মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)
তিন বছর ধরে বরগুনার তালতলীর ফাতরার বনের উত্তর নিদ্রার চরের শত শত বিভিন্ন প্রজাতির বড় গাছ মরে যাচ্ছে। তবে সেগুলো বিক্রির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বন বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা সেসব গাছ চোরাই পথে বিক্রি করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আর চোরাই পথে গাছ বিক্রির সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ ফাতরার বনাঞ্চল। ৪০৪৮ দশমিক ৫৮ হেক্টর জমিরে গড়ে ওঠা এ বনে রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গরান, গেওয়া, রেইনট্রি, করমজা, বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। শত বছরের এ গাছগুলো এখন মূল্যবান গাছে পরিণত হয়েছে। ফাতরার বনকে বন বিভাগ সকিনা ও নিশানবাড়িয়া দুটি বিটে বিভক্ত করা হয়েছে। এ বনের সকিনা বিটের উত্তর নিদ্রার চর অন্তত ১০০ হেক্টর জমি নিয়ে বিস্তৃত। এই বনে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, বাবলা ও গরানগাছ রয়েছে। এর মধ্যে তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে গেছে। বন বিভাগের দাবি, সাগরের তুফানে গাছের গোড়ায় বালু জমা হয়ে শ্বাসমূল আটকে গেছে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ফাতরার বনের একাংশ উত্তর নিদ্রার চরে শত শত গাছ মরে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের ডালপালা শুকিয়ে গেছে। অনেক গাছের বৃহত্তম অংশ পচে যাচ্ছে। অনেক গাছ বালুর ওপরে লুটিয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় কাঠুরেরা ওই গাছ জ্বালানি কাঠ হিসেবে সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগের লোকজন শুধু দর্শক।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘গাছ মারা গেলে বন বিভাগের লোকজনের লাভ। তাঁরা গোপনে অল্প অল্প করে ওই গাছ চোরাই পথে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সরকারি কোটি কোটি টাকার গাছ তাঁরা লোপাট করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর নিদ্রা চরে অসংখ্য মূল্যবান গাছ গত তিন বছর ধরে মরে যাচ্ছে। ওই গাছ বন বিভাগের লোকজন বিক্রি করছেন না। এতে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে চরে নতুন করে গাছ রোপণের সুযোগও থাকছে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরে বসবাসরত কয়েকজন বলেন, ‘বন বিভাগ ২৭টি গাছ বিক্রি করছে। ওইগুলো লোকদেখানো মাত্র। ওই গাছ বিক্রির আড়ালে কতশত গাছ বিক্রি করছে, তার খবর কে রাখে? চোখের সামনে দেখছি, বনখেকোরা বিভিন্নভাবে গাছ নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন দেখেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বনরক্ষী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বনের বড় বড় গাছ মরে গেছে, চোখে দেখেও কিছু করতে পারছি না। এখানে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আমরা কী করব?’
সকিনা বিটের বিট কর্মকর্তা রাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বনের গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতনকে জানিয়েছি। তারাই ওই গাছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মরে যাওয়া গাছ বিক্রি করলে চরে নতুন করে গাছ রোপণ করা যেত।’
তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘গাছের গোড়ায় বালু জমা হয়ে শ্বাসমূল আটকে যাচ্ছে। ফলে গাছ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পেরে এবং গাছের বয়স বেশি হওয়ার কারণেও মারা যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরাই পথে কিছু গাছ বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আমির হোসেন বলেন, ‘উত্তর নিদ্রা চরের গাছ মারা যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে মরে যাওয়া গাছের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন থেকে চোরাই পথে গাছ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তদন্তে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ-বন সংরক্ষককে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের লোকজনকে বললেও তাঁরা আমলে নিতে চান না।’
তিন বছর ধরে বরগুনার তালতলীর ফাতরার বনের উত্তর নিদ্রার চরের শত শত বিভিন্ন প্রজাতির বড় গাছ মরে যাচ্ছে। তবে সেগুলো বিক্রির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বন বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা সেসব গাছ চোরাই পথে বিক্রি করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আর চোরাই পথে গাছ বিক্রির সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ ফাতরার বনাঞ্চল। ৪০৪৮ দশমিক ৫৮ হেক্টর জমিরে গড়ে ওঠা এ বনে রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গরান, গেওয়া, রেইনট্রি, করমজা, বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। শত বছরের এ গাছগুলো এখন মূল্যবান গাছে পরিণত হয়েছে। ফাতরার বনকে বন বিভাগ সকিনা ও নিশানবাড়িয়া দুটি বিটে বিভক্ত করা হয়েছে। এ বনের সকিনা বিটের উত্তর নিদ্রার চর অন্তত ১০০ হেক্টর জমি নিয়ে বিস্তৃত। এই বনে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, বাবলা ও গরানগাছ রয়েছে। এর মধ্যে তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে গেছে। বন বিভাগের দাবি, সাগরের তুফানে গাছের গোড়ায় বালু জমা হয়ে শ্বাসমূল আটকে গেছে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ফাতরার বনের একাংশ উত্তর নিদ্রার চরে শত শত গাছ মরে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের ডালপালা শুকিয়ে গেছে। অনেক গাছের বৃহত্তম অংশ পচে যাচ্ছে। অনেক গাছ বালুর ওপরে লুটিয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় কাঠুরেরা ওই গাছ জ্বালানি কাঠ হিসেবে সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগের লোকজন শুধু দর্শক।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘গাছ মারা গেলে বন বিভাগের লোকজনের লাভ। তাঁরা গোপনে অল্প অল্প করে ওই গাছ চোরাই পথে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সরকারি কোটি কোটি টাকার গাছ তাঁরা লোপাট করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর নিদ্রা চরে অসংখ্য মূল্যবান গাছ গত তিন বছর ধরে মরে যাচ্ছে। ওই গাছ বন বিভাগের লোকজন বিক্রি করছেন না। এতে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে চরে নতুন করে গাছ রোপণের সুযোগও থাকছে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরে বসবাসরত কয়েকজন বলেন, ‘বন বিভাগ ২৭টি গাছ বিক্রি করছে। ওইগুলো লোকদেখানো মাত্র। ওই গাছ বিক্রির আড়ালে কতশত গাছ বিক্রি করছে, তার খবর কে রাখে? চোখের সামনে দেখছি, বনখেকোরা বিভিন্নভাবে গাছ নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন দেখেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বনরক্ষী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বনের বড় বড় গাছ মরে গেছে, চোখে দেখেও কিছু করতে পারছি না। এখানে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আমরা কী করব?’
সকিনা বিটের বিট কর্মকর্তা রাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বনের গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতনকে জানিয়েছি। তারাই ওই গাছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মরে যাওয়া গাছ বিক্রি করলে চরে নতুন করে গাছ রোপণ করা যেত।’
তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘গাছের গোড়ায় বালু জমা হয়ে শ্বাসমূল আটকে যাচ্ছে। ফলে গাছ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পেরে এবং গাছের বয়স বেশি হওয়ার কারণেও মারা যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরাই পথে কিছু গাছ বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আমির হোসেন বলেন, ‘উত্তর নিদ্রা চরের গাছ মারা যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে মরে যাওয়া গাছের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন থেকে চোরাই পথে গাছ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তদন্তে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ-বন সংরক্ষককে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের লোকজনকে বললেও তাঁরা আমলে নিতে চান না।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে (জিসিসি) চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত রক্ত আমাশয়ের (শিগেলা) টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিতে চায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। চীনা প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতা চেয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা রোগ)। গবাদিপশুর এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ উপসর্গ নিয়ে মারাও গেছেন মোছা. রোজিনা বেগম নামের এক নারী। কিন্তু সে তুলনায় নেই সচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা। ফলে চরম উৎকণ্ঠা আর উদ্বিগ্নে দিন কাটছে সুন্দরগঞ্জবাসীর।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ দাউদ মিয়া। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে স্থানীয়করণ-বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী শহরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটজন সন্দেহভাজন ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এটিকে ‘প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং’ বা সক্রিয় পুলিশি কার্যক্রমের একটি বড় সাফল্য বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের শ্মশানঘাট এলাকার পৌরসভার পিডিএস মাঠের সামনের রাস্তা
৪ ঘণ্টা আগে