সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)
বগুড়ার সারিয়াকান্দির সদর ও কাজলা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের চারটি গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৪০৮টি পরিবার পাবে বিদ্যুতের সুবিধা। গত রোববার সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে বহু বছরের প্রত্যাশিত এই সেবা পেতে শুরু করেছে এই এলাকার মানুষ।
বিদ্যুৎ সরবরাহের শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।
দুটি ইউনিয়নের চর বাটিয়া, কুড়িপাড়া, চর শালুখা ও কাজলা গ্রামের কয়েক হাজার বাসসিন্দা পেয়েছেন এই সুবিধা। এ ছাড়া বিদ্যুতের সুবিধাভোগী চারটি গ্রামে রয়েছে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। তারা এখন বিদ্যুতের আলোয় পড়ালেখা করছে।
কথা হয় বাটিয়া চরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র লিখন মিয়ার সঙ্গে। সে বলে, `আগে হামরা হারকিনের আলোত পড়ালেখা করিচ্চিলেম। হারকিনের আলোত পড়তে হামার একটুতেই ঘুম ধরছে। আবার হারকিনের গন্ধও হামার সহ্য হচ্ছিল না। বইয়ের নেকাগুলেও ভালো বুঝা যাচ্ছিল না। একন হামার বাড়িত কারেন আচ্চে। কি যে খুশি হছি হামি। বইয়ের লেখা একন স্পষ্ট বুঝা যাচ্চে।'
শালুখা চরের আব্দুল বাছেদ। তিনি গ্রামের একমাত্র মুরুব্বি। তিনি বলেন, `হামার জীবনে হামার বাড়িত বসে হামি কারেনের (বিদ্যুতের) আলোত ভাত খামু এডে হামি কুনোদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। হামার অন্ধকার বাড়ি একন (এখন) আলো দিয়ে ফকফকা হয়া গেছে। হামাগিরে (আমাদের) চরে কারেন দেওয়ার জন্য হামরা সরকারেক ধন্যবাদ জানাই।'
কাজলা চরের পান্না মিয়া বলেন, `কেরোসিন তেলের নিম্পু আর হারকিন বা মোমবাতি আছিল হামাগিরে রাতের একমাত্র অবলম্বন। পেটের ভাত জোগাড় করবের না পারলেও কেরোসিন তেল ঠিকই কিনা লাগছে। কখনো বাড়িতে কেরোসিন তেল না থাকলে জোসনার আলোতেই রাতের খাবার খাছি।'
জানা যায়, এ এলাকায় বিদ্যুৎ আসায় উপজেলার চরাঞ্চলগুলোর চার গ্রামে এখন শুরু হবে বিদ্যুচ্চালিত শ্যালো মেশিন। এতে চরগুলোর কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন মেসার্স মালঞ্চ বিল্ডার্স লিমিটেড।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সারিয়াকান্দি জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অসিত কুমার শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, `চরাঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে আমাদের প্রকল্প চালু হয়েছে। এর আওতাধীন উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হয়েছে। তিনটি সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে দেড় কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করে চারটি গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, `শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ' প্রতিপাদ্য সফল করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা শেখ হাসিনা সরকারের একটি অন্যতম সাফল্য।'
বগুড়ার সারিয়াকান্দির সদর ও কাজলা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের চারটি গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৪০৮টি পরিবার পাবে বিদ্যুতের সুবিধা। গত রোববার সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে বহু বছরের প্রত্যাশিত এই সেবা পেতে শুরু করেছে এই এলাকার মানুষ।
বিদ্যুৎ সরবরাহের শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।
দুটি ইউনিয়নের চর বাটিয়া, কুড়িপাড়া, চর শালুখা ও কাজলা গ্রামের কয়েক হাজার বাসসিন্দা পেয়েছেন এই সুবিধা। এ ছাড়া বিদ্যুতের সুবিধাভোগী চারটি গ্রামে রয়েছে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। তারা এখন বিদ্যুতের আলোয় পড়ালেখা করছে।
কথা হয় বাটিয়া চরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র লিখন মিয়ার সঙ্গে। সে বলে, `আগে হামরা হারকিনের আলোত পড়ালেখা করিচ্চিলেম। হারকিনের আলোত পড়তে হামার একটুতেই ঘুম ধরছে। আবার হারকিনের গন্ধও হামার সহ্য হচ্ছিল না। বইয়ের নেকাগুলেও ভালো বুঝা যাচ্ছিল না। একন হামার বাড়িত কারেন আচ্চে। কি যে খুশি হছি হামি। বইয়ের লেখা একন স্পষ্ট বুঝা যাচ্চে।'
শালুখা চরের আব্দুল বাছেদ। তিনি গ্রামের একমাত্র মুরুব্বি। তিনি বলেন, `হামার জীবনে হামার বাড়িত বসে হামি কারেনের (বিদ্যুতের) আলোত ভাত খামু এডে হামি কুনোদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। হামার অন্ধকার বাড়ি একন (এখন) আলো দিয়ে ফকফকা হয়া গেছে। হামাগিরে (আমাদের) চরে কারেন দেওয়ার জন্য হামরা সরকারেক ধন্যবাদ জানাই।'
কাজলা চরের পান্না মিয়া বলেন, `কেরোসিন তেলের নিম্পু আর হারকিন বা মোমবাতি আছিল হামাগিরে রাতের একমাত্র অবলম্বন। পেটের ভাত জোগাড় করবের না পারলেও কেরোসিন তেল ঠিকই কিনা লাগছে। কখনো বাড়িতে কেরোসিন তেল না থাকলে জোসনার আলোতেই রাতের খাবার খাছি।'
জানা যায়, এ এলাকায় বিদ্যুৎ আসায় উপজেলার চরাঞ্চলগুলোর চার গ্রামে এখন শুরু হবে বিদ্যুচ্চালিত শ্যালো মেশিন। এতে চরগুলোর কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন মেসার্স মালঞ্চ বিল্ডার্স লিমিটেড।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সারিয়াকান্দি জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অসিত কুমার শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, `চরাঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে আমাদের প্রকল্প চালু হয়েছে। এর আওতাধীন উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হয়েছে। তিনটি সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে দেড় কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করে চারটি গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, `শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ' প্রতিপাদ্য সফল করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা শেখ হাসিনা সরকারের একটি অন্যতম সাফল্য।'
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২২ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৭ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩২ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে