Ajker Patrika

অবৈধভাবে মজুত বিপুল সার অভিযুক্ত বিক্রেতাকেই বিতরণের দায়িত্ব দিল প্রশাসন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২২: ১১
অবৈধভাবে মজুত বিপুল সার অভিযুক্ত বিক্রেতাকেই বিতরণের দায়িত্ব দিল প্রশাসন

বগুড়ার শেরপুরে ১ হাজার ৭৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) অবৈধ সার উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দীর্ঘ অভিযানে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আকন্দ ট্রেডার্সের গোডাউন থেকে ৬৩৩ বস্তা ডিএপি ও ৪৪০ বস্তা এমওপি সার আটক করা হয়। 

এলাকাবাসী জানান, গতকাল বেলা ১১টায় র‍্যাব-১২-এর একটি টিম ভবানীপুর বাজারে উপস্থিত হয়ে আকন্দ ট্রেডার্সে সার মজুতের নথিপত্র দেখতে চায়। দোকানের মালিক কলিম উদ্দিন আকন্দ তা দেখাতে ব্যর্থ হন। র‍্যাবের টিম সারগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপরে ওই দোকানের তিনটি গোডাউন থেকে ১ হাজার ৭৩ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এ সময় শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। 

তবে এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। কারণ, এর আগে অবৈধ সার-সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কৃষি কর্মকর্তা সারগুলো বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে সন্ধ্যায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ময়নুল ইসলাম ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে জব্দ সারগুলো তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অভিযানের বিষয়ে আমার কাছে সঠিক কোনো তথ্য ছিল না। র‍্যাব-১২ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেছে। আমি তাদের সহযোগিতা করেছি। তবে ওই খুচরা বিক্রেতার অবৈধ মজুত সম্পর্কে অবগত হয়ে আগে থেকেই বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।’

র‍্যাবের অভিযান সম্পর্কে আগে থেকে অবগত ছিলেন না বলে দাবি করেন শেরপুরের ইউএনও ময়নুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘আমি সকাল থেকেই প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বিকেলে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আটককৃত সার জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হলে স্থানীয় কৃষকদের বাধার মুখে পড়ি। কৃষকদের আশঙ্কা সার জব্দ করলে তাঁরা আগামী বোরো মৌসুমে ব্যাপক সংকটে পড়বেন। তাঁদের কথা চিন্তা করে সারগুলো বিক্রেতার কাছেই রাখা হয়েছে। বিক্রেতা যেন সেগুলো স্থানীয় কৃষকদের কাছে ন্যায্য দামে বিক্রি করে তা তদারকি করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ওই ব্যবসায়ীর গোডাউনে প্রায়ই রাতের অন্ধকারে প্রচুর পরিমাণে সার লোড-আনলোড করা হয়। আজকের এই অভিযানে মাত্র ১ হাজার ৭৩ বস্তা সার উদ্ধার হওয়ার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। তা ছাড়া ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

অবৈধভাবে সার মজুতকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, ‘স্থানীয় কৃষকদের কথা চিন্তা করেই আমরা সুষ্ঠুভাবে সার বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তবে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন এ ধরনের কাজ করতে না পারে এ বিষয়ে আমরা আরও তৎপর হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

দনবাস চান পুতিন—ন্যাটো তো নয়ই, পশ্চিমা সেনাও থাকবে না ইউক্রেনে

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত