Ajker Patrika

স্কুলে যাওয়ার পর জানা গেল তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৪৮
স্কুলে যাওয়ার পর জানা গেল তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ 

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে—এমন পূর্বাভাস ছিল না। স্কুলও ছুটি দেওয়া হয়নি। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পর জানলেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি শীত মৌসুমে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চলেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসাবে রাজশাহীতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর আগে ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

আগের দিন সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার সর্বনিম্ন ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ৯ দশমিক ৮। আর গত ১৩ জানুয়ারি তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এ জন্য রোববার ও সোমবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। তবে মঙ্গলবারের ব্যাপারে আগে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার পর রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম স্কুলে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। এর আগেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায়। পরে এই নির্দেশনা জানার পর তড়িঘরি করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানান শিক্ষকেরা। প্রাথমিক বিদ্যালয় এভাবে ছুটি হলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চলেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে আবহাওয়ার বিষয়টি কখনো বেশি হচ্ছে আবার কখনো কমে যাচ্ছে, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের নিজেদের মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারি না। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আগের দিন সোমবার আমরা আবহাওয়া অফিসের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পাঠদানের জন্য। কিন্তু সকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরাও আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা বলেছিল ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামবে না। তাই পাঠদান বন্ধর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন তাপমাত্রা নেমে গেছে। তারা যেভাবে আমাদের বার্তা দিচ্ছে সেইভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত