আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া)

আত্মহত্যা একটি মানসিক ব্যাধি। চিকিৎসকেরা আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। পৃথিবীতে কিছু কিছু সময় কিছু জায়গায় আত্মহত্যার বৈধতা ছিল। প্রাচীন রোমে আত্মহত্যা প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত ছিল। তবে সেটাও নির্দিষ্ট কারণে করা যেত। সামরিক পরাজয়ের মোকাবিলা করার জন্য এটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বলে তখন মনে করা হতো। রোমে কিছু আত্মহত্যার কারণ যেমন- গ্ল্যাডিয়েটর যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক মৃত্যু, অন্যের জীবন বাঁচাতে, অন্যের জীবন রক্ষা করার জন্য, শোকের ফলে, ধর্ষণের জন্য লজ্জা থেকে মুক্তি পেতে, শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, সামরিক পরাজয়ের মতো অসহিষ্ণু পরিস্থিতিতে থেকে অব্যাহতি বা অপরাধমূলক সাধনা সাধারণ বিষয় ছিল।
কিন্তু এটা নিয়ে নানান জটিলতা দেখা দেওয়ায় আত্মহত্যাকে অবৈধ করা হয়। প্রাচীন এথেন্সে যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের অনুমোদন ব্যতিরেকে আত্মহত্যা করত তাহলে তাকে সাধারণ কবরস্থানের করব দেওয়া হতো না। তাকে সমাহিত করা হতো শহরের বাইরে অবস্থিত কোন জায়গায়, শুধু তাই নয় তাঁর জন্য কোন স্মৃতিফলক ও ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না।
এরপরও পৃথিবীতে থেমে থাকেনি আত্মহত্যার ঘটনা। যেটা এখনও চলমান। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। তথ্য মতে, ২০১৮ সালে উপজেলাটিতে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ২৪ জন। ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ জনে। ২০২০ সালে এই প্রবণতা কমে দাঁড়ায় ১৫ জনে। আবার ২০২১ সালে চলতি আগস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আত্মহত্যার তালিকায় রয়েছেন বৃদ্ধ, কিশোর, নারী, পুরুষসহ বিভিন্ন বয়স, শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক কলহ, বিয়ে ভেঙে যাওয়া, প্রেমে ব্যর্থতা, রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারা, অর্থনৈতিক সংকট, মাদকসহ বিভিন্ন কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটেছে। এই আত্মহত্যাগুলো অধিকাংশই হয়েছে গলায় রশি বা ওড়না পেঁচিয়ে, বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে হতাশা, ক্ষোভ, ব্যক্তিত্বে আঘাত এবং সর্বোপরি আত্মরক্ষার পদ্ধতি না জানার কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ আগস্ট গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুল বাড়ি গ্রামের মৃত পিয়াস উদ্দিনের ছেলে দিনমজুর পলাশ (৪৫) গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়। ১৮ জুলাই মির্জাপুর ইউনিয়নে উত্তরপাড়া গ্রামে নিজ শয়ন ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ভ্যান চালক আজিজুর রহমান (৬৫)। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি ৷ এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যা করেন বলে নিহতের পরিবার জানিয়েছে।
১৬ জুলাই উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে নাই শিমুল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রকি (২২) বিষপান আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার ২ মাস পূর্বে রকি প্রেম করে বিয়ে করেন। এর পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। স্বামী আত্মহত্যা করায় স্ত্রী আরিফা নিজেও ঘরের ভেতর গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে তাদের পরিবার থেকে বলা হয়েছে। ২৪ জুন ভবানীপুর ইউনিয়নের আটাইল গ্রামে স্বামীর ওপর অভিমান করে গৃহবধূ আদুরী খাতুন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাইক্রিয়েটিক সোশ্যাল ওয়ার্কার বিভাগের ডাক্তার বোরহান উদ্দিন হায়দার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে। নৈরাজ্যকর অবস্থার কারণে আত্মহত্যা করে। দেশের বর্তমান অবস্থার কারণেও আত্মহত্যা করে।
বোরহান উদ্দিন বলেন, মূলত আত্মরক্ষার পদ্ধতি না জানার কারণে আত্মহত্যা করে। অনির্ধারিত কারণে আত্মহত্যা চলে আসে। বর্তমান সময়ে সবাই আইসোলেটেড হয়ে আছি।এই সময়ে মানুষ অবসাদে ভুগছেন। এ কারণে আত্মহত্যাগুলো ঘটছে। এমন সময় পরিবার পরিবেশ শান্ত রাখতে হবে। কারও মনের ওপরে জোর দেওয়া যাবে না।
এছাড়াও ২১ জুন সকালে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামে শ্রীমতি সুন্দরী তাঁতি (৫৫) নামের এক আদিবাসী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামীর ওপর অভিমান করে ওই নারী ঘরের তীরের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পুলিশ। ২৫মে কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কলোনি গ্রামের স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করার পরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ ময়না বেগম (৪৫)। ৫মে গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে আত্মহত্যা করেন রোকেয়া বেগম (৪৮)। ছেলের বউয়ের ওপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। একই ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে গত ১১ মার্চ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ২ সন্তানের জননী মাসুমা আকতার ববিতা (৩৫)।
এদিকে খামারকান্দি ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে গত ৭ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জেরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন মনোয়ারা খাতুন (৪৫)। ছেলের বউয়ের সঙ্গে বিবাদের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবার জানিয়েছিলেন। পরকীয়ার সন্দেহ ২০ মার্চ সুঘাট ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ সাবিনা বেগম (৩০)। একই ইউনিয়নের ফুলজোড় মধ্যপাড়া গ্রামে ৫ মার্চ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে নববধূ সুমাইয়া আক্তার মিতু (২০)। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের স্বজনরা জানান।
চকখানপুর দত্তপাড়া গ্রামে হিন্দু পাড়ায় ১৩ জানুয়ারি শম্পা বালা (১৬) বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে পরদিন ১৪ জানুয়ারি ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সায়েম মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। গবেষণায় দেখা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীনতাই আত্মহত্যার প্রধান কারণ। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এবং সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে আক্রান্তদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তা ছাড়া মাদকাসক্তি, অপরাধবোধ, অন্যের প্ররোচনা, অশিক্ষা, অতিদারিদ্রতা, দাম্পত্য কলহ, প্রেমে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে।
মোহাম্মদ আবু সায়েম বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সবাই ঘরবন্দী। এই সময়ে মানুষ অবসাদে ভুগছে। পরিবারের সঙ্গে একটু ঝামেলা হলেও মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা চলে আসছে। সেই কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা কমছে না।
এই সময়ে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। পরিবারই পারে আত্মহত্যা কমাতে। তাই পরিবারের উচিৎ সকল সদস্যের দিকে খেয়াল রাখা বলেন মোহাম্মদ আবু সায়েম।

আত্মহত্যা একটি মানসিক ব্যাধি। চিকিৎসকেরা আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। পৃথিবীতে কিছু কিছু সময় কিছু জায়গায় আত্মহত্যার বৈধতা ছিল। প্রাচীন রোমে আত্মহত্যা প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত ছিল। তবে সেটাও নির্দিষ্ট কারণে করা যেত। সামরিক পরাজয়ের মোকাবিলা করার জন্য এটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বলে তখন মনে করা হতো। রোমে কিছু আত্মহত্যার কারণ যেমন- গ্ল্যাডিয়েটর যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক মৃত্যু, অন্যের জীবন বাঁচাতে, অন্যের জীবন রক্ষা করার জন্য, শোকের ফলে, ধর্ষণের জন্য লজ্জা থেকে মুক্তি পেতে, শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, সামরিক পরাজয়ের মতো অসহিষ্ণু পরিস্থিতিতে থেকে অব্যাহতি বা অপরাধমূলক সাধনা সাধারণ বিষয় ছিল।
কিন্তু এটা নিয়ে নানান জটিলতা দেখা দেওয়ায় আত্মহত্যাকে অবৈধ করা হয়। প্রাচীন এথেন্সে যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের অনুমোদন ব্যতিরেকে আত্মহত্যা করত তাহলে তাকে সাধারণ কবরস্থানের করব দেওয়া হতো না। তাকে সমাহিত করা হতো শহরের বাইরে অবস্থিত কোন জায়গায়, শুধু তাই নয় তাঁর জন্য কোন স্মৃতিফলক ও ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না।
এরপরও পৃথিবীতে থেমে থাকেনি আত্মহত্যার ঘটনা। যেটা এখনও চলমান। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। তথ্য মতে, ২০১৮ সালে উপজেলাটিতে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ২৪ জন। ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ জনে। ২০২০ সালে এই প্রবণতা কমে দাঁড়ায় ১৫ জনে। আবার ২০২১ সালে চলতি আগস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আত্মহত্যার তালিকায় রয়েছেন বৃদ্ধ, কিশোর, নারী, পুরুষসহ বিভিন্ন বয়স, শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক কলহ, বিয়ে ভেঙে যাওয়া, প্রেমে ব্যর্থতা, রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারা, অর্থনৈতিক সংকট, মাদকসহ বিভিন্ন কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটেছে। এই আত্মহত্যাগুলো অধিকাংশই হয়েছে গলায় রশি বা ওড়না পেঁচিয়ে, বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে হতাশা, ক্ষোভ, ব্যক্তিত্বে আঘাত এবং সর্বোপরি আত্মরক্ষার পদ্ধতি না জানার কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ আগস্ট গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুল বাড়ি গ্রামের মৃত পিয়াস উদ্দিনের ছেলে দিনমজুর পলাশ (৪৫) গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়। ১৮ জুলাই মির্জাপুর ইউনিয়নে উত্তরপাড়া গ্রামে নিজ শয়ন ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ভ্যান চালক আজিজুর রহমান (৬৫)। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি ৷ এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যা করেন বলে নিহতের পরিবার জানিয়েছে।
১৬ জুলাই উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে নাই শিমুল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রকি (২২) বিষপান আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার ২ মাস পূর্বে রকি প্রেম করে বিয়ে করেন। এর পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। স্বামী আত্মহত্যা করায় স্ত্রী আরিফা নিজেও ঘরের ভেতর গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে তাদের পরিবার থেকে বলা হয়েছে। ২৪ জুন ভবানীপুর ইউনিয়নের আটাইল গ্রামে স্বামীর ওপর অভিমান করে গৃহবধূ আদুরী খাতুন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাইক্রিয়েটিক সোশ্যাল ওয়ার্কার বিভাগের ডাক্তার বোরহান উদ্দিন হায়দার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে। নৈরাজ্যকর অবস্থার কারণে আত্মহত্যা করে। দেশের বর্তমান অবস্থার কারণেও আত্মহত্যা করে।
বোরহান উদ্দিন বলেন, মূলত আত্মরক্ষার পদ্ধতি না জানার কারণে আত্মহত্যা করে। অনির্ধারিত কারণে আত্মহত্যা চলে আসে। বর্তমান সময়ে সবাই আইসোলেটেড হয়ে আছি।এই সময়ে মানুষ অবসাদে ভুগছেন। এ কারণে আত্মহত্যাগুলো ঘটছে। এমন সময় পরিবার পরিবেশ শান্ত রাখতে হবে। কারও মনের ওপরে জোর দেওয়া যাবে না।
এছাড়াও ২১ জুন সকালে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামে শ্রীমতি সুন্দরী তাঁতি (৫৫) নামের এক আদিবাসী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামীর ওপর অভিমান করে ওই নারী ঘরের তীরের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পুলিশ। ২৫মে কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কলোনি গ্রামের স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করার পরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ ময়না বেগম (৪৫)। ৫মে গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে আত্মহত্যা করেন রোকেয়া বেগম (৪৮)। ছেলের বউয়ের ওপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। একই ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে গত ১১ মার্চ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ২ সন্তানের জননী মাসুমা আকতার ববিতা (৩৫)।
এদিকে খামারকান্দি ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে গত ৭ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জেরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন মনোয়ারা খাতুন (৪৫)। ছেলের বউয়ের সঙ্গে বিবাদের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবার জানিয়েছিলেন। পরকীয়ার সন্দেহ ২০ মার্চ সুঘাট ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ সাবিনা বেগম (৩০)। একই ইউনিয়নের ফুলজোড় মধ্যপাড়া গ্রামে ৫ মার্চ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে নববধূ সুমাইয়া আক্তার মিতু (২০)। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের স্বজনরা জানান।
চকখানপুর দত্তপাড়া গ্রামে হিন্দু পাড়ায় ১৩ জানুয়ারি শম্পা বালা (১৬) বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে পরদিন ১৪ জানুয়ারি ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সায়েম মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। গবেষণায় দেখা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীনতাই আত্মহত্যার প্রধান কারণ। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এবং সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে আক্রান্তদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তা ছাড়া মাদকাসক্তি, অপরাধবোধ, অন্যের প্ররোচনা, অশিক্ষা, অতিদারিদ্রতা, দাম্পত্য কলহ, প্রেমে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে।
মোহাম্মদ আবু সায়েম বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সবাই ঘরবন্দী। এই সময়ে মানুষ অবসাদে ভুগছে। পরিবারের সঙ্গে একটু ঝামেলা হলেও মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা চলে আসছে। সেই কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা কমছে না।
এই সময়ে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। পরিবারই পারে আত্মহত্যা কমাতে। তাই পরিবারের উচিৎ সকল সদস্যের দিকে খেয়াল রাখা বলেন মোহাম্মদ আবু সায়েম।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এরপরও পৃথিবীতে থেমে থাকেনি আত্মহত্যার ঘটনা। যেটা এখনও চলমান। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা...
১০ আগস্ট ২০২১
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

এরপরও পৃথিবীতে থেমে থাকেনি আত্মহত্যার ঘটনা। যেটা এখনও চলমান। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা...
১০ আগস্ট ২০২১
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

এরপরও পৃথিবীতে থেমে থাকেনি আত্মহত্যার ঘটনা। যেটা এখনও চলমান। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা...
১০ আগস্ট ২০২১
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।
তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।
তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এরপরও পৃথিবীতে থেমে থাকেনি আত্মহত্যার ঘটনা। যেটা এখনও চলমান। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা...
১০ আগস্ট ২০২১
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে