Ajker Patrika

ফাতরার বন: বনের শত শত গাছ কর্মকর্তাদের পেটে

  • এসব গাছের মধ্যে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, বাবলা ও গরান রয়েছে।
  • ৩ বছর ধরে এসব গাছ মরে যাচ্ছে।
  • সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
  • তদন্তে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: বন সংরক্ষক
মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা) 
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ০১
বরগুনার তালতলীর ফাতরার বনের উত্তর নিদ্রার চরে দাঁড়িয়ে রয়েছে শত শত মরা গাছ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার তালতলীর ফাতরার বনের উত্তর নিদ্রার চরে দাঁড়িয়ে রয়েছে শত শত মরা গাছ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিন বছর ধরে বরগুনার তালতলীর ফাতরার বনের উত্তর নিদ্রার চরের শত শত বিভিন্ন প্রজাতির বড় গাছ মরে যাচ্ছে। তবে সেগুলো বিক্রির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বন বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা সেসব গাছ চোরাই পথে বিক্রি করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আর চোরাই পথে গাছ বিক্রির সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ ফাতরার বনাঞ্চল। ৪০৪৮ দশমিক ৫৮ হেক্টর জমিরে গড়ে ওঠা এ বনে রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গরান, গেওয়া, রেইনট্রি, করমজা, বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। শত বছরের এ গাছগুলো এখন মূল্যবান গাছে পরিণত হয়েছে। ফাতরার বনকে বন বিভাগ সকিনা ও নিশানবাড়িয়া দুটি বিটে বিভক্ত করা হয়েছে। এ বনের সকিনা বিটের উত্তর নিদ্রার চর অন্তত ১০০ হেক্টর জমি নিয়ে বিস্তৃত। এই বনে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, বাবলা ও গরানগাছ রয়েছে। এর মধ্যে তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে গেছে। বন বিভাগের দাবি, সাগরের তুফানে গাছের গোড়ায় বালু জমা হয়ে শ্বাসমূল আটকে গেছে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে।

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ফাতরার বনের একাংশ উত্তর নিদ্রার চরে শত শত গাছ মরে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের ডালপালা শুকিয়ে গেছে। অনেক গাছের বৃহত্তম অংশ পচে যাচ্ছে। অনেক গাছ বালুর ওপরে লুটিয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় কাঠুরেরা ওই গাছ জ্বালানি কাঠ হিসেবে সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগের লোকজন শুধু দর্শক।

স্থানীয় নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘গাছ মারা গেলে বন বিভাগের লোকজনের লাভ। তাঁরা গোপনে অল্প অল্প করে ওই গাছ চোরাই পথে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সরকারি কোটি কোটি টাকার গাছ তাঁরা লোপাট করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর নিদ্রা চরে অসংখ্য মূল্যবান গাছ গত তিন বছর ধরে মরে যাচ্ছে। ওই গাছ বন বিভাগের লোকজন বিক্রি করছেন না। এতে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে চরে নতুন করে গাছ রোপণের সুযোগও থাকছে না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরে বসবাসরত কয়েকজন বলেন, ‘বন বিভাগ ২৭টি গাছ বিক্রি করছে। ওইগুলো লোকদেখানো মাত্র। ওই গাছ বিক্রির আড়ালে কতশত গাছ বিক্রি করছে, তার খবর কে রাখে? চোখের সামনে দেখছি, বনখেকোরা বিভিন্নভাবে গাছ নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন দেখেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বনরক্ষী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বনের বড় বড় গাছ মরে গেছে, চোখে দেখেও কিছু করতে পারছি না। এখানে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আমরা কী করব?’

সকিনা বিটের বিট কর্মকর্তা রাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বনের গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতনকে জানিয়েছি। তারাই ওই গাছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মরে যাওয়া গাছ বিক্রি করলে চরে নতুন করে গাছ রোপণ করা যেত।’

তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘গাছের গোড়ায় বালু জমা হয়ে শ্বাসমূল আটকে যাচ্ছে। ফলে গাছ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পেরে এবং গাছের বয়স বেশি হওয়ার কারণেও মারা যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরাই পথে কিছু গাছ বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আমির হোসেন বলেন, ‘উত্তর নিদ্রা চরের গাছ মারা যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে মরে যাওয়া গাছের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন থেকে চোরাই পথে গাছ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তদন্তে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ-বন সংরক্ষককে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের লোকজনকে বললেও তাঁরা আমলে নিতে চান না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে পানবোঝাই পিকআপ খাদে উল্টে দুজন নিহত, আহত ১

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৬
খাদে উল্টে পড়ে যাওয়া পানবোঝাই পিকআপ ভ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাদে উল্টে পড়ে যাওয়া পানবোঝাই পিকআপ ভ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনারগাঁয়ে অনুমতি ছাড়াই বসানো হয়েছে মেলা, অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বালুর মাঠে অবৈধ বিজয় মেলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বালুর মাঠে অবৈধ বিজয় মেলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।

জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।

মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।

মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।

মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।

কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০১
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শরিফ ওসমান হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শরিফ ওসমান হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।

আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।

ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’

হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’

এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।

তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে গেছে বাল্কহেড

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আজ সকালে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। ছবি: সংগৃহীত
আজ সকালে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।

নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত