Ajker Patrika

ছেলে খুনের ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৮
ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বাবা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বাবা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমান তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) খুনের ঘটনায় মামলা করেছেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তিনি মামলার এজাহারে সই দিয়ে ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরের গ্রামের বাড়ি রওনা হন। পরে রাজপাড়া থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরএমপির মুখপাত্র বলেন, বিচারক নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়া (৩৪)। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

আসামি লিমন মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া ভবানীগঞ্জ গ্রামে। তাঁর বাবার নাম এস এম সোলায়মান শেখ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। লিমন সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করতেন। ২০১৮ সালে তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন লিমন। তবে সংসার টেকেনি। বিচারক আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাসমিনা নাহার লুসীর (৪৪) সঙ্গে তাঁর পূর্বপরিচয় ছিল। তাঁর কাছ থেকে লিমন টাকা নিতেন।

পুলিশের ভাষ্য, টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন লিমন। দিয়েছিলেন প্রাণনাশের হুমকিও। এ নিয়ে ৬ নভেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তাসমিনা।

বিচারক আব্দুর রহমান এক বছর আগে শ্রম আদালতের বিচারক হয়ে রাজশাহী আসেন। গত মাসে তাঁকে মহানগর দায়রা জজ হিসেবে পদায়ন করা হয়। রাজশাহী আসার পর নগরের ডাবতলা এলাকায় বাসাভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তাওসিফকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এই বাসায় যান লিমন। সেখানে তাওসিফকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন তাসমিনা নাহারও। এ ছাড়া ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হন। পরে তিনজনকেই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাওসিফের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত শেষে মর্গের ভেতরে ঢুকে ছেলের লাশ একনজর দেখতে যান বাবা বিচারক আবদুর রহমান। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রামেকের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জানান, তাওসিফের ডান ঊরু, ডান পা ও বা বাহুতে ধারালো ও চোখে অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এই তিনটি জায়গায় রক্তনালি আছে। সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ রয়েছে বলে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এই দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে বলেও জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

ময়নাতদন্তের পর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রাজশাহী সেন্টারের সদস্যরা রামেক হাসপাতালের নির্ধারিত কক্ষে লাশের গোসল করিয়ে দেন। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সেই লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত তাওসিফ রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিচারকের স্ত্রী টাকা দেওয়া বন্ধ করায় ছেলেকে হত্যা: পুলিশ

মিরপুর বেড়িবাঁধে বাসে আগুন, ধাওয়া খেয়ে তুরাগে পড়ে তরুণের মৃত্যু

ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মানিকগঞ্জে থেমে থাকা স্কুলবাসে দুর্বৃত্তের আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে ঘুম হারাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণেরা: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের মামলায় ওই বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের মামলায় ওই বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যাওড়াপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

পরে রাতেই ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় যৌন নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজ শুক্রবার ওই শিক্ষককে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শুক্রবার বিকেলে এরশাদ হালিমকে আদালতে হাজির করে মিরপুর থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান মিলন তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে এরশাদ হালিমের পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১১টার দিকে শেওড়াপাড়ায় ড. এরশাদ হালিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক তাকে আদালতে হাজির করেন।

গত কয়েকদিন ধরে রসায়ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ড. এরশাদ হালিমের যৌন হয়রানির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এরশাদ হালিমের অপকর্মের বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিচারকের স্ত্রী টাকা দেওয়া বন্ধ করায় ছেলেকে হত্যা: পুলিশ

মিরপুর বেড়িবাঁধে বাসে আগুন, ধাওয়া খেয়ে তুরাগে পড়ে তরুণের মৃত্যু

ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মানিকগঞ্জে থেমে থাকা স্কুলবাসে দুর্বৃত্তের আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে ঘুম হারাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণেরা: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাতের আঁধারে মসজিদের জমির ধান কেটে বিনষ্ট, গ্রামবাসীর ক্ষোভ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রাতের আঁধারে মসজিদের জমির আধা পাকা ধান কেটে বিনষ্ট। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাতের আঁধারে মসজিদের জমির আধা পাকা ধান কেটে বিনষ্ট। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগাছায় রাতের আঁধারে মসজিদের জমির আধা পাকা ধান কেটে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও ১৮ শতাংশ জমির ধান কেটে নষ্ট করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে মুসল্লি ও গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুক কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গ্রামের তালুক কান্দি শাহি জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য প্রবাসী বাবু মিয়া ১৮ শতাংশ জমি দান করেন। তৎকালীন মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মিয়া ওই জমি মৌখিক চুক্তিতে বিক্রি করে মসজিদের ছাদের ঢালাই সম্পন্ন করেন। পরে আব্দুর রউফ মিয়া কমিটি থেকে বাদ পড়লে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেন। তিনি জমির অংশীদার দাবি করছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

এই অবস্থায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়। ধান আধা পাকা অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও গতকাল গভীর রাতে পুরো জমির ধান কেটে বিনষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা জমি পরিদর্শন করেন এবং জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

স্থানীয় জোবাইদুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সুজন এবং এস এ সবুর জীবন বলেন, ‘এই জমি নিয়ে ১২–১৫ বার সালিস হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ঝামেলা তৈরি করছেন আব্দুর রউফ মিয়া।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ ফান্ডের টাকা দিয়ে ধান রোপণ ও পরিচর্যা করা হয়েছে। অথচ রাতের আঁধারে সেই ধান কেটে বিনষ্ট করা হয়েছে। কোনো মুসলমানের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা বিচার দাবি করছি।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটি কুলখানিতে ছিলাম। ধান কাটার বিষয় জানি না।’ এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিচারকের স্ত্রী টাকা দেওয়া বন্ধ করায় ছেলেকে হত্যা: পুলিশ

মিরপুর বেড়িবাঁধে বাসে আগুন, ধাওয়া খেয়ে তুরাগে পড়ে তরুণের মৃত্যু

ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মানিকগঞ্জে থেমে থাকা স্কুলবাসে দুর্বৃত্তের আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে ঘুম হারাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণেরা: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেঘনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রলারডুবিতে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে সিমেন্টবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সোনাময়ী এলাকায় নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।

মৃত যুবকেরা হলেন রনি সরদার ও শুভ। রনি সরদার বরিশালের বন্দর উপজেলার বিসারত গ্রামের আলী সরদারের ছেলে এবং শুভ একই এলাকার স্বপন মৃধার ছেলে।

জানা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সোনাময়ী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আমান সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য দুই হাজার ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে ট্রলারটি যাত্রা করে। মাঝনদীতে তলা ফেটে ট্রলারটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানের চেষ্টা চালায়। নদীতে তীব্র স্রোত থাকা উদ্ধারকাজ রাতে বন্ধ করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকেলে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

বৈদ্যেরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহবুবুর রহমান জানান, সিমেন্ট নিয়ে ট্রলারটি মাঝনদীতে গিয়ে অবস্থানকালে পানিতে তলিয়ে যায়। ট্রলারে থাকা নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিচারকের স্ত্রী টাকা দেওয়া বন্ধ করায় ছেলেকে হত্যা: পুলিশ

মিরপুর বেড়িবাঁধে বাসে আগুন, ধাওয়া খেয়ে তুরাগে পড়ে তরুণের মৃত্যু

ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মানিকগঞ্জে থেমে থাকা স্কুলবাসে দুর্বৃত্তের আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে ঘুম হারাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণেরা: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে ফাহিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সবুজ আহমদ রেহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার হওয়া সবুজ আহমদ রেহান (৩২) শাহপরান (রহ.) থানাধীন গোপালটিলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ফাহিম হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানাধীন ইকোপার্ক এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফাহিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি সবুজ আহমদ রেহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিচারকের স্ত্রী টাকা দেওয়া বন্ধ করায় ছেলেকে হত্যা: পুলিশ

মিরপুর বেড়িবাঁধে বাসে আগুন, ধাওয়া খেয়ে তুরাগে পড়ে তরুণের মৃত্যু

ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মানিকগঞ্জে থেমে থাকা স্কুলবাসে দুর্বৃত্তের আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে ঘুম হারাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণেরা: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত