শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শিবগঞ্জে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘদিন পর সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পাওয়ায় উপজেলাজুড়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গণসংযোগও করছিলেন তাঁরা। নিয়ম মেনে নৌকার প্রার্থী পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ঘোষণা আসে, আসনটি বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় পার্টি নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগমের পক্ষে নির্বাচন করবেন তাঁরা।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন (কাঁচি)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম (ট্রাক), আল ফারাবী মো. নূরুল ইসলাম (বেঞ্চ), দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (লাঙ্গল), টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) বরকত উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. বজলুর রহমান (সোনালি আঁশ) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. মুনছুর রহমান শেখ (ডাব)।
শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর ভোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। আর তাই এ আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগমের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। গত বুধবার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের কলেজ রোডে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহসান হাবিব সবুজ, দেউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে প্রকাশ্যে ট্রাকের প্রচারে অংশ নিতে দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দিয়েছেন তাঁরা। এ সময় দেউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার ভোট উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে যাকে খুশি ভোট দেবে। আমরা তাই ট্রাক মার্কাকে বেছে নিয়েছি।’
শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী আমরা বিউটি বেগমকে সাপোর্ট দিয়েছি। বিউটি বেগমকে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচিত করে আমাদের দলকে সুসংগঠিত করব। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কেউ একটা ভোট কাটতে পারবে না।’
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ বলেন, ‘ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বিউটি বেগমের সঙ্গে আছে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী। এবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো জোট হয়নি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় পার্টি আপত্তি করেছিল। তাই এই আসনসহ ২৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ছাড় দেওয়া এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সমর্থন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টি। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বসেছিলাম। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার হওয়ায় তাঁরা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। এ কারণেই অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাঁরা।’
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যাঁর ইচ্ছে তাঁর ভোট করবেন। শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জাতীয় পার্টির প্রার্থী, মহাজোটের নন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো জোট হয়নি। আসন সমন্বয় হয়েছে। আমাদের দলীয় প্রার্থী না থাকায় নেতা-কর্মীরা ব্যক্তি উদ্যোগে হয়তো কাউকে সমর্থন দিচ্ছেন। এখানে আমরা দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন দিইনি।’
বগুড়ার শিবগঞ্জে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘদিন পর সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পাওয়ায় উপজেলাজুড়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গণসংযোগও করছিলেন তাঁরা। নিয়ম মেনে নৌকার প্রার্থী পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ঘোষণা আসে, আসনটি বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় পার্টি নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগমের পক্ষে নির্বাচন করবেন তাঁরা।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন (কাঁচি)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম (ট্রাক), আল ফারাবী মো. নূরুল ইসলাম (বেঞ্চ), দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (লাঙ্গল), টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) বরকত উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. বজলুর রহমান (সোনালি আঁশ) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. মুনছুর রহমান শেখ (ডাব)।
শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর ভোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। আর তাই এ আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগমের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। গত বুধবার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের কলেজ রোডে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহসান হাবিব সবুজ, দেউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে প্রকাশ্যে ট্রাকের প্রচারে অংশ নিতে দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দিয়েছেন তাঁরা। এ সময় দেউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার ভোট উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে যাকে খুশি ভোট দেবে। আমরা তাই ট্রাক মার্কাকে বেছে নিয়েছি।’
শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী আমরা বিউটি বেগমকে সাপোর্ট দিয়েছি। বিউটি বেগমকে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচিত করে আমাদের দলকে সুসংগঠিত করব। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কেউ একটা ভোট কাটতে পারবে না।’
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ বলেন, ‘ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বিউটি বেগমের সঙ্গে আছে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী। এবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো জোট হয়নি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় পার্টি আপত্তি করেছিল। তাই এই আসনসহ ২৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ছাড় দেওয়া এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সমর্থন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টি। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বসেছিলাম। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার হওয়ায় তাঁরা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। এ কারণেই অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাঁরা।’
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যাঁর ইচ্ছে তাঁর ভোট করবেন। শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জাতীয় পার্টির প্রার্থী, মহাজোটের নন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো জোট হয়নি। আসন সমন্বয় হয়েছে। আমাদের দলীয় প্রার্থী না থাকায় নেতা-কর্মীরা ব্যক্তি উদ্যোগে হয়তো কাউকে সমর্থন দিচ্ছেন। এখানে আমরা দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন দিইনি।’
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিলহান্ট পরিচালনা করে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ নেতা মো মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার মিজান রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি।
৪ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
১ ঘণ্টা আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগে