নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ভাষাসৈনিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মরদেহের প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজশাহীবাসী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁর মরদেহ রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এনে রাখা হয়। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর মরদেহে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
গোলাম আরিফ টিপু এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন। এখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক এবং আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। রাজশাহী কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় এই শহরে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকায় মিছিল বের করে রফিক, জব্বার, সালামেরা শহীদ হলে ওই রাতেই রাজশাহী কলেজে প্রথম শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের সময়ও ছিলেন গোলাম আরিফ টিপু। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের জন্য রাজশাহীতে গঠন করা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এই ভাষাসংগ্রামী একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজশাহীর আদালতে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। তাই তাঁর মরদেহ আনা হয়েছিল রাজশাহীতে। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথমে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সালিম উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার আগে বক্তব্য দেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও গোলাম আরিফ টিপুর ছোট মেয়ে ডানা নাজলীন। মেয়র বলেন, ‘গোলাম আরিফ টিপু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাষা আন্দোলন করেছেন, রাজশাহীতে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে দিনের পর দিন অবিচল থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তিনি শুধু রাজশাহীর নয়, সারা দেশের সম্পদ। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তাঁকে অনুসরণ করতে পারলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।’
এর আগে সকাল পৌনে ৯টায় গোলাম আরিফ টিপুর জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও পুলিশ সুপার মো. ছায়দুল হাসান তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দেশের প্রথিতযশা এই আইনজীবী ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী ও ঢাকায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত রাজশাহীতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে তিনি ঢাকায় স্থায়ী হন। ঢাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফনের কথা রয়েছে।
ভাষাসৈনিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মরদেহের প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজশাহীবাসী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁর মরদেহ রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এনে রাখা হয়। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর মরদেহে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
গোলাম আরিফ টিপু এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন। এখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক এবং আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। রাজশাহী কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় এই শহরে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকায় মিছিল বের করে রফিক, জব্বার, সালামেরা শহীদ হলে ওই রাতেই রাজশাহী কলেজে প্রথম শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের সময়ও ছিলেন গোলাম আরিফ টিপু। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের জন্য রাজশাহীতে গঠন করা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এই ভাষাসংগ্রামী একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজশাহীর আদালতে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। তাই তাঁর মরদেহ আনা হয়েছিল রাজশাহীতে। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথমে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সালিম উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার আগে বক্তব্য দেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও গোলাম আরিফ টিপুর ছোট মেয়ে ডানা নাজলীন। মেয়র বলেন, ‘গোলাম আরিফ টিপু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাষা আন্দোলন করেছেন, রাজশাহীতে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে দিনের পর দিন অবিচল থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তিনি শুধু রাজশাহীর নয়, সারা দেশের সম্পদ। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তাঁকে অনুসরণ করতে পারলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।’
এর আগে সকাল পৌনে ৯টায় গোলাম আরিফ টিপুর জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও পুলিশ সুপার মো. ছায়দুল হাসান তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দেশের প্রথিতযশা এই আইনজীবী ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী ও ঢাকায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত রাজশাহীতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে তিনি ঢাকায় স্থায়ী হন। ঢাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফনের কথা রয়েছে।
মোংলায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের পূর্বঘোষিত সমাবেশ বিএনপি–সমর্থিত শ্রমিকদের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। এতে এনসিপির নেত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেচট্টগ্রামে স্কুলে গিয়ে নিখোঁজের পরদিন মো. রাহাত (১৩) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে রাহাতের বন্ধুরা তাকে হত্যা করেছে। আজ বুধবার ভোরে নগরের চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে কর্দমাক্ত অবস্থায় রাহাতের লাশ উদ্ধার
৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিন মৃধার ছেলে জহুরুল ইসলাম মৃধা (৪৫) ও মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বিভাগ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের
২২ মিনিট আগেরাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় আবাসিক ভবনের দশতলা ছাদ থেকে পড়ে তাসকিয়া তানহা (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বজনেরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎ
৩৯ মিনিট আগে