বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামের উপলশহর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান (৫৫)। গ্রামের মাঠে তাঁর ৪৫ বিঘা ফসলি জমি ছিল। জলাবদ্ধতায় সব জমি নষ্ট হয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। সংসার চালাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে দিনমজুরি করছেন। পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ধরনা দিচ্ছেন তিনি। শুধু লুৎফর রহমান নন, শত শত পরিবার এখন একইভাবে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপলশহর বিলের ফসলি জমিতে গ্রামেরই দুই ভাই মকবুল হোসেন ও ওয়াজ উদ্দিন পুকুর খনন করেন। সরকারি খালের মুখ দখল করে পুকুর খনন করেন জসিম উদ্দিন নামের আরও একজন। এসব পুকুরের পাড়ের বাঁধে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উপলশহর, বিনোদশহর, বিষ্ণপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের জমিতে বৃষ্টির পানিসহ সব ধরনের পানি জমে থাকে। ফসলি মাঠ ও বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় উপলশহর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ভরে উঠেছে কচুরিপানায়। শতাধিক প্রান্তিক কৃষক কয়েক বছর ধরে তাঁদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুকুর খননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেন না।
কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করার পর ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি খাল মুক্ত করে কিছু জমি অধিগ্রহণ করলে আড়াই হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব। তাহলে আমাদের মতো কাউকে আর ভিনজেলায় দিনমজুরি করতে যেতে হবে না।’
উপলশহর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান আলী বলেন, ‘পুকুর খননের কারণে বিদ্যালয়ের প্রায় দুই বিঘা মাঠে সারা বছর পানি জমে থাকে। শহীদ মিনার নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে।’
পুকুর খননকারী ওয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার জমির পাশে পুকুর খনন করায় চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আমিও পুকুর খনন করেছি।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার পুকুরের পশ্চিম পাশে কিছু জায়গা খাল খননের জন্য রেখেছি। চাইলে সেই জায়গা দিয়েই খাল খনন করা সম্ভব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ বলেন, ‘এলাকার তিন ফসলি জমিগুলো এখন এক ফসলিতে নেমে এসেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাটোরের বড়াইগ্রামের উপলশহর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান (৫৫)। গ্রামের মাঠে তাঁর ৪৫ বিঘা ফসলি জমি ছিল। জলাবদ্ধতায় সব জমি নষ্ট হয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। সংসার চালাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে দিনমজুরি করছেন। পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ধরনা দিচ্ছেন তিনি। শুধু লুৎফর রহমান নন, শত শত পরিবার এখন একইভাবে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপলশহর বিলের ফসলি জমিতে গ্রামেরই দুই ভাই মকবুল হোসেন ও ওয়াজ উদ্দিন পুকুর খনন করেন। সরকারি খালের মুখ দখল করে পুকুর খনন করেন জসিম উদ্দিন নামের আরও একজন। এসব পুকুরের পাড়ের বাঁধে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উপলশহর, বিনোদশহর, বিষ্ণপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের জমিতে বৃষ্টির পানিসহ সব ধরনের পানি জমে থাকে। ফসলি মাঠ ও বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় উপলশহর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ভরে উঠেছে কচুরিপানায়। শতাধিক প্রান্তিক কৃষক কয়েক বছর ধরে তাঁদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুকুর খননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেন না।
কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করার পর ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি খাল মুক্ত করে কিছু জমি অধিগ্রহণ করলে আড়াই হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব। তাহলে আমাদের মতো কাউকে আর ভিনজেলায় দিনমজুরি করতে যেতে হবে না।’
উপলশহর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান আলী বলেন, ‘পুকুর খননের কারণে বিদ্যালয়ের প্রায় দুই বিঘা মাঠে সারা বছর পানি জমে থাকে। শহীদ মিনার নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে।’
পুকুর খননকারী ওয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার জমির পাশে পুকুর খনন করায় চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আমিও পুকুর খনন করেছি।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার পুকুরের পশ্চিম পাশে কিছু জায়গা খাল খননের জন্য রেখেছি। চাইলে সেই জায়গা দিয়েই খাল খনন করা সম্ভব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ বলেন, ‘এলাকার তিন ফসলি জমিগুলো এখন এক ফসলিতে নেমে এসেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জামাল হোসেন মুন্সী, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি পরিমল সাহা, সাধারণ সম্পাদক শান্ত সাহা, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মো. নিয়ামত খান, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ সমর্থক জয়ন্ত সাহা।
২ মিনিট আগেবাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাকচাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কে উপজেলার খাজুরা নামক স্থানে খান জাহান আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক তোফাজ্জেল হোসেন পলাশ (২১) খুলনার দোলখোলা টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
২৮ মিনিট আগেনাটোরের সুগার মিলে ডাকাতি করে ৯০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ লুটের মামলার প্রধান আসামি নাজমুল হুদা (৩২) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-৫ ঢাকার সাভার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। নাজমুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোটিয়া গ্রামের মোকদম আলীর ছেলে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে পাঠানো...
৩০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ভূঁইয়াগাতী এলাকায় ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের পাশ থেকে এক অজ্ঞাত নারীর (৬৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তা মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
৩৮ মিনিট আগে