রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রায় সব ধরনের স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কলেরার স্যালাইনের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওষুধের দোকানগুলোয় এই স্যালাইন মিলছে না। তবে ভিন্ন উপায়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকার বিনিময়ে স্যালাইন সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অসংখ্য ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। ফার্মেসিগুলোয় ১০০ বা ৫০০ মিলিলিটারের কোনো স্যালাইনই পাওয়া যাচ্ছে না। একটি দোকানেও নেই কলেরার স্যালাইন। বেশকিছু দিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফার্মেসি মালিকেরা। তাদের দাবি, ওষুধ কোম্পানি স্যালাইনের সরবরাহ ৫০ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছে। ফলে এখন স্যালাইন দোকানে মজুত থাকছে না।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাজশাহীতেই স্যালাইনের সরবরাহ কমানো হয়েছে। ফলে কেউ কেউ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে স্যালাইন এনে রাজশাহীতে বিক্রি করছেন বাড়তি দামে। লক্ষ্মীপুর এলাকার দাদু ফার্মেসি, ওল্ড রাজশাহী ফার্মেসি, শাহিন মেডিকেল হোমসহ আরও কয়েকটি ফার্মেসির মালিকেরা জানিয়েছেন, তারা চাইলেও কোম্পানি স্যালাইন সরবরাহ করছে না। ফলে রোগীদের চাহিদা মতো স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি সংকট হচ্ছে কলেরার স্যালাইনের। রোগীদের এই স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ বেশি দামে কোনো কোনো স্থান থেকে স্যালাইন সংগ্রহ করছেন। সেগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গোলাম রাব্বানী নামে এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরো লক্ষ্মীপুর এলাকা ঘুরেও তিনি তার রোগীর জন্য কলেরার স্যালাইন পাননি। পরে একটি ক্লিনিকের এক কর্মচারীর মাধ্যমে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি স্যালাইন কেনেন। ৯০ টাকার স্যালাইন তাঁকে কিনতে হয়েছে ৩০০ টাকায়।’
অভিযোগ রয়েছে, স্যালাইনের সংকটের কারণে ফার্মেসি মালিকেরা বেশি টাকা ছাড়া বিক্রিই করছেন না। এমন অভিযোগে গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী লক্ষ্মীপুর এলাকার ফার্মেসির দোকানগুলোয় অভিযান চালান। এ সময় ৯০ টাকার স্যালাইন ২০০ টাকায় বিক্রি করার অপরাধে আলিফ লাম মিম ও আরোগ্য নিকেতন নামে দুটি ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর এলাকার ওল্ড রাজশাহী ফার্মেসির মালিক মো. ডন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যালাইনের সংকট আছে। তবে আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করছি না। অন্যরা কেউ করলে করতে পারে। আমাদের দোকানে বাড়তি দামে স্যালাইন বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। অল্প কিছু স্যালাইন পেলে নির্ধারিত দামেই দিচ্ছি।’
ফার্মেসিতে স্যালাইন সংকট ও বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যালাইনের সংকট এবং বেশি দামে বিক্রির বিষয়টি নজরদারির জন্য অধিদপ্তর থেকেই বলা হয়েছে। আমরা মনিটরিং করছি। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা কিংবা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফার্মেসিতে স্যালাইনের সংকট থাকলেও রামেক হাসপাতালে কোনো সংকট হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমি সব ওয়ার্ডেই কথা বলেছি। কেউ বলেনি যে স্যালাইনের সংকট হয়েছে। আমাদের সব ধরনের স্যালাইন আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীদের সব স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।’
রাজশাহীতে প্রায় সব ধরনের স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কলেরার স্যালাইনের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওষুধের দোকানগুলোয় এই স্যালাইন মিলছে না। তবে ভিন্ন উপায়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকার বিনিময়ে স্যালাইন সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অসংখ্য ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। ফার্মেসিগুলোয় ১০০ বা ৫০০ মিলিলিটারের কোনো স্যালাইনই পাওয়া যাচ্ছে না। একটি দোকানেও নেই কলেরার স্যালাইন। বেশকিছু দিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফার্মেসি মালিকেরা। তাদের দাবি, ওষুধ কোম্পানি স্যালাইনের সরবরাহ ৫০ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছে। ফলে এখন স্যালাইন দোকানে মজুত থাকছে না।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাজশাহীতেই স্যালাইনের সরবরাহ কমানো হয়েছে। ফলে কেউ কেউ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে স্যালাইন এনে রাজশাহীতে বিক্রি করছেন বাড়তি দামে। লক্ষ্মীপুর এলাকার দাদু ফার্মেসি, ওল্ড রাজশাহী ফার্মেসি, শাহিন মেডিকেল হোমসহ আরও কয়েকটি ফার্মেসির মালিকেরা জানিয়েছেন, তারা চাইলেও কোম্পানি স্যালাইন সরবরাহ করছে না। ফলে রোগীদের চাহিদা মতো স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি সংকট হচ্ছে কলেরার স্যালাইনের। রোগীদের এই স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ বেশি দামে কোনো কোনো স্থান থেকে স্যালাইন সংগ্রহ করছেন। সেগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গোলাম রাব্বানী নামে এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরো লক্ষ্মীপুর এলাকা ঘুরেও তিনি তার রোগীর জন্য কলেরার স্যালাইন পাননি। পরে একটি ক্লিনিকের এক কর্মচারীর মাধ্যমে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি স্যালাইন কেনেন। ৯০ টাকার স্যালাইন তাঁকে কিনতে হয়েছে ৩০০ টাকায়।’
অভিযোগ রয়েছে, স্যালাইনের সংকটের কারণে ফার্মেসি মালিকেরা বেশি টাকা ছাড়া বিক্রিই করছেন না। এমন অভিযোগে গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী লক্ষ্মীপুর এলাকার ফার্মেসির দোকানগুলোয় অভিযান চালান। এ সময় ৯০ টাকার স্যালাইন ২০০ টাকায় বিক্রি করার অপরাধে আলিফ লাম মিম ও আরোগ্য নিকেতন নামে দুটি ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর এলাকার ওল্ড রাজশাহী ফার্মেসির মালিক মো. ডন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যালাইনের সংকট আছে। তবে আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করছি না। অন্যরা কেউ করলে করতে পারে। আমাদের দোকানে বাড়তি দামে স্যালাইন বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। অল্প কিছু স্যালাইন পেলে নির্ধারিত দামেই দিচ্ছি।’
ফার্মেসিতে স্যালাইন সংকট ও বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যালাইনের সংকট এবং বেশি দামে বিক্রির বিষয়টি নজরদারির জন্য অধিদপ্তর থেকেই বলা হয়েছে। আমরা মনিটরিং করছি। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা কিংবা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফার্মেসিতে স্যালাইনের সংকট থাকলেও রামেক হাসপাতালে কোনো সংকট হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমি সব ওয়ার্ডেই কথা বলেছি। কেউ বলেনি যে স্যালাইনের সংকট হয়েছে। আমাদের সব ধরনের স্যালাইন আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীদের সব স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।’
সরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৮ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১২ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
১৬ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগে