এঁদের মধ্যে মেহেদী হাসান প্রান্ত পুলিশ কনস্টেবল পদে চট্টগ্রামে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারঘাট সদরের আড়ানী রোডে ফাইজা হার্ডওয়্যারস নামে রাজুর দোকান রয়েছে। সেখানে আসামি শান্ত, টুটুল ও জনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন। অন্য আসামি প্রান্ত ছুটিতে এলে সেখানে আড্ডা দিতেন। ৫ জুলাই ব্যবসার কাজে রাজুর কিছু টাকার প্রয়োজন হলে তাঁরা তাঁকে কিছু টাকা ধার দিতে রাজি হন। টাকা ধার দেওয়ার আশ্বাসে ৩০০ টাকার একটা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। রাজুর নিজের এবং তাঁর মা সুফিয়া খানমের ব্যাংকের চেকের পাতা নেন। কিন্তু তাঁরা রাজুকে কোনো টাকা দেননি।
এরপর ৮ জুলাই আসামিরা রাজুর কাছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে দোকান বন্ধ করে রাত ১০টার দিকে রাজু বাড়ি ফেরার সময় আসামিরা মাঝ রাস্তা থেকে রাজুকে ধরে নিয়ে চারঘাট পাইলট স্কুল মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন ও গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে আসামিদের হাত থেকে রাজুকে উদ্ধার করেন। এ সময় এক দিনের মধ্যে রাজু টাকা না দিলে পুরো পরিবারকে হেনস্তা করবে মর্মে হুমকি দেন। পরদিন সকালে রাজু অপমান নির্যাতন সইতে না পেরে ডায়েরিতে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মহত্যা করেন।
রাজুর মা সুফিয়া খানম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য প্রান্ত নির্যাতনের সময় গালিগালাজ করে আমার ছেলেকে বলেছে তোর কাছে থেকে টাকা নিতে চিটাগং থেকে প্লেন ভাড়া করে এসেছি। কীভাবে ছাই দিয়ে দড়ি পাকাতে হয় সেটা আমরা ভালোই জানি।’
রাজুর মা সুফিয়া খানম আরও বলেন, ‘আমি চারঘাটের ক্যাডেট কলেজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। রাজুর বাবা মারা গেছেন, অভিভাবক বলতে সবকিছুই আমি। এলাকায় আমাদের মানসম্মান আছে। এ জন্য আমার ছেলে এত অপমান ও নির্যাতন সইতে না পেরে ডায়েরিতে লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছে।’
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘রাজু আহমেদের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আনা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’
রাজশাহীর চারঘাটে চিরকুট লিখে ৯ জুলাই রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজুর মা সুফিয়া খানম শারীরিক নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, মামলায় দূর্জয় হাসান শান্ত (২৬), মোহাম্মদ টুটুল (৩০), জনি ইসলাম (২৩) ও মেহেদী হাসান প্রান্ত (২৮) নামের চার যুবককে আসামি করা হয়েছে।
আসামি চারজনই রাজুর বন্ধু হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এঁদের মধ্যে মেহেদী হাসান প্রান্ত পুলিশ কনস্টেবল পদে চট্টগ্রামে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারঘাট সদরের আড়ানী রোডে ফাইজা হার্ডওয়্যারস নামে রাজুর দোকান রয়েছে। সেখানে আসামি শান্ত, টুটুল ও জনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন। অন্য আসামি প্রান্ত ছুটিতে এলে সেখানে আড্ডা দিতেন। ৫ জুলাই ব্যবসার কাজে রাজুর কিছু টাকার প্রয়োজন হলে তাঁরা তাঁকে কিছু টাকা ধার দিতে রাজি হন। টাকা ধার দেওয়ার আশ্বাসে ৩০০ টাকার একটা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। রাজুর নিজের এবং তাঁর মা সুফিয়া খানমের ব্যাংকের চেকের পাতা নেন। কিন্তু তাঁরা রাজুকে কোনো টাকা দেননি।
এরপর ৮ জুলাই আসামিরা রাজুর কাছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে দোকান বন্ধ করে রাত ১০টার দিকে রাজু বাড়ি ফেরার সময় আসামিরা মাঝ রাস্তা থেকে রাজুকে ধরে নিয়ে চারঘাট পাইলট স্কুল মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন ও গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে আসামিদের হাত থেকে রাজুকে উদ্ধার করেন। এ সময় এক দিনের মধ্যে রাজু টাকা না দিলে পুরো পরিবারকে হেনস্তা করবে মর্মে হুমকি দেন। পরদিন সকালে রাজু অপমান নির্যাতন সইতে না পেরে ডায়েরিতে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মহত্যা করেন।
রাজুর মা সুফিয়া খানম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য প্রান্ত নির্যাতনের সময় গালিগালাজ করে আমার ছেলেকে বলেছে তোর কাছে থেকে টাকা নিতে চিটাগং থেকে প্লেন ভাড়া করে এসেছি। কীভাবে ছাই দিয়ে দড়ি পাকাতে হয় সেটা আমরা ভালোই জানি।’
রাজুর মা সুফিয়া খানম আরও বলেন, ‘আমি চারঘাটের ক্যাডেট কলেজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। রাজুর বাবা মারা গেছেন, অভিভাবক বলতে সবকিছুই আমি। এলাকায় আমাদের মানসম্মান আছে। এ জন্য আমার ছেলে এত অপমান ও নির্যাতন সইতে না পেরে ডায়েরিতে লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছে।’
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘রাজু আহমেদের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আনা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’
সূর্যমুখীর এই মাছঘাট তিন দশকের পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার ব্যবসায়ী ও জেলেরা শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। হঠাৎ একটি মহল ঘাটের ঠিক পাশে খালের দক্ষিণ পাড়ে নতুন মাছঘাট তৈরি করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিরোধ ও সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে।
১ মিনিট আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক এবং বগুড়া–ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো আওয়ামী লীগের পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
২১ মিনিট আগেঈদের আগের রাতে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার আগে তাঁকে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেই ঘটনা ভিডিও করে নিয়মিত ব্ল্যাকমেল করছিলেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি
২৬ মিনিট আগেহাবিবা কলাপাড়া উপজেলার মঙ্গলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পটুয়াখালীতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। উম্মে হাবিবা সুন্নাহর বাবা আহসান হাবিব চুন্নু বরিশালে ব্র্যাকের এলাকা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত এবং মা রাবেয়া সুলতানা রিপা একজন...
৩৭ মিনিট আগে