Ajker Patrika

রাজশাহীতে গানম্যান পাচ্ছেন ২ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে গানম্যান পাচ্ছেন ২ প্রার্থী

নৌকার দাপটে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নির্বাচনে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যে কোনো সময় সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তার শঙ্কার কারণে দুই প্রার্থীর জন্যই গানম্যান বরাদ্দ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এলাকার টানা তিনবারের এমপি। কিন্তু এবার নির্বাচনে এলাকায় তার তেমন পোস্টারই নেই। গোটা এলাকায় নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পোস্টার। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এমপি এনামুল হক বলছেন, দিনে পোস্টার টানালে রাতেই তা খুলে নিয়ে যান নৌকার সমর্থকেরা। ফলে এলাকায় তার কোনো পোস্টার থাকছে না। এনামুলের অভিযোগ, এলাকায় রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেছেন নৌকার সমর্থকেরা। ফলে ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রার্থী এনামুল হকের এ কথার সত্যতা পাওয়া গেল আজ শনিবার বাগমারা উপজেলা গোয়ালকান্দি ও শ্রীপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে। এ দুটি ইউনিয়নের কোথাও এমপি এনামুলের কাঁচি প্রতীকের পোস্টার নেই। শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বললেন, ‘হামারেক এলাকায় তো খালি নৌকার পোস্টারই দেকিচ্চি। কাঁচি মার্কা একবার পোস্টার টানিয়ে গেছিল। একুন তো সেসব দেকিচ্চি না। মুনে হয় কেউ আবার খুইলি লিইয়ি গেলছে। নৌকার লোকজন বুলিছে, নৌকা ছাড়া কুনু কথা হোবি ন্যা।’

এ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ। তিনি তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর এনামুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০০৮ সাল থেকে পর পর তিনবার তিনি দলের মনোনয়নে এমপি হয়েছেন। এবার মনোনয়ন পাননি। 

সবশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেঁউখালী গ্রামে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের ব্যক্তিগত সহকারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- এমপি এনামুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউর রহমান, সমথর্ক গোলাম মণ্ডল, আয়ুব আলী ও শরিফ উদ্দিন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমপি এনামুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন কাঁচি মার্কার পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, তার ছেলে শাওনসহ ৩০-৪০ জনের একটি দল কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এমপি এনামুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্দেশেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। যার জনপ্রিয়তা বেশি, ভোটারেরা তাকে বেছে নেবে। কিন্তু গোটা উপজেলাজুড়ে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আমার অন্তত ৪০ জন নেতকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটছেই। এ কারণে কয়েকটি ইউনিয়ন ও তাহেরপুর পৌর এলাকায় এ পর্যন্ত কোনো পোস্টারই লাগানো যায়নি।’ 

এনামুল হক বলেন, ‘আমি এ আসনের ১৫ বছরের এমপি। জেএমবি-সর্বহারা মুক্ত করে অশান্ত বাগমারাকে আমি শান্ত করেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সব সময় মিশেছি। কখনো গানম্যান রাখার প্রয়োজন মনে করিনি। এবার নির্বাচনে আমাকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে। আমি এসব চাই না। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারে, এটাই চাই। আমি অশান্তি চাই না। তাই এ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছ থেকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বারবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেলেও সতর্ক হননি।’

নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তিনি (এমপি) আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনছেন, সেগুলো সঠিক নয়। কোথাও পোস্টার টানাতে বাধা দেওয়া হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনই উল্টো হুমকি দিচ্ছেন বলে নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করেন।’

রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বাগমারায় একটু উত্তেজনা রয়েছে। সে জন্য দুই প্রার্থীর সঙ্গেই গ্যানমান দেওয়া হয়েছে। পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করছেন। আমি নিজেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত বাগমারা যাচ্ছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে আমরা সতর্ক আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাটোর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীর সমর্থনে সড়ক অবরোধ

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মারধরের ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি মেনে নিল সেনাবাহিনী

জাবি প্রতিনিধি 
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেনাবাহিনী কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন সাভার অঞ্চলে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইমদাদুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৫০তম (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে টিউশনি শেষে বাইকে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ইমন। এ সময় তাঁর হেলমেট না থাকায় সাভারের পাকিজা এলাকায় সেনাসদস্যরা তাঁকে আটকান। এ সময় তাঁর সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ছিল না। এতে তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাঁর এক ভাই সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে জানান সেনাসদস্যদের। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন এবং তাঁদের পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন।

এই ঘটনার জেরে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ চলার পর সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে সমস্যার সমাধান করতে চাইলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রাত পৌনে ১১টার দিকে সেই সেনা কর্মকর্তাসহ সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও জাকসুর মধ্যস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে ভুক্তভোগী ইমনের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু। দাবিগুলো হলো—অভিযুক্ত মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলীকে ক্ষমা চাইতে হবে; ভুক্তভোগী ইমনের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়ভার সেনাবাহিনীকে গ্রহণ করতে হবে; ভবিষ্যতে এই ঘটনার জের ধরে ইমন বা তাঁর পরিবার যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক যেন সেনাবাহিনীর দ্বারা এমন আচরণের শিকার না হন, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠন করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে।

আলোচনায় উপস্থিত সেনাবাহিনীর সাভার স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইনতেখাব হায়দার খান শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি মেনে নেন এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবেন বলে জানান। পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তা মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলী তাৎক্ষণিক তাঁদের ভুলের জন্য ক্ষমা চান।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাভারে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাঁদেরকে ক্যাম্পাসে এসে সমস্যাটি সমাধানের অনুরোধ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের জানানো পাঁচটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত