রাজশাহী প্রতিনিধি
ভ্যানের ধাক্কায় শিশু সিয়াম মণ্ডলের (৭) পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গেছে। ফুসফুসে জমেছে রক্ত। ১০ হাজার টাকা ধার করে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার বাবা। হাসপাতালে প্রতারণা করে সেই টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক। এখন শিশুটির চিকিৎসা কীভাবে হবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সিয়ামের বাবা শহীদ মণ্ডল।
শিশু সিয়াম পাবনার সুজানগর উপজেলার নওয়াগ্রামের শহীদ মণ্ডলের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাস্তা পারাপারের সময় একটি ভ্যান ধাক্কা দেয় সিয়ামকে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
গত শুক্রবার ভোরের আলো না ফুটতেই এক ব্যক্তি রামেক হাসপাতালে শিশু সিয়াম মণ্ডলের শয্যার কাছে গিয়ে নিজেকে সার্জারির চিকিৎসক পরিচয় দেন। বলেন, এখনই ছয়টি ইনজেকশন দিতে হবে সিয়ামকে। সিয়ামের বাবা শহীদ মণ্ডল জানতে চান, ইনজেকশনের দাম কত? ওই ব্যক্তি জানান, 'বাইরে থেকে কিনলে ৬ হাজার টাকা লাগবে। আর হাসপাতাল থেকে নিলে দাম পড়বে ৩ হাজার ৪০০ টাকা।' টাকা দিলে তিনিই ইনজেকশনের ব্যবস্থা করে দেবেন। শহীদ মণ্ডল তখন তার কাছ থেকেই ইনজেকশন নিতে রাজি হন। প্রতারক ওই ব্যক্তি শহীদ মণ্ডল ও তাঁর ভাতিজা রাজীব মণ্ডলকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে শহীদের কাছ থেকে নেন ৪ হাজার টাকা। টাকা নেওয়ার পর রাজীবকে কৌশলে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান ভর্তির কাগজটি আনার জন্য। আর শহীদকে ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে ওই প্রতারক ভেতরে ঢোকেন। তারপর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন শহীদ প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
রাজীব মণ্ডল জানান, ১০ হাজার টাকা ধার করে সিয়ামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পাবনায় এবং রাজশাহীতে আগেই তাদের ৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। বাকি ছিল ৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিয়ামের অস্ত্রোপচার করে ফুসফুসে জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়েছে। এই অস্ত্রোপচারের ওষুধপত্র কিনতে ২ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন হাতে কোনো টাকা নেই। কী দিয়ে চিকিৎসা করাবেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
কৃষক শহীদ মণ্ডল বলেন, ‘একবার ধার করে টাকা এনেছি। এখন আবার কারও কাছে হাত পাতার অবস্থা নেই। মানুষের দুঃসময়ে যারা প্রতারণা করে টাকা নিয়ে যায়, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’
প্রতারণার এমন কথা শুনে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদানী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ এত নিরীহ! এত সহজ-সরল! এই সুযোগটাই নেয় প্রতারকেরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে প্রায় রোগী ও স্বজন মিলে ৩০ হাজার মানুষ থাকে। চেষ্টা করেও হাসপাতালকে প্রতারকমুক্ত করতে পারছি না। অনেক সময় প্রতারকেরা অ্যাপ্রোন পর্যন্ত পরে নেয়। মাস্ক পরে। কেউ তাদের চিনতে পারে না। ডাক্তার মনে করে তাদের কথাই রোগীর স্বজনেরা শোনেন। এরপর প্রতারণার শিকার হন।’
ভ্যানের ধাক্কায় শিশু সিয়াম মণ্ডলের (৭) পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গেছে। ফুসফুসে জমেছে রক্ত। ১০ হাজার টাকা ধার করে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার বাবা। হাসপাতালে প্রতারণা করে সেই টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক। এখন শিশুটির চিকিৎসা কীভাবে হবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সিয়ামের বাবা শহীদ মণ্ডল।
শিশু সিয়াম পাবনার সুজানগর উপজেলার নওয়াগ্রামের শহীদ মণ্ডলের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাস্তা পারাপারের সময় একটি ভ্যান ধাক্কা দেয় সিয়ামকে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
গত শুক্রবার ভোরের আলো না ফুটতেই এক ব্যক্তি রামেক হাসপাতালে শিশু সিয়াম মণ্ডলের শয্যার কাছে গিয়ে নিজেকে সার্জারির চিকিৎসক পরিচয় দেন। বলেন, এখনই ছয়টি ইনজেকশন দিতে হবে সিয়ামকে। সিয়ামের বাবা শহীদ মণ্ডল জানতে চান, ইনজেকশনের দাম কত? ওই ব্যক্তি জানান, 'বাইরে থেকে কিনলে ৬ হাজার টাকা লাগবে। আর হাসপাতাল থেকে নিলে দাম পড়বে ৩ হাজার ৪০০ টাকা।' টাকা দিলে তিনিই ইনজেকশনের ব্যবস্থা করে দেবেন। শহীদ মণ্ডল তখন তার কাছ থেকেই ইনজেকশন নিতে রাজি হন। প্রতারক ওই ব্যক্তি শহীদ মণ্ডল ও তাঁর ভাতিজা রাজীব মণ্ডলকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে শহীদের কাছ থেকে নেন ৪ হাজার টাকা। টাকা নেওয়ার পর রাজীবকে কৌশলে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান ভর্তির কাগজটি আনার জন্য। আর শহীদকে ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে ওই প্রতারক ভেতরে ঢোকেন। তারপর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন শহীদ প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
রাজীব মণ্ডল জানান, ১০ হাজার টাকা ধার করে সিয়ামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পাবনায় এবং রাজশাহীতে আগেই তাদের ৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। বাকি ছিল ৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিয়ামের অস্ত্রোপচার করে ফুসফুসে জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়েছে। এই অস্ত্রোপচারের ওষুধপত্র কিনতে ২ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন হাতে কোনো টাকা নেই। কী দিয়ে চিকিৎসা করাবেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
কৃষক শহীদ মণ্ডল বলেন, ‘একবার ধার করে টাকা এনেছি। এখন আবার কারও কাছে হাত পাতার অবস্থা নেই। মানুষের দুঃসময়ে যারা প্রতারণা করে টাকা নিয়ে যায়, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’
প্রতারণার এমন কথা শুনে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদানী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ এত নিরীহ! এত সহজ-সরল! এই সুযোগটাই নেয় প্রতারকেরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে প্রায় রোগী ও স্বজন মিলে ৩০ হাজার মানুষ থাকে। চেষ্টা করেও হাসপাতালকে প্রতারকমুক্ত করতে পারছি না। অনেক সময় প্রতারকেরা অ্যাপ্রোন পর্যন্ত পরে নেয়। মাস্ক পরে। কেউ তাদের চিনতে পারে না। ডাক্তার মনে করে তাদের কথাই রোগীর স্বজনেরা শোনেন। এরপর প্রতারণার শিকার হন।’
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১ ঘণ্টা আগে