রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। পানিসংকটের বাস্তবতায় ৬ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেট জারি করে সরকার। এতে হতাশ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে কৃষকদের সরবরাহ করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮ হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। গত মঙ্গলবার সরকারের এ-সংক্রান্ত গেজেট তাদের হাতে পৌঁছায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরাও অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। বিএমডিএর সেচ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ জিল্লুল বারী জানান, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এভাবে কৃষিকাজ বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। এখন এটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিষয়। তারা বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গেজেটে ২৫ উপজেলার ২১৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকাকে আগামী ১০ বছরের জন্য পানিসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। ১ হাজার ৪৬৯টি মৌজা অতি উচ্চ, ৮৮৪টি উচ্চ এবং ১ হাজার ২৪০টি মধ্যম-সংকটাপন্ন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, নওগাঁর পোরশা ও সাপাহারের বহু ইউনিয়ন এই সতর্কতার আওতায় পড়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৫-৯০ সাল পর্যন্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ছিল ২৬ ফুট নিচে। ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় ২০১০ সালে তা নেমে যায় ৫০ ফুটে, ২০২১ সালে ৬০ ফুটে। এখন অনেক জায়গায় পানি পেতে খুঁড়তে হচ্ছে ১১৩ ফুটেরও বেশি। অবিরাম সেচ আর শিল্পের কারণে বরেন্দ্রভূমি যেন অগ্রসর হচ্ছে মরুকরণের পথে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি গেজেটে খাবারের পানি সংগ্রহ ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে নতুন করে নলকূপ স্থাপন এবং ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোনো নলকূপ দিয়েও সেচ বা শিল্পের জন্য পানি তোলা যাবে না। ভূগর্ভস্থ পানিনির্ভর কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবে না।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, ‘আমরা গেজেট দেখেছি। এর অর্থ হচ্ছে, গভীর নলকূপ দিয়ে এখন থেকে শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে, কৃষিতে এ পানি ব্যবহার করা যাবে না। আমরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য নিচ্ছি, এসব এলাকায় গভীর নলকূপের সংখ্যা কত, কী পরিমাণ জমি আছে এবং ফসলের উৎপাদন কেমন হয়। এগুলো নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হবে। তারপরই বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
গোদাগাড়ীর চৈতন্যপুরের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘কৃষিকাজ বন্ধ করে বসে থাকা কোনো সমাধান নয়। এটি সম্ভবও নয়।
সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় খুঁজতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির যে গঠন, তাতে খুব সহজেই ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সে পথেই হাঁটতে হবে।’
৬ নভেম্বরের গেজেটে খাল-বিল-পুকুর ইজারা নিরুৎসাহিত করে অধিক পানি লাগে এমন ফসলের চাষও সীমিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, খাল, বিল, পুকুর, নদী তথা কোনো জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। জলাশয়গুলো জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। জনগণের ব্যবহারযোগ্য খাস জলাশয় ও জলমহাল ইজারা দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো জলাধারের সমগ্র পানি আহরণ করে নিঃশেষ করা যাবে না।
সংকট মোকাবিলায় গেজেটে বেশ কিছু সরকারি সংস্থার কিছু কার্যক্রমও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন শিল্পে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চল এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়া জনপদ। এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হুমকিতে আছে, এটা আরও হুমকিতে পড়ল পানিসংকটের কারণে। এখান থেকে উত্তরণে সরকারকেই পথ বের করতে হবে।’
বরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে। এতে দেখা যাবে বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে সেচের পানি দেওয়া হবে। এ অবস্থায় সংকট মোকাবিলায় ভূ-উপরিস্থ পানি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এ জন্য পদ্মার পানি বরেন্দ্র অঞ্চলে ঢোকাতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো সরকারি পুকুর, খাল-বিল ইজারা দেওয়া যাবে না। এগুলোর পানি কৃষিকাজের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি পানি কম লাগে বা বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ সম্ভব, এমন ফসলের চাষাবাদের দিকে যেতে হবে।’

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। পানিসংকটের বাস্তবতায় ৬ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেট জারি করে সরকার। এতে হতাশ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে কৃষকদের সরবরাহ করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮ হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। গত মঙ্গলবার সরকারের এ-সংক্রান্ত গেজেট তাদের হাতে পৌঁছায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরাও অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। বিএমডিএর সেচ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ জিল্লুল বারী জানান, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এভাবে কৃষিকাজ বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। এখন এটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিষয়। তারা বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গেজেটে ২৫ উপজেলার ২১৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকাকে আগামী ১০ বছরের জন্য পানিসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। ১ হাজার ৪৬৯টি মৌজা অতি উচ্চ, ৮৮৪টি উচ্চ এবং ১ হাজার ২৪০টি মধ্যম-সংকটাপন্ন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, নওগাঁর পোরশা ও সাপাহারের বহু ইউনিয়ন এই সতর্কতার আওতায় পড়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৫-৯০ সাল পর্যন্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ছিল ২৬ ফুট নিচে। ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় ২০১০ সালে তা নেমে যায় ৫০ ফুটে, ২০২১ সালে ৬০ ফুটে। এখন অনেক জায়গায় পানি পেতে খুঁড়তে হচ্ছে ১১৩ ফুটেরও বেশি। অবিরাম সেচ আর শিল্পের কারণে বরেন্দ্রভূমি যেন অগ্রসর হচ্ছে মরুকরণের পথে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি গেজেটে খাবারের পানি সংগ্রহ ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে নতুন করে নলকূপ স্থাপন এবং ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোনো নলকূপ দিয়েও সেচ বা শিল্পের জন্য পানি তোলা যাবে না। ভূগর্ভস্থ পানিনির্ভর কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবে না।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, ‘আমরা গেজেট দেখেছি। এর অর্থ হচ্ছে, গভীর নলকূপ দিয়ে এখন থেকে শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে, কৃষিতে এ পানি ব্যবহার করা যাবে না। আমরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য নিচ্ছি, এসব এলাকায় গভীর নলকূপের সংখ্যা কত, কী পরিমাণ জমি আছে এবং ফসলের উৎপাদন কেমন হয়। এগুলো নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হবে। তারপরই বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
গোদাগাড়ীর চৈতন্যপুরের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘কৃষিকাজ বন্ধ করে বসে থাকা কোনো সমাধান নয়। এটি সম্ভবও নয়।
সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় খুঁজতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির যে গঠন, তাতে খুব সহজেই ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সে পথেই হাঁটতে হবে।’
৬ নভেম্বরের গেজেটে খাল-বিল-পুকুর ইজারা নিরুৎসাহিত করে অধিক পানি লাগে এমন ফসলের চাষও সীমিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, খাল, বিল, পুকুর, নদী তথা কোনো জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। জলাশয়গুলো জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। জনগণের ব্যবহারযোগ্য খাস জলাশয় ও জলমহাল ইজারা দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো জলাধারের সমগ্র পানি আহরণ করে নিঃশেষ করা যাবে না।
সংকট মোকাবিলায় গেজেটে বেশ কিছু সরকারি সংস্থার কিছু কার্যক্রমও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন শিল্পে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চল এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়া জনপদ। এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হুমকিতে আছে, এটা আরও হুমকিতে পড়ল পানিসংকটের কারণে। এখান থেকে উত্তরণে সরকারকেই পথ বের করতে হবে।’
বরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে। এতে দেখা যাবে বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে সেচের পানি দেওয়া হবে। এ অবস্থায় সংকট মোকাবিলায় ভূ-উপরিস্থ পানি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এ জন্য পদ্মার পানি বরেন্দ্র অঞ্চলে ঢোকাতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো সরকারি পুকুর, খাল-বিল ইজারা দেওয়া যাবে না। এগুলোর পানি কৃষিকাজের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি পানি কম লাগে বা বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ সম্ভব, এমন ফসলের চাষাবাদের দিকে যেতে হবে।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। পানিসংকটের বাস্তবতায় ৬ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেট জারি করে সরকার। এতে হতাশ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে কৃষকদের সরবরাহ করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮ হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। গত মঙ্গলবার সরকারের এ-সংক্রান্ত গেজেট তাদের হাতে পৌঁছায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরাও অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। বিএমডিএর সেচ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ জিল্লুল বারী জানান, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এভাবে কৃষিকাজ বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। এখন এটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিষয়। তারা বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গেজেটে ২৫ উপজেলার ২১৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকাকে আগামী ১০ বছরের জন্য পানিসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। ১ হাজার ৪৬৯টি মৌজা অতি উচ্চ, ৮৮৪টি উচ্চ এবং ১ হাজার ২৪০টি মধ্যম-সংকটাপন্ন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, নওগাঁর পোরশা ও সাপাহারের বহু ইউনিয়ন এই সতর্কতার আওতায় পড়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৫-৯০ সাল পর্যন্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ছিল ২৬ ফুট নিচে। ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় ২০১০ সালে তা নেমে যায় ৫০ ফুটে, ২০২১ সালে ৬০ ফুটে। এখন অনেক জায়গায় পানি পেতে খুঁড়তে হচ্ছে ১১৩ ফুটেরও বেশি। অবিরাম সেচ আর শিল্পের কারণে বরেন্দ্রভূমি যেন অগ্রসর হচ্ছে মরুকরণের পথে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি গেজেটে খাবারের পানি সংগ্রহ ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে নতুন করে নলকূপ স্থাপন এবং ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোনো নলকূপ দিয়েও সেচ বা শিল্পের জন্য পানি তোলা যাবে না। ভূগর্ভস্থ পানিনির্ভর কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবে না।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, ‘আমরা গেজেট দেখেছি। এর অর্থ হচ্ছে, গভীর নলকূপ দিয়ে এখন থেকে শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে, কৃষিতে এ পানি ব্যবহার করা যাবে না। আমরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য নিচ্ছি, এসব এলাকায় গভীর নলকূপের সংখ্যা কত, কী পরিমাণ জমি আছে এবং ফসলের উৎপাদন কেমন হয়। এগুলো নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হবে। তারপরই বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
গোদাগাড়ীর চৈতন্যপুরের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘কৃষিকাজ বন্ধ করে বসে থাকা কোনো সমাধান নয়। এটি সম্ভবও নয়।
সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় খুঁজতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির যে গঠন, তাতে খুব সহজেই ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সে পথেই হাঁটতে হবে।’
৬ নভেম্বরের গেজেটে খাল-বিল-পুকুর ইজারা নিরুৎসাহিত করে অধিক পানি লাগে এমন ফসলের চাষও সীমিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, খাল, বিল, পুকুর, নদী তথা কোনো জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। জলাশয়গুলো জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। জনগণের ব্যবহারযোগ্য খাস জলাশয় ও জলমহাল ইজারা দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো জলাধারের সমগ্র পানি আহরণ করে নিঃশেষ করা যাবে না।
সংকট মোকাবিলায় গেজেটে বেশ কিছু সরকারি সংস্থার কিছু কার্যক্রমও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন শিল্পে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চল এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়া জনপদ। এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হুমকিতে আছে, এটা আরও হুমকিতে পড়ল পানিসংকটের কারণে। এখান থেকে উত্তরণে সরকারকেই পথ বের করতে হবে।’
বরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে। এতে দেখা যাবে বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে সেচের পানি দেওয়া হবে। এ অবস্থায় সংকট মোকাবিলায় ভূ-উপরিস্থ পানি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এ জন্য পদ্মার পানি বরেন্দ্র অঞ্চলে ঢোকাতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো সরকারি পুকুর, খাল-বিল ইজারা দেওয়া যাবে না। এগুলোর পানি কৃষিকাজের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি পানি কম লাগে বা বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ সম্ভব, এমন ফসলের চাষাবাদের দিকে যেতে হবে।’

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। পানিসংকটের বাস্তবতায় ৬ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেট জারি করে সরকার। এতে হতাশ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে কৃষকদের সরবরাহ করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮ হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। গত মঙ্গলবার সরকারের এ-সংক্রান্ত গেজেট তাদের হাতে পৌঁছায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরাও অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। বিএমডিএর সেচ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ জিল্লুল বারী জানান, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এভাবে কৃষিকাজ বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। এখন এটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিষয়। তারা বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গেজেটে ২৫ উপজেলার ২১৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকাকে আগামী ১০ বছরের জন্য পানিসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। ১ হাজার ৪৬৯টি মৌজা অতি উচ্চ, ৮৮৪টি উচ্চ এবং ১ হাজার ২৪০টি মধ্যম-সংকটাপন্ন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, নওগাঁর পোরশা ও সাপাহারের বহু ইউনিয়ন এই সতর্কতার আওতায় পড়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৫-৯০ সাল পর্যন্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ছিল ২৬ ফুট নিচে। ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় ২০১০ সালে তা নেমে যায় ৫০ ফুটে, ২০২১ সালে ৬০ ফুটে। এখন অনেক জায়গায় পানি পেতে খুঁড়তে হচ্ছে ১১৩ ফুটেরও বেশি। অবিরাম সেচ আর শিল্পের কারণে বরেন্দ্রভূমি যেন অগ্রসর হচ্ছে মরুকরণের পথে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি গেজেটে খাবারের পানি সংগ্রহ ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে নতুন করে নলকূপ স্থাপন এবং ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোনো নলকূপ দিয়েও সেচ বা শিল্পের জন্য পানি তোলা যাবে না। ভূগর্ভস্থ পানিনির্ভর কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবে না।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, ‘আমরা গেজেট দেখেছি। এর অর্থ হচ্ছে, গভীর নলকূপ দিয়ে এখন থেকে শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে, কৃষিতে এ পানি ব্যবহার করা যাবে না। আমরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য নিচ্ছি, এসব এলাকায় গভীর নলকূপের সংখ্যা কত, কী পরিমাণ জমি আছে এবং ফসলের উৎপাদন কেমন হয়। এগুলো নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হবে। তারপরই বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
গোদাগাড়ীর চৈতন্যপুরের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘কৃষিকাজ বন্ধ করে বসে থাকা কোনো সমাধান নয়। এটি সম্ভবও নয়।
সমস্যা সমাধানের বিকল্প উপায় খুঁজতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির যে গঠন, তাতে খুব সহজেই ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সে পথেই হাঁটতে হবে।’
৬ নভেম্বরের গেজেটে খাল-বিল-পুকুর ইজারা নিরুৎসাহিত করে অধিক পানি লাগে এমন ফসলের চাষও সীমিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, খাল, বিল, পুকুর, নদী তথা কোনো জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। জলাশয়গুলো জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। জনগণের ব্যবহারযোগ্য খাস জলাশয় ও জলমহাল ইজারা দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো জলাধারের সমগ্র পানি আহরণ করে নিঃশেষ করা যাবে না।
সংকট মোকাবিলায় গেজেটে বেশ কিছু সরকারি সংস্থার কিছু কার্যক্রমও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন শিল্পে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চল এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়া জনপদ। এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হুমকিতে আছে, এটা আরও হুমকিতে পড়ল পানিসংকটের কারণে। এখান থেকে উত্তরণে সরকারকেই পথ বের করতে হবে।’
বরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘শুধু খাবারের পানি তোলা যাবে। এতে দেখা যাবে বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে সেচের পানি দেওয়া হবে। এ অবস্থায় সংকট মোকাবিলায় ভূ-উপরিস্থ পানি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এ জন্য পদ্মার পানি বরেন্দ্র অঞ্চলে ঢোকাতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো সরকারি পুকুর, খাল-বিল ইজারা দেওয়া যাবে না। এগুলোর পানি কৃষিকাজের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি পানি কম লাগে বা বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ সম্ভব, এমন ফসলের চাষাবাদের দিকে যেতে হবে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৪ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৪ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৬ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না।
২৩ দিন আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৪ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৬ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না।
২৩ দিন আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৪ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না।
২৩ দিন আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৪ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৬ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ হাজার ৯১১ মৌজায় এখন খাবারের পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তোলা নিষিদ্ধ। সেচ কিংবা শিল্পকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না।
২৩ দিন আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৪ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৪ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগে