আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়া (টিবি হাসপাতাল মোড়) এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা। ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যরা। সম্প্রতি সরকারি এ ক্লিনিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনে ফাটল ধরায় ল্যাবের ভেতরে পানি ঢোকায় ক্ষতির মুখে কয়েক কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। চিকিৎসাসেবা দিতে এসে সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকেন হাসপতালের স্টাফরা। ল্যাব ও ক্লিনিকে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের। স্টাফরা বলেন, অফিসে কাজ করতে করতেও অনেক সময় ঢালাই ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু চাকরির প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে নির্মাণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। এরপর কয়েক দফায় মেরামত করা হলেও এখন জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থায় জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকের ভবনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল, ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে দুজন চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন স্টাফ রয়েছেন। ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলছেন, পুরোনো ভবন হওয়ায় ভেঙে পড়ছে ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা চললেও নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকেন রোগীরা। চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ঢালাই পড়ে আহত হওয়ার শঙ্কায় থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। কয়েক দশক ধরেই বারবার মেরামত করে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে জেলা টিবি হাসপাতাল।
বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আমজাদ আলী বলেন, ‘আমি এখানে এক দশক আগে এসেছিলাম। এখনো আসি মাঝেমধ্যে। কিন্তু ১২ বছর ধরেই এমন জোড়াতালি দিয়ে এই হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। খসে খসে পড়ছে ছাদের ঢালাই ও রড। এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে সব সময়েই আতঙ্কে থাকতে হয়। ডাক্তারের রুমের অবস্থাও একই। যেকোনো মুহূর্তে বড় চাপ (পলেস্তারা) ভেঙে পড়তে পারে, এমন ভয় নিয়ে অবস্থান করতে হয়। শুনেছি, এ নিয়ে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও ৬০ বছরের এই পুরোনো ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিষ মোহাম্মদ সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে চিকিৎসকেরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার কথা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি মেরামত করার জন্য।’
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ভবনটি ১৯৬০-এর দশকে নির্মাণ করা। কয়েক দফায় মেরামতও করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর এটি মেরামত করে চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন করে আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটির ভঙ্গুর অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটিই আপাতত মেরামত করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়া (টিবি হাসপাতাল মোড়) এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা। ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যরা। সম্প্রতি সরকারি এ ক্লিনিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনে ফাটল ধরায় ল্যাবের ভেতরে পানি ঢোকায় ক্ষতির মুখে কয়েক কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। চিকিৎসাসেবা দিতে এসে সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকেন হাসপতালের স্টাফরা। ল্যাব ও ক্লিনিকে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের। স্টাফরা বলেন, অফিসে কাজ করতে করতেও অনেক সময় ঢালাই ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু চাকরির প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে নির্মাণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। এরপর কয়েক দফায় মেরামত করা হলেও এখন জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থায় জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকের ভবনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল, ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে দুজন চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন স্টাফ রয়েছেন। ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলছেন, পুরোনো ভবন হওয়ায় ভেঙে পড়ছে ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা চললেও নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকেন রোগীরা। চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ঢালাই পড়ে আহত হওয়ার শঙ্কায় থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। কয়েক দশক ধরেই বারবার মেরামত করে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে জেলা টিবি হাসপাতাল।
বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আমজাদ আলী বলেন, ‘আমি এখানে এক দশক আগে এসেছিলাম। এখনো আসি মাঝেমধ্যে। কিন্তু ১২ বছর ধরেই এমন জোড়াতালি দিয়ে এই হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। খসে খসে পড়ছে ছাদের ঢালাই ও রড। এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে সব সময়েই আতঙ্কে থাকতে হয়। ডাক্তারের রুমের অবস্থাও একই। যেকোনো মুহূর্তে বড় চাপ (পলেস্তারা) ভেঙে পড়তে পারে, এমন ভয় নিয়ে অবস্থান করতে হয়। শুনেছি, এ নিয়ে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও ৬০ বছরের এই পুরোনো ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিষ মোহাম্মদ সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে চিকিৎসকেরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার কথা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি মেরামত করার জন্য।’
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ভবনটি ১৯৬০-এর দশকে নির্মাণ করা। কয়েক দফায় মেরামতও করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর এটি মেরামত করে চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন করে আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটির ভঙ্গুর অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটিই আপাতত মেরামত করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়া (টিবি হাসপাতাল মোড়) এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা। ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যরা। সম্প্রতি সরকারি এ ক্লিনিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনে ফাটল ধরায় ল্যাবের ভেতরে পানি ঢোকায় ক্ষতির মুখে কয়েক কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। চিকিৎসাসেবা দিতে এসে সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকেন হাসপতালের স্টাফরা। ল্যাব ও ক্লিনিকে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের। স্টাফরা বলেন, অফিসে কাজ করতে করতেও অনেক সময় ঢালাই ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু চাকরির প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে নির্মাণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। এরপর কয়েক দফায় মেরামত করা হলেও এখন জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থায় জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকের ভবনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল, ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে দুজন চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন স্টাফ রয়েছেন। ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলছেন, পুরোনো ভবন হওয়ায় ভেঙে পড়ছে ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা চললেও নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকেন রোগীরা। চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ঢালাই পড়ে আহত হওয়ার শঙ্কায় থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। কয়েক দশক ধরেই বারবার মেরামত করে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে জেলা টিবি হাসপাতাল।
বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আমজাদ আলী বলেন, ‘আমি এখানে এক দশক আগে এসেছিলাম। এখনো আসি মাঝেমধ্যে। কিন্তু ১২ বছর ধরেই এমন জোড়াতালি দিয়ে এই হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। খসে খসে পড়ছে ছাদের ঢালাই ও রড। এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে সব সময়েই আতঙ্কে থাকতে হয়। ডাক্তারের রুমের অবস্থাও একই। যেকোনো মুহূর্তে বড় চাপ (পলেস্তারা) ভেঙে পড়তে পারে, এমন ভয় নিয়ে অবস্থান করতে হয়। শুনেছি, এ নিয়ে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও ৬০ বছরের এই পুরোনো ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিষ মোহাম্মদ সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে চিকিৎসকেরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার কথা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি মেরামত করার জন্য।’
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ভবনটি ১৯৬০-এর দশকে নির্মাণ করা। কয়েক দফায় মেরামতও করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর এটি মেরামত করে চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন করে আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটির ভঙ্গুর অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটিই আপাতত মেরামত করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়া (টিবি হাসপাতাল মোড়) এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা। ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যরা। সম্প্রতি সরকারি এ ক্লিনিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনে ফাটল ধরায় ল্যাবের ভেতরে পানি ঢোকায় ক্ষতির মুখে কয়েক কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। চিকিৎসাসেবা দিতে এসে সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকেন হাসপতালের স্টাফরা। ল্যাব ও ক্লিনিকে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের। স্টাফরা বলেন, অফিসে কাজ করতে করতেও অনেক সময় ঢালাই ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু চাকরির প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে নির্মাণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। এরপর কয়েক দফায় মেরামত করা হলেও এখন জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থায় জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকের ভবনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল, ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে দুজন চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন স্টাফ রয়েছেন। ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলছেন, পুরোনো ভবন হওয়ায় ভেঙে পড়ছে ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা চললেও নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকেন রোগীরা। চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ঢালাই পড়ে আহত হওয়ার শঙ্কায় থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। কয়েক দশক ধরেই বারবার মেরামত করে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে জেলা টিবি হাসপাতাল।
বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আমজাদ আলী বলেন, ‘আমি এখানে এক দশক আগে এসেছিলাম। এখনো আসি মাঝেমধ্যে। কিন্তু ১২ বছর ধরেই এমন জোড়াতালি দিয়ে এই হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। খসে খসে পড়ছে ছাদের ঢালাই ও রড। এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে সব সময়েই আতঙ্কে থাকতে হয়। ডাক্তারের রুমের অবস্থাও একই। যেকোনো মুহূর্তে বড় চাপ (পলেস্তারা) ভেঙে পড়তে পারে, এমন ভয় নিয়ে অবস্থান করতে হয়। শুনেছি, এ নিয়ে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও ৬০ বছরের এই পুরোনো ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিষ মোহাম্মদ সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে চিকিৎসকেরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার কথা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি মেরামত করার জন্য।’
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ভবনটি ১৯৬০-এর দশকে নির্মাণ করা। কয়েক দফায় মেরামতও করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর এটি মেরামত করে চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন করে আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটির ভঙ্গুর অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটিই আপাতত মেরামত করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’

এই কাজের প্রাথমিক ব্যয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সফল দর-কষাকষির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
১ সেকেন্ড আগে
চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলী ওরফে শুকলালকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের ইলেকট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেমের কাজের জন্য ২০১৮ সালের জুনে দরপত্র দাখিলকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই কাজের প্রাথমিক ব্যয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সফল দর-কষাকষির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
আজ বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেজাউল করিম বলেন, সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) দ্বিতীয় সংশোধন অনুযায়ী এ খাতে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। তবে প্রকৃত ব্যয় নির্ধারণে দরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা বিনিময় হার, কাঁচামাল সরবরাহ ও পরিবহন ব্যয়সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে Marubeni-L&T-এর প্রস্তাবিত মূল্য ছিল প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এত বেশি দরে কাজ করাতে অনীহা প্রকাশ করে। তাদের নির্দেশে ডিএমটিসিএল ‘নেগোসিয়েশন স্ট্র্যাটেজি’ গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ৪৬৫ কোটি টাকায় কাজটি করাতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
একই সঙ্গে এক বছর Defect Notification Period (DNP) বাড়ানো সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ইলেকট্রো মেকানিক্যাল কাজও Marubeni-L&T সম্পাদন করেছিল। ফলে একই ঠিকাদার থাকায় মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশে System Integration সুবিধা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।
এই চুক্তির মাধ্যমে অর্জিত ১৮৫ কোটি টাকার নিট সাশ্রয় সরকারের ‘ব্যয় অপ্টিমাইজেশন’ (খরচ যৌক্তিকীকরণ) নীতির প্রতিফলন। অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বচ্ছতা ও কঠোর দর-কষাকষির মাধ্যমে জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্পে অর্থায়নকারী সংস্থা জাইকার (JICA) সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী তাদের মনোনীত ঠিকাদার দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার ফলে মেট্রোরেল প্রকল্পে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী আন্দোলন-সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া, মিরপুর-১০-সহ অন্যান্য মেট্রোরেল স্টেশন মাত্র ১৮ কোটি টাকায় আড়াই মাসে মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এই কাজের জন্য ৩৫০ কোটি টাকা ও এক বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া পিক আওয়ারে ট্রেনের ব্যবধান ৮ থেকে কমিয়ে ৬ মিনিট করা হয়েছে, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ মিনিটে নামানো হবে। মেট্রোরেলের পরিষেবা সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ভাড়াবহির্ভূত আয় বাড়াতে স্টেশন ও ট্রেনের ভেতরে বাণিজ্যিক স্থান, ব্যাংক, এটিএম ও সিআরএম বুথ এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপন স্থাপনের চুক্তিগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল স্থাপনের চুক্তিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিটি প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য নকশা সংশোধন, দর বিশ্লেষণ ও প্রতিবেশী দেশের তুলনামূলক মূল্যায়ন চলছে।
কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অব্যাহত রয়েছে। Real-Time Technology Transfer, DMTCL-এর Institutional Capacity বৃদ্ধি, স্থানীয় চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং স্থানীয় শিল্প বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান।

মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের ইলেকট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেমের কাজের জন্য ২০১৮ সালের জুনে দরপত্র দাখিলকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই কাজের প্রাথমিক ব্যয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সফল দর-কষাকষির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
আজ বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেজাউল করিম বলেন, সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) দ্বিতীয় সংশোধন অনুযায়ী এ খাতে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। তবে প্রকৃত ব্যয় নির্ধারণে দরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা বিনিময় হার, কাঁচামাল সরবরাহ ও পরিবহন ব্যয়সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে Marubeni-L&T-এর প্রস্তাবিত মূল্য ছিল প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এত বেশি দরে কাজ করাতে অনীহা প্রকাশ করে। তাদের নির্দেশে ডিএমটিসিএল ‘নেগোসিয়েশন স্ট্র্যাটেজি’ গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ৪৬৫ কোটি টাকায় কাজটি করাতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
একই সঙ্গে এক বছর Defect Notification Period (DNP) বাড়ানো সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ইলেকট্রো মেকানিক্যাল কাজও Marubeni-L&T সম্পাদন করেছিল। ফলে একই ঠিকাদার থাকায় মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশে System Integration সুবিধা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।
এই চুক্তির মাধ্যমে অর্জিত ১৮৫ কোটি টাকার নিট সাশ্রয় সরকারের ‘ব্যয় অপ্টিমাইজেশন’ (খরচ যৌক্তিকীকরণ) নীতির প্রতিফলন। অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বচ্ছতা ও কঠোর দর-কষাকষির মাধ্যমে জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্পে অর্থায়নকারী সংস্থা জাইকার (JICA) সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী তাদের মনোনীত ঠিকাদার দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার ফলে মেট্রোরেল প্রকল্পে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী আন্দোলন-সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া, মিরপুর-১০-সহ অন্যান্য মেট্রোরেল স্টেশন মাত্র ১৮ কোটি টাকায় আড়াই মাসে মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এই কাজের জন্য ৩৫০ কোটি টাকা ও এক বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া পিক আওয়ারে ট্রেনের ব্যবধান ৮ থেকে কমিয়ে ৬ মিনিট করা হয়েছে, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ মিনিটে নামানো হবে। মেট্রোরেলের পরিষেবা সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ভাড়াবহির্ভূত আয় বাড়াতে স্টেশন ও ট্রেনের ভেতরে বাণিজ্যিক স্থান, ব্যাংক, এটিএম ও সিআরএম বুথ এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপন স্থাপনের চুক্তিগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল স্থাপনের চুক্তিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিটি প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য নকশা সংশোধন, দর বিশ্লেষণ ও প্রতিবেশী দেশের তুলনামূলক মূল্যায়ন চলছে।
কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অব্যাহত রয়েছে। Real-Time Technology Transfer, DMTCL-এর Institutional Capacity বৃদ্ধি, স্থানীয় চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং স্থানীয় শিল্প বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান।

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ...
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলী ওরফে শুকলালকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২৭ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলী ওরফে শুকলালকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন। তবে মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলীর বাবা আসান মল্লিক ও মা সাহেদা খাতুনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার এনায়েতপুর স্কুলপাড়ার বাসিন্দা। আদালতে রায় ঘোষণার সময় আসামি শুকুর আলী পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২৮ নভেম্বর যৌতুকের দাবিতে আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূ লাইলী সুলতানা কুমকুমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত লাইলীর বাবা সামসুল জোয়ার্দ্দার মেয়ে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী শুকুর আলী, শ্বশুর আসান মল্লিক ও শাশুড়ি সাহেদা খাতুনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল শুকুর আলীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য দুজনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলায় দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মারুফ সরোয়ার বাবু বলেন, মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলী ওরফে শুকলালকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন। তবে মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলীর বাবা আসান মল্লিক ও মা সাহেদা খাতুনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার এনায়েতপুর স্কুলপাড়ার বাসিন্দা। আদালতে রায় ঘোষণার সময় আসামি শুকুর আলী পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২৮ নভেম্বর যৌতুকের দাবিতে আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূ লাইলী সুলতানা কুমকুমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত লাইলীর বাবা সামসুল জোয়ার্দ্দার মেয়ে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী শুকুর আলী, শ্বশুর আসান মল্লিক ও শাশুড়ি সাহেদা খাতুনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল শুকুর আলীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য দুজনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলায় দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মারুফ সরোয়ার বাবু বলেন, মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ...
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এই কাজের প্রাথমিক ব্যয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সফল দর-কষাকষির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির নাম অনিক হোসেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি কদমতলীর খোরশেদ আলী সরদার রোডের বুড়ির বাড়ির মসজিদের পাশে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাজেদুর রহমান সাজুকে (২৮) গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করেন আসামি অনিক (২৭) ও তাঁর সহযোগীরা। সাজুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুর রহমান সাঈদ কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনিককে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির নাম অনিক হোসেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি কদমতলীর খোরশেদ আলী সরদার রোডের বুড়ির বাড়ির মসজিদের পাশে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাজেদুর রহমান সাজুকে (২৮) গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করেন আসামি অনিক (২৭) ও তাঁর সহযোগীরা। সাজুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুর রহমান সাঈদ কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনিককে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ...
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এই কাজের প্রাথমিক ব্যয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সফল দর-কষাকষির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
১ সেকেন্ড আগে
চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলী ওরফে শুকলালকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
২১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২৭ মিনিট আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজশাহীর বাঘায় বসবাসরত মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোলাগুলির খবর পেয়ে নিকটস্থ বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা, কয়েকটি তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলটি কোন থানার আওতাধীন—তা নির্ধারণ করতে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন মাঠে থাকেন, যার ফলে মামলা কার্যক্রমে বিলম্ব হয়। পরে নির্ধারিত হয়, ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। নিহত ব্যক্তিরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন; নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁরা বাঘার নিচ খানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
অন্যদিকে গতকাল সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। নিহত লিটনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। পেশায় তিনি কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন এবং কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতা ছিল, আমরা সরেজমিনে তা নির্ধারণ করেছি—এটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে গুলির খোসা ও রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বিকেলে কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন মণ্ডল গ্রুপের নিহতের পরিবার। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
অভিযুক্ত কাকন বাহিনীর প্রধান কাকন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাঝদিয়াড় গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়ে পদ্মা নদীর বালুমহাল ও চরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি বালুমহাল দখল ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গড়ে তোলেন সশস্ত্র ‘কাকন বাহিনী’। বর্তমানে এ বাহিনীর সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ৪০ জনের বেশি। তারা দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, বাঘা ও নাটোরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজশাহীর বাঘায় বসবাসরত মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোলাগুলির খবর পেয়ে নিকটস্থ বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা, কয়েকটি তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলটি কোন থানার আওতাধীন—তা নির্ধারণ করতে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন মাঠে থাকেন, যার ফলে মামলা কার্যক্রমে বিলম্ব হয়। পরে নির্ধারিত হয়, ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। নিহত ব্যক্তিরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন; নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁরা বাঘার নিচ খানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
অন্যদিকে গতকাল সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। নিহত লিটনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। পেশায় তিনি কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন এবং কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতা ছিল, আমরা সরেজমিনে তা নির্ধারণ করেছি—এটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে গুলির খোসা ও রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বিকেলে কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন মণ্ডল গ্রুপের নিহতের পরিবার। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
অভিযুক্ত কাকন বাহিনীর প্রধান কাকন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাঝদিয়াড় গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়ে পদ্মা নদীর বালুমহাল ও চরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি বালুমহাল দখল ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গড়ে তোলেন সশস্ত্র ‘কাকন বাহিনী’। বর্তমানে এ বাহিনীর সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ৪০ জনের বেশি। তারা দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, বাঘা ও নাটোরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ...
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এই কাজের প্রাথমিক ব্যয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সফল দর-কষাকষির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
১ সেকেন্ড আগে
চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলী ওরফে শুকলালকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগে