শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
‘বৈহিনকে কারাম, ভাইকে ধারাম’ স্লোগান সামনে রেখে প্রকৃতির সন্তুষ্টি ও মানব জাতিকে বাঁচাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার শেরপুরে কারাম উৎসব উদ্যাপন করল তুরি সম্প্রদায়। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জগন্নাথ পাড়া গ্রামে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন এই উৎসবের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে তুরি অন্যতম। প্রতিবছরের মতো এবারও শেরপুরে কারাম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বৃহত্তর পরিসরে। এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা পাঁচ দিনের। কোথাও কোথাও সাত দিন ধরে এই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রথম দিন থেকেই যাঁরা কারাম পূজায় অংশগ্রহণ করেন তাঁদের আমিষ খাবার, হলুদ, তেল ও সব ধরনের মসলাজাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হয়। যাঁরা কারাম পূজায় অংশগ্রহণ করেন তাঁদের কেরমেতি বলা হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, যদি এই খাবারপদ্ধতির কেউ অনিয়ম করেন, তাহলে তাঁর অংশের বীজের অঙ্কুর (জাঁওয়া) মারা যায়। মাটি, বালু, মুং, কুর্থি, ছোলা ইত্যাদি উপকরণের সমন্বয়ে চারা গাছের অঙ্কুরোদগমের জন্য তৈরি ডালাকে জাঁওয়া বলা হয়। এটি বৃহৎ অর্থে বৃক্ষের তথা কৃষির বিভিন্ন বীজের অঙ্কুরোদ্গম, সন্তানস্নেহে লালনপালন ও সংরক্ষণকেই বোঝায়।
এই দিনে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় উপবাস থাকেন। এরপর সন্ধ্যায় মণ্ডপে স্থাপন করা হয় কারামগাছ। মূলত এই গাছকে কেন্দ্র করেই চলে পূজা-অর্চনা। পূজা শেষে নারী-পুরুষের সম্মিলিত নৃত্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কারাম উৎসবের।
বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কান্ত মাহাতো বলেন, ‘সারা দেশে আদিবাসীরা বিভিন্নভাবে নিগৃহীত। এই উৎসবে আমরা একদিকে যেমন ঈশ্বরের কাছে দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করি, অন্যদিকে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শক্তি অর্জন করি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর নিজস্ব কিছু সাংস্কৃতিক উৎসব ও ঐতিহ্য রয়েছে। কারাম উৎসব তাদের অন্যতম। এগুলো টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত আয়োজন করা জরুরি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। এ ছাড়াও আদিবাসী নেতা কমল তুরি সিং, তিলোক তুরি সিং, সন্তোষ সরকার, আবদুস সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘বৈহিনকে কারাম, ভাইকে ধারাম’ স্লোগান সামনে রেখে প্রকৃতির সন্তুষ্টি ও মানব জাতিকে বাঁচাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার শেরপুরে কারাম উৎসব উদ্যাপন করল তুরি সম্প্রদায়। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জগন্নাথ পাড়া গ্রামে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন এই উৎসবের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে তুরি অন্যতম। প্রতিবছরের মতো এবারও শেরপুরে কারাম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বৃহত্তর পরিসরে। এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা পাঁচ দিনের। কোথাও কোথাও সাত দিন ধরে এই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রথম দিন থেকেই যাঁরা কারাম পূজায় অংশগ্রহণ করেন তাঁদের আমিষ খাবার, হলুদ, তেল ও সব ধরনের মসলাজাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হয়। যাঁরা কারাম পূজায় অংশগ্রহণ করেন তাঁদের কেরমেতি বলা হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, যদি এই খাবারপদ্ধতির কেউ অনিয়ম করেন, তাহলে তাঁর অংশের বীজের অঙ্কুর (জাঁওয়া) মারা যায়। মাটি, বালু, মুং, কুর্থি, ছোলা ইত্যাদি উপকরণের সমন্বয়ে চারা গাছের অঙ্কুরোদগমের জন্য তৈরি ডালাকে জাঁওয়া বলা হয়। এটি বৃহৎ অর্থে বৃক্ষের তথা কৃষির বিভিন্ন বীজের অঙ্কুরোদ্গম, সন্তানস্নেহে লালনপালন ও সংরক্ষণকেই বোঝায়।
এই দিনে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় উপবাস থাকেন। এরপর সন্ধ্যায় মণ্ডপে স্থাপন করা হয় কারামগাছ। মূলত এই গাছকে কেন্দ্র করেই চলে পূজা-অর্চনা। পূজা শেষে নারী-পুরুষের সম্মিলিত নৃত্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কারাম উৎসবের।
বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কান্ত মাহাতো বলেন, ‘সারা দেশে আদিবাসীরা বিভিন্নভাবে নিগৃহীত। এই উৎসবে আমরা একদিকে যেমন ঈশ্বরের কাছে দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করি, অন্যদিকে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শক্তি অর্জন করি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর নিজস্ব কিছু সাংস্কৃতিক উৎসব ও ঐতিহ্য রয়েছে। কারাম উৎসব তাদের অন্যতম। এগুলো টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত আয়োজন করা জরুরি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। এ ছাড়াও আদিবাসী নেতা কমল তুরি সিং, তিলোক তুরি সিং, সন্তোষ সরকার, আবদুস সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ থানা এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ধরছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই মিলে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। মাদকের ইস্যুতে কোনো ধরনের তদবির চলবে না।
৩ মিনিট আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে এক ব্যক্তির (৬৫) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
১৯ মিনিট আগেখুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে কেএমপির পুলিশ কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা কেএমপি সদর দপ্তরে...
২০ মিনিট আগেকুমিল্লার চান্দিনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী জানায় যে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে