নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়। দুটি মামলারই বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। তিনিই এই তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার তিন আসামি হলেন মহেরাব হোসেন রিপন (৩৫), মো. জুলহাস (৪০) ও কে এম মাসুদ রানা (৪৬)। তিনজনই গ্রামীণ ব্যাংকের রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রিপন ও জুলহাস ছিলেন জ্যেষ্ঠ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক। আর মাসুদ রানা ছিলেন শাখা ব্যবস্থাপক (প্রিন্সিপাল অফিসার)। তিনজনই এখন বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন।
অভিযুক্ত রিপনের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিশিপাড়া গ্রামে। আর জুলহাসের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নামুদরখালী গ্রামে। মাসুদ রানা পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বিলবকরী গ্রামের বাসিন্দা। একটি মামলায় শুধু রিপনকে আসামি করা হয়েছে। অপর মামলায় মাসুদ রানা ও জুলহাসকে আসামি করা হয়েছে।
রিপনের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত নিমপাড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি সাতজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে এককালীন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৭ টাকা; একজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সবুজ জিপিএস হিসাবের মাসিক কিস্তি বাবদ ১২ হাজার ১৬০ টাকা, তিনজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের ৭১ হাজার টাকা আদায় করে কোনো টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া আরেকজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সহজ বা বিশেষ বিনিয়োগ ঋণের কিস্তির ৭৫০ টাকা কম জমা দিয়ে চারটি খাতে ১২ জন সদস্যের ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।
অন্যদিকে মাসুদ রানা ও জুলহাসের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি চারঘাটের নিমপাড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ২৫ জন সদস্যের পাশ বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে ঋণের এককালীন ১০ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৩ টাকা; ১৩ জন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সবুজ জিপিএস হিসাবের মাসিক কিস্তি বাবদ ৪৩ হাজার ৮৮৬ টাকা; পাঁচজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের ৯০ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা করেননি। এ ছাড়া অপর সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সহজ বা বিশেষ বিনিয়োগ ঋণের কিস্তির ৬ হাজার ৪৬৮ টাকা কম জমা দিয়ে মোট চারটি খাতে ৪৪ জন সদস্যের ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আর মাসুদ রানা ২০০৫ সালের ৩১ জুলাই চাকরিতে যোগ দেন। তিনি ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিমপাড়া শাখায় ছিলেন। আসামি জুলহাস তাঁর সহযোগিতায় তিনজন সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ঋণপ্রস্তাব তৈরি করে এরিয়া অফিস থেকে অনুমোদন নেন। তারপর ঋণ বিতরণ না করে ৮২ হাজার ২৬৪ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি জুলহাস এককভাবে ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ টাকা এবং অপর আসামি মাসুদ রানার সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে ৮২ হাজার ২৬৪ টাকাসহ মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬১ টাকা আত্মসাৎ করেন। সাবেক এই তিন কর্মকর্তার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা দুটি করা হয়।
রাজশাহীতে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়। দুটি মামলারই বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। তিনিই এই তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার তিন আসামি হলেন মহেরাব হোসেন রিপন (৩৫), মো. জুলহাস (৪০) ও কে এম মাসুদ রানা (৪৬)। তিনজনই গ্রামীণ ব্যাংকের রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রিপন ও জুলহাস ছিলেন জ্যেষ্ঠ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক। আর মাসুদ রানা ছিলেন শাখা ব্যবস্থাপক (প্রিন্সিপাল অফিসার)। তিনজনই এখন বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন।
অভিযুক্ত রিপনের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিশিপাড়া গ্রামে। আর জুলহাসের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নামুদরখালী গ্রামে। মাসুদ রানা পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বিলবকরী গ্রামের বাসিন্দা। একটি মামলায় শুধু রিপনকে আসামি করা হয়েছে। অপর মামলায় মাসুদ রানা ও জুলহাসকে আসামি করা হয়েছে।
রিপনের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত নিমপাড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি সাতজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে এককালীন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৭ টাকা; একজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সবুজ জিপিএস হিসাবের মাসিক কিস্তি বাবদ ১২ হাজার ১৬০ টাকা, তিনজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের ৭১ হাজার টাকা আদায় করে কোনো টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া আরেকজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সহজ বা বিশেষ বিনিয়োগ ঋণের কিস্তির ৭৫০ টাকা কম জমা দিয়ে চারটি খাতে ১২ জন সদস্যের ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।
অন্যদিকে মাসুদ রানা ও জুলহাসের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি চারঘাটের নিমপাড়া শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ২৫ জন সদস্যের পাশ বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে ঋণের এককালীন ১০ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৩ টাকা; ১৩ জন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সবুজ জিপিএস হিসাবের মাসিক কিস্তি বাবদ ৪৩ হাজার ৮৮৬ টাকা; পাঁচজন সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের ৯০ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা করেননি। এ ছাড়া অপর সদস্যের পাস বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে সহজ বা বিশেষ বিনিয়োগ ঋণের কিস্তির ৬ হাজার ৪৬৮ টাকা কম জমা দিয়ে মোট চারটি খাতে ৪৪ জন সদস্যের ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আর মাসুদ রানা ২০০৫ সালের ৩১ জুলাই চাকরিতে যোগ দেন। তিনি ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিমপাড়া শাখায় ছিলেন। আসামি জুলহাস তাঁর সহযোগিতায় তিনজন সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ঋণপ্রস্তাব তৈরি করে এরিয়া অফিস থেকে অনুমোদন নেন। তারপর ঋণ বিতরণ না করে ৮২ হাজার ২৬৪ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি জুলহাস এককভাবে ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ টাকা এবং অপর আসামি মাসুদ রানার সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে ৮২ হাজার ২৬৪ টাকাসহ মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬১ টাকা আত্মসাৎ করেন। সাবেক এই তিন কর্মকর্তার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা দুটি করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর ও পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ বিশেষ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৫ মিনিট আগেশরীয়তপুরের জাজিরায় খবির সরদার (৫৫) নামের এক কৃষকদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের নয়াবাজারসংলগ্ন ওমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ করেছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮টি ম্যাগাজিন ও ৫০৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাফ নদীর খরের দ্বীপ থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসব
২ ঘণ্টা আগেদেশের কোথাও বৈধ কোনো সিসা বার নেই। তবে রেস্তোরাঁর আড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এসব সিসা বার পরিচালনা করেন বলে দাবি করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক গোলাম আজম।
২ ঘণ্টা আগে