নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মোবাইল অ্যাপ ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এবার নাটোরের আদালতে মামলা হয়েছে। খন্দকার মশিউর রহমান (৩৯) নামে প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি আজ বুধবার নাটোর সদর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-প্রতারকচক্রের হোতা ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের বাংলাদেশ প্রধান সজিব কুমার ভৌমিক ওরফে মাহাদি হাসান (৩৩), রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮), তাঁর স্ত্রী ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি (৩২) এবং রাজশাহী জেলা এজেন্ট মিঠুন মণ্ডল (৩৬)।
মামলার বাদীর আইনজীবী মারুফ হোসেন বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন। পরে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী খন্দকার মশিউর রহমানের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার লালবাজার এলাকায়। তিনি মামলার আরজিতে বলেছেন, এই অ্যাপে বিনিয়োগ করলে প্রতিমাসে ১১ হাজার ২০০ টাকা মুনাফা রেমিটেন্স আকারে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা তাকে বিনিয়োগ করান।
২০২২ সালের জুন মাসে তিনি ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক দেন। পরবর্তীতে আসামিরা আবারও বাদীর অফিসে গিয়ে তাকে প্রলোভন দেখান এবং আরও ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করান। এ ছাড়া মামলার আটজন সাক্ষী আরও এক কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তারা দুএকমাস মুনাফা পান। এরপর আর পাননি। আসল টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা পাননি।
এ ধরনের লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে এই অ্যাপে রাজশাহীর শতাধিক ব্যক্তিকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করানো হয়। সারা দেশে এই অ্যাপে প্রায় ২ হাজার মানুষ বিনিয়োগ করে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন। এই প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় প্রথম একটি মামলা হয়। এরপর ২৩ জানুয়ারি গোদাগাড়ী থানায় আরেকটি মামলা হয়। এ ছাড়া রাজশাহীর আদালতে আরও সাতটি মামলা হয়। নাটোরের মামলাটি নিয়ে এই প্রতারণার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা হলো।
এ সব মামলার আসামিদের মধ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা তুজ জহুরা মিলির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার আমলি আদালত। অন্য আসামিরা পলাতক। পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়েরের পর রাজশাহী মহানগর পুলিশ আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দেয়। এ ছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করতেও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপ ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এবার নাটোরের আদালতে মামলা হয়েছে। খন্দকার মশিউর রহমান (৩৯) নামে প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি আজ বুধবার নাটোর সদর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-প্রতারকচক্রের হোতা ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের বাংলাদেশ প্রধান সজিব কুমার ভৌমিক ওরফে মাহাদি হাসান (৩৩), রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮), তাঁর স্ত্রী ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি (৩২) এবং রাজশাহী জেলা এজেন্ট মিঠুন মণ্ডল (৩৬)।
মামলার বাদীর আইনজীবী মারুফ হোসেন বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন। পরে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী খন্দকার মশিউর রহমানের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার লালবাজার এলাকায়। তিনি মামলার আরজিতে বলেছেন, এই অ্যাপে বিনিয়োগ করলে প্রতিমাসে ১১ হাজার ২০০ টাকা মুনাফা রেমিটেন্স আকারে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা তাকে বিনিয়োগ করান।
২০২২ সালের জুন মাসে তিনি ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক দেন। পরবর্তীতে আসামিরা আবারও বাদীর অফিসে গিয়ে তাকে প্রলোভন দেখান এবং আরও ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করান। এ ছাড়া মামলার আটজন সাক্ষী আরও এক কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তারা দুএকমাস মুনাফা পান। এরপর আর পাননি। আসল টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা পাননি।
এ ধরনের লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে এই অ্যাপে রাজশাহীর শতাধিক ব্যক্তিকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করানো হয়। সারা দেশে এই অ্যাপে প্রায় ২ হাজার মানুষ বিনিয়োগ করে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন। এই প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় প্রথম একটি মামলা হয়। এরপর ২৩ জানুয়ারি গোদাগাড়ী থানায় আরেকটি মামলা হয়। এ ছাড়া রাজশাহীর আদালতে আরও সাতটি মামলা হয়। নাটোরের মামলাটি নিয়ে এই প্রতারণার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা হলো।
এ সব মামলার আসামিদের মধ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা তুজ জহুরা মিলির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার আমলি আদালত। অন্য আসামিরা পলাতক। পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়েরের পর রাজশাহী মহানগর পুলিশ আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দেয়। এ ছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করতেও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৩ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৬ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে