নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যক্ষ আরসুজ্জামানের বিরুদ্ধে কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক দেওয়ান রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ করার পর আরসুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সম্প্রতি অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক একটি মামলার আসামি হয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর মোহনপুর সদরের নাহিদ পারভেজ নামের এক ব্যক্তি এই মামলা করেন। মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ গা ঢাকা দিয়েছেন।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক দেওয়ান গত ২০ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিষয়টি তদন্তের জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহীন মিয়াকে দায়িত্ব দেন। এই তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সুষ্ঠুভাবে কলেজ পরিচালনা করতে পারছেন না বলে তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। প্রায় ২৭ বছর ধরে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন আরসুজ্জামান মালেক।
পদত্যাগ করা এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের জমি দুই ছেলে ও লাইব্রেরিয়ানের নামে লিখে দেওয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তসলিম উদ্দিন ও শামিমা আকতার নামের কেউ কলেজে কখনো চাকরি করেননি। অথচ এ দুজনকে প্রভাষক নিয়োগ দেখিয়ে তাঁদের নামে আসা বেতন-ভাতা তুলে আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ। তিনি একই ইনডেক্সে অবৈধভাবে একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন তুলেছেন। অভিযোগপত্রে প্রমাণ হিসেবে এমপিও কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এমপিও কপিতে অধ্যক্ষ অবৈধভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয় পরিবর্তন করে প্যাটার্ন–বহির্ভূত নিয়োগ দিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অধ্যক্ষ তাঁর ছেলে মাহমুদুজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছেন এ কলেজের শিক্ষক হিসেবে। অভিযোগে বলা হয়, মাহমুদুজ্জামান সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তাঁকে কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর তিনি বেতন-ভাতা তুলছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের শিক্ষক হিসেবে। অধ্যক্ষের ছেলের নিয়োগের পুরোটিই ঘাপলা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ আরসুজ্জামানের জন্মতারিখ দুটি। প্রথম জন্মতারিখ অনুযায়ী ২০২০ সালেই তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেশি দিন চাকরিতে থাকতে তিনি দুটি জন্মতারিখ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক পরপর দুই মেয়াদের বেশি গভর্নিং বডিতে শিক্ষক প্রতিনিধি থাকতে পারবেন না। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁর অনুগত সহকারী অধ্যাপক রহিমা খাতুনকে ২০১২ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে রাখেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য অধ্যক্ষ অর্থ–বাণিজ্য করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমি বিক্রির দলিল এবং নিরীক্ষা আপত্তির কাগজপত্রও সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০০০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ছেলে এম মাহমুদুজ্জামান সুমন ও এম মাহবুবুজ্জামান জয়ের নামে কলেজের শূন্য দশমিক ৭৪ শতক জমি দলিল করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান। বিক্রয় কবলা দলিলে জমির মূল্য ধরা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। শিক্ষকদের অভিযোগ, নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার এ জমি ছেলেদের নামে লিখে দেন অধ্যক্ষ। দলিল করার সময় অধ্যক্ষের এক ছেলে নাবালক ছিল বলেও শিক্ষকদের অভিযোগ।
কলেজটিতে ২০১৪ সালের ২ মার্চ নিরীক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। পরে উপপরিচালক দেবদুলাল ভট্টাচার্যের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭টি দলিলে কলেজের মোট জমির পরিমাণ দাবি করা হয় ২ দশমিক ৭৮ একর। কিন্তু নিরীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র তিনটি দলিলে জমির পরিমাণ ১ দশমিক ২৫ একর। প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রি করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু কোনো অনুমোদন নেননি অধ্যক্ষ। তিনি গভর্নিং বডির ওপর দায় চাপিয়ে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। সরকারি বিধিবিধান প্রতিপালন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। তারপরও এত দিন বহাল ছিলেন অধ্যক্ষ।
অভিযোগকারী শিক্ষক নাজমুল হক দেওয়ান বলেন, ‘স্থানীয় বিদ্যানুরাগী মানুষ কলেজকে জমি দান করেছিলেন। সে জমি ছেলেদের নামে লিখে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ছেলেকে চাকরিও দেন। তাঁর অনিয়মের শেষ নেই। আমরা অধ্যক্ষের সব অপকর্মের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্যের জন্য অধ্যক্ষ আরসাজ্জুমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। মামলার আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনের থাকার কারণে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ছেলে ওই কলেজের শিক্ষক মাহমুদুজ্জামানকেও ফোন দিলে তিনিও ধরেননি। সাড়া দেননি এসএমএস দিলেও।
অধ্যক্ষের অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শাহিন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযোগকারী এবং অধ্যক্ষকে আগামী বুধবার ডাকা হয়েছে। অধ্যক্ষ মামলার আসামির কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন কি না তা আমার জানা নেই। তিনি না এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যক্ষ আরসুজ্জামানের বিরুদ্ধে কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক দেওয়ান রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ করার পর আরসুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সম্প্রতি অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক একটি মামলার আসামি হয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর মোহনপুর সদরের নাহিদ পারভেজ নামের এক ব্যক্তি এই মামলা করেন। মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ গা ঢাকা দিয়েছেন।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক দেওয়ান গত ২০ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিষয়টি তদন্তের জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহীন মিয়াকে দায়িত্ব দেন। এই তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সুষ্ঠুভাবে কলেজ পরিচালনা করতে পারছেন না বলে তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। প্রায় ২৭ বছর ধরে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন আরসুজ্জামান মালেক।
পদত্যাগ করা এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের জমি দুই ছেলে ও লাইব্রেরিয়ানের নামে লিখে দেওয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তসলিম উদ্দিন ও শামিমা আকতার নামের কেউ কলেজে কখনো চাকরি করেননি। অথচ এ দুজনকে প্রভাষক নিয়োগ দেখিয়ে তাঁদের নামে আসা বেতন-ভাতা তুলে আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ। তিনি একই ইনডেক্সে অবৈধভাবে একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন তুলেছেন। অভিযোগপত্রে প্রমাণ হিসেবে এমপিও কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এমপিও কপিতে অধ্যক্ষ অবৈধভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয় পরিবর্তন করে প্যাটার্ন–বহির্ভূত নিয়োগ দিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অধ্যক্ষ তাঁর ছেলে মাহমুদুজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছেন এ কলেজের শিক্ষক হিসেবে। অভিযোগে বলা হয়, মাহমুদুজ্জামান সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তাঁকে কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর তিনি বেতন-ভাতা তুলছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের শিক্ষক হিসেবে। অধ্যক্ষের ছেলের নিয়োগের পুরোটিই ঘাপলা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ আরসুজ্জামানের জন্মতারিখ দুটি। প্রথম জন্মতারিখ অনুযায়ী ২০২০ সালেই তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেশি দিন চাকরিতে থাকতে তিনি দুটি জন্মতারিখ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক পরপর দুই মেয়াদের বেশি গভর্নিং বডিতে শিক্ষক প্রতিনিধি থাকতে পারবেন না। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁর অনুগত সহকারী অধ্যাপক রহিমা খাতুনকে ২০১২ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে রাখেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য অধ্যক্ষ অর্থ–বাণিজ্য করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমি বিক্রির দলিল এবং নিরীক্ষা আপত্তির কাগজপত্রও সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০০০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ছেলে এম মাহমুদুজ্জামান সুমন ও এম মাহবুবুজ্জামান জয়ের নামে কলেজের শূন্য দশমিক ৭৪ শতক জমি দলিল করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান। বিক্রয় কবলা দলিলে জমির মূল্য ধরা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। শিক্ষকদের অভিযোগ, নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার এ জমি ছেলেদের নামে লিখে দেন অধ্যক্ষ। দলিল করার সময় অধ্যক্ষের এক ছেলে নাবালক ছিল বলেও শিক্ষকদের অভিযোগ।
কলেজটিতে ২০১৪ সালের ২ মার্চ নিরীক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। পরে উপপরিচালক দেবদুলাল ভট্টাচার্যের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭টি দলিলে কলেজের মোট জমির পরিমাণ দাবি করা হয় ২ দশমিক ৭৮ একর। কিন্তু নিরীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র তিনটি দলিলে জমির পরিমাণ ১ দশমিক ২৫ একর। প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রি করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু কোনো অনুমোদন নেননি অধ্যক্ষ। তিনি গভর্নিং বডির ওপর দায় চাপিয়ে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। সরকারি বিধিবিধান প্রতিপালন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। তারপরও এত দিন বহাল ছিলেন অধ্যক্ষ।
অভিযোগকারী শিক্ষক নাজমুল হক দেওয়ান বলেন, ‘স্থানীয় বিদ্যানুরাগী মানুষ কলেজকে জমি দান করেছিলেন। সে জমি ছেলেদের নামে লিখে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ছেলেকে চাকরিও দেন। তাঁর অনিয়মের শেষ নেই। আমরা অধ্যক্ষের সব অপকর্মের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্যের জন্য অধ্যক্ষ আরসাজ্জুমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। মামলার আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনের থাকার কারণে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ছেলে ওই কলেজের শিক্ষক মাহমুদুজ্জামানকেও ফোন দিলে তিনিও ধরেননি। সাড়া দেননি এসএমএস দিলেও।
অধ্যক্ষের অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শাহিন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযোগকারী এবং অধ্যক্ষকে আগামী বুধবার ডাকা হয়েছে। অধ্যক্ষ মামলার আসামির কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন কি না তা আমার জানা নেই। তিনি না এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চালকলের ভেতর দুটি অটোরিকশায় রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের আটটি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গুদামের ভেতরে রাখা খোলা চাল নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই অটোরিকশা দুটির চালকেরা পালিয়ে যান।
১ মিনিট আগে
যশোরের মনিরামপুরে চালবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছীতে এক সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে।
১৫ মিনিট আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে চালকলের গুদাম থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ ও খাদ্য অধিদপ্তরের যৌথ দল। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌর শহরের নবীনগর এলাকার মেসার্স ওয়াজকুরুনী রাইস মিলের গুদামে এই অভিযান চালানো হয়। আটক ব্যক্তির নাম এনামুল হক। তিনি গুদামের পরিচালক বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চালকলের ভেতর দুটি অটোরিকশায় রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের আটটি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গুদামের ভেতরে রাখা খোলা চাল নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই অটোরিকশা দুটির চালকেরা পালিয়ে যান।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম চাল বলেন, চালকলের গুদাম থেকে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কীভাবে, কারা এই সরকারি চাল গুদামে নিয়েছেন, তা নিশ্চিত জানতে তদন্ত চলছে।
শেরপুর খাদ্য বিভাগের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছি, গুদামের চালগুলো দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল।’
শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরেজমিনে চালগুলো আমরা দেখেছি। এগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বাইরে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।’

শেরপুরে চালকলের গুদাম থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ ও খাদ্য অধিদপ্তরের যৌথ দল। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌর শহরের নবীনগর এলাকার মেসার্স ওয়াজকুরুনী রাইস মিলের গুদামে এই অভিযান চালানো হয়। আটক ব্যক্তির নাম এনামুল হক। তিনি গুদামের পরিচালক বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চালকলের ভেতর দুটি অটোরিকশায় রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের আটটি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গুদামের ভেতরে রাখা খোলা চাল নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই অটোরিকশা দুটির চালকেরা পালিয়ে যান।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম চাল বলেন, চালকলের গুদাম থেকে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কীভাবে, কারা এই সরকারি চাল গুদামে নিয়েছেন, তা নিশ্চিত জানতে তদন্ত চলছে।
শেরপুর খাদ্য বিভাগের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছি, গুদামের চালগুলো দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল।’
শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরেজমিনে চালগুলো আমরা দেখেছি। এগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বাইরে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।’

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
যশোরের মনিরামপুরে চালবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছীতে এক সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে।
১৫ মিনিট আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরে চালবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দম্পতি হলেন উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত অনন্ত দাসের ছেলে রণজিৎ দাস (৫০) ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া দাস (৪০)। রণজিতের স্থানীয় চাঁদপুর নতুন বাজারে ধান-পাটের আড়ত রয়েছে। পাপিয়া মনিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের মেকানিক ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাকোশপোল মোড় ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় চালবোঝাই ট্রলি তাঁদের চাপা দেয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে বেলা ২টার দিকে চিকিৎসক ওই দম্পতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাকোশপোল মোড়ের চা-দোকানি ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনার সময় চালবোঝাই একটি ট্রলি ঝিকরগাছার দিক থেকে মনিরামপুরের দিকে আসছিল। আর স্ত্রীকে পেছনে বসিয়ে মোটরসাইকেলটি স্বামী চালাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি বাকোশপোল মোড় ঘুরতে গিয়ে সামনে আচমকা ট্রলি দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজন পাকা রাস্তার ওপর পড়ে যান। এ সময় চালক ট্রলি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে চাপা দেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি দ্রুত পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেছি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে ইঞ্জিন ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে ট্রলিসহ চালককে ধরে থানায় নিয়ে গেছে।’
মনিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত বলেন, ‘পাপিয়া আমার দপ্তরে মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ তিনি তদারকি করতেন। আজ স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে তিনি কাশিমনগর ইউনিয়নে নলকূপ স্থাপনের কাজ তদারকি করতে যাচ্ছিলেন। বাকোশপোল মোড় পার হওয়ার সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনে নিহত হয়েছেন। পাপিয়ার মৃত্যুতে আমাদের দপ্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘ট্রলির নিচে চাপা পড়ে আহত মোটরসাইকেল আরোহী দম্পতিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমরা চালকসহ ট্রলি আটক করেছি।’

যশোরের মনিরামপুরে চালবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দম্পতি হলেন উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত অনন্ত দাসের ছেলে রণজিৎ দাস (৫০) ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া দাস (৪০)। রণজিতের স্থানীয় চাঁদপুর নতুন বাজারে ধান-পাটের আড়ত রয়েছে। পাপিয়া মনিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের মেকানিক ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাকোশপোল মোড় ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় চালবোঝাই ট্রলি তাঁদের চাপা দেয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে বেলা ২টার দিকে চিকিৎসক ওই দম্পতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাকোশপোল মোড়ের চা-দোকানি ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনার সময় চালবোঝাই একটি ট্রলি ঝিকরগাছার দিক থেকে মনিরামপুরের দিকে আসছিল। আর স্ত্রীকে পেছনে বসিয়ে মোটরসাইকেলটি স্বামী চালাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি বাকোশপোল মোড় ঘুরতে গিয়ে সামনে আচমকা ট্রলি দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজন পাকা রাস্তার ওপর পড়ে যান। এ সময় চালক ট্রলি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে চাপা দেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি দ্রুত পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেছি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে ইঞ্জিন ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে ট্রলিসহ চালককে ধরে থানায় নিয়ে গেছে।’
মনিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত বলেন, ‘পাপিয়া আমার দপ্তরে মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ তিনি তদারকি করতেন। আজ স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে তিনি কাশিমনগর ইউনিয়নে নলকূপ স্থাপনের কাজ তদারকি করতে যাচ্ছিলেন। বাকোশপোল মোড় পার হওয়ার সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনে নিহত হয়েছেন। পাপিয়ার মৃত্যুতে আমাদের দপ্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘ট্রলির নিচে চাপা পড়ে আহত মোটরসাইকেল আরোহী দম্পতিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমরা চালকসহ ট্রলি আটক করেছি।’

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চালকলের ভেতর দুটি অটোরিকশায় রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের আটটি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গুদামের ভেতরে রাখা খোলা চাল নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই অটোরিকশা দুটির চালকেরা পালিয়ে যান।
১ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছীতে এক সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে।
১৫ মিনিট আগেবদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছীতে এক সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ জুলাই ওই বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শাদাত হোসেন শামীম ও সহকারী শিক্ষক রিফাত আরার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড শিক্ষক শামীমকে বরখাস্ত করে। পরবর্তী সময়ে রেজাউল করিম নামের এক শিক্ষককে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ হঠাৎ করে শাদাত হোসেন শামীম তাঁর গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্লোগান দেয় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শামীম দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অন্যায়ভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমি হাইকোর্টে মামলা করলে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন এবং বকেয়া বেতনসহ পদে যোগদানের নির্দেশ দেন। সেই রায়ের কাগজ উপজেলা নির্বাহী অফিস ও থানায় জমা দিয়েছি। বিদ্যালয়ে গেলে কিছু শিক্ষকের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমি আত্মরক্ষার জন্য স্থান ত্যাগ করি।’
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘হাইকোর্টের যে রায় দেখানো হয়েছে, সেটি ভুয়া বলে আমরা সন্দেহ করছি। আজ সে গ্রামের কিছু লোক নিয়ে জোর করে প্রতিষ্ঠানে ঢোকার চেষ্টা করে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে বিদ্যালয়ে ফিরতে দেব না।’
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষক সমাজের আদর্শ মানুষ। তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ মানা যায় না। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এত বড় ঘটনার পর সে কীভাবে আবার বিদ্যালয়ে আসতে পারে?’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, ‘আমি বর্তমানে ছুটিতে ঢাকায় আছি। কোনো চিঠি এসেছে কি না, সে বিষয়ে অবগত নই।’
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাইকোর্টের রায়সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রধান শিক্ষক আমাকে দেখিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, ‘ঘটনার বিস্তারিত এখনো পাইনি। তবে হাইকোর্টের রায়ের কথা শুনেছি। ট্রেনিং শেষে এসে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নওগাঁর বদলগাছীতে এক সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ জুলাই ওই বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শাদাত হোসেন শামীম ও সহকারী শিক্ষক রিফাত আরার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড শিক্ষক শামীমকে বরখাস্ত করে। পরবর্তী সময়ে রেজাউল করিম নামের এক শিক্ষককে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ হঠাৎ করে শাদাত হোসেন শামীম তাঁর গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্লোগান দেয় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শামীম দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অন্যায়ভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমি হাইকোর্টে মামলা করলে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন এবং বকেয়া বেতনসহ পদে যোগদানের নির্দেশ দেন। সেই রায়ের কাগজ উপজেলা নির্বাহী অফিস ও থানায় জমা দিয়েছি। বিদ্যালয়ে গেলে কিছু শিক্ষকের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমি আত্মরক্ষার জন্য স্থান ত্যাগ করি।’
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘হাইকোর্টের যে রায় দেখানো হয়েছে, সেটি ভুয়া বলে আমরা সন্দেহ করছি। আজ সে গ্রামের কিছু লোক নিয়ে জোর করে প্রতিষ্ঠানে ঢোকার চেষ্টা করে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে বিদ্যালয়ে ফিরতে দেব না।’
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষক সমাজের আদর্শ মানুষ। তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ মানা যায় না। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এত বড় ঘটনার পর সে কীভাবে আবার বিদ্যালয়ে আসতে পারে?’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, ‘আমি বর্তমানে ছুটিতে ঢাকায় আছি। কোনো চিঠি এসেছে কি না, সে বিষয়ে অবগত নই।’
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাইকোর্টের রায়সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রধান শিক্ষক আমাকে দেখিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, ‘ঘটনার বিস্তারিত এখনো পাইনি। তবে হাইকোর্টের রায়ের কথা শুনেছি। ট্রেনিং শেষে এসে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চালকলের ভেতর দুটি অটোরিকশায় রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের আটটি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গুদামের ভেতরে রাখা খোলা চাল নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই অটোরিকশা দুটির চালকেরা পালিয়ে যান।
১ মিনিট আগে
যশোরের মনিরামপুরে চালবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে।
১৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে। র্যাব-৫-এর একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, প্রায় তিন মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে জিল্লুরের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে জিল্লুর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে পাবনার ঈশ্বরদীতে ডাকেন। গত ৯ অক্টোবর রাতে ওই তরুণী ট্রেনে ঈশ্বরদী পৌঁছালে জিল্লুর তাঁকে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরান। পরদিন (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া বাজার এলাকায় একটি কক্ষ ভাড়া নেন এবং ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
র্যাব জানায়, পরে বিয়ের কথা বললে জিল্লুর কালক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে কাজি অফিসে নেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীর মোবাইল ফোন ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজেই ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে। র্যাব-৫-এর একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, প্রায় তিন মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে জিল্লুরের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে জিল্লুর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে পাবনার ঈশ্বরদীতে ডাকেন। গত ৯ অক্টোবর রাতে ওই তরুণী ট্রেনে ঈশ্বরদী পৌঁছালে জিল্লুর তাঁকে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরান। পরদিন (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া বাজার এলাকায় একটি কক্ষ ভাড়া নেন এবং ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
র্যাব জানায়, পরে বিয়ের কথা বললে জিল্লুর কালক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে কাজি অফিসে নেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীর মোবাইল ফোন ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজেই ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চালকলের ভেতর দুটি অটোরিকশায় রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের আটটি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গুদামের ভেতরে রাখা খোলা চাল নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই অটোরিকশা দুটির চালকেরা পালিয়ে যান।
১ মিনিট আগে
যশোরের মনিরামপুরে চালবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছীতে এক সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে