নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পাঁচ বছর আগেও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা ছিল না। এখন তাঁর ব্যাংকে রয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। পাঁচ বছরেই সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব এভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এই পাঁচ বছরে সম্পদশালী হয়েছেন এমপি ফারুকের ওপর নির্ভরশীল সন্তানেরাও।
ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তাঁকে এ আসনের দলীয় প্রার্থী করেছে। এ জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন। হলফনামা থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে। যাচাই-বাছাইয়ে ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
ফারুক চৌধুরীর হলফনামায় গেছে, তার হাতে এখন নগদ আছে ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৬ টাকা। ২০১৮ সালে ছিল ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৬০২ টাকা। এর আগে ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ৬২ হাজার ৪৫০ এবং ২০০৮ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০০৮ সালে ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা থাকলেও ২০১৮ সালের মধ্যেই তা শূন্যে নেমে আসে। তবে এখন ব্যাংকে আছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। আগে কিছুই না থাকলেও এখন তাঁর বন্ড আছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন তিনি।
ফারুক চৌধুরী বরাবরই নিজের নামে ৭০ বিঘা কৃষি ও অকৃষি জমি দেখিয়ে এসেছেন। নির্ভরশীলদের কোনো জমি ছিল না। এবার তার নির্ভরশীলদের নামেও আছে ৬০ বিঘা জমি। ২০১৮ সালে নির্ভরশীলদের নামে কোনো সম্পদ না থাকলেও এখন আছে নগদ ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ টাকা, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার বন্ড, ১৭ লাখ টাকার দুটি গাড়ি ও ৮০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে কৃষিখাত থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, চাকরি থেকে ৬ লাখ এবং অন্যান্য খাত থেকে ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৬ টাকা।
হলফনামার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ধরেননি। আসনটিতে আরও সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন মো. শামসুজ্জোহা (বিএনএম), মো. আল-সাআদ (বিএনএফ), জামাল খান দুদু (তৃণমূল বিএনপি), নুরুন্নেসা (এনপিপি), বশির আহমেদ (মুক্তিজোট) ও মো. শামসুদ্দীন (জাতীয় পার্টি)।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আল সাআদ একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ১ লাখ। ব্যাংকে আছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার। স্বর্ণালঙ্কার আছে ৩৫ ভরি। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য আছে দেড় লাখ হাজার টাকার। অন্য কোনো সম্পদ নেই তার। তার নামে কোনো মামলাও নেই।
তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদুর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। তার নামেও কোনো মামলা নেই। জামালের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা। হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ১ লাখ। ব্যাংকে আছে ২ হাজার ৪৩৮ টাকা। স্ত্রীর হাতে আছে ২০ হাজার টাকা। টিনশেড একটি বাড়ি আছে তাদের। কৃষি জমি আছে ১৩ শতক। অকৃষি জমি আছে ৮ লাখ টাকার।
এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। তার নামেও কোনো মামলা নেই। কৃষিখাত থেকে তার বার্ষিক আয় ১ লাখ টাকা। হাতে আছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। নুরুন্নেসার জমি আছে ২ বিঘা। অন্য কোন খাত থেকে তার কোন আয় নেই।
মুক্তিজোটের প্রার্থী বশির আহমেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি পর্যন্ত। তার নামে কোনো মামলা নেই। টিউশনি করে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার হাতে আছে নগদ ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে আরও তার ১৯ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
বিএনএম প্রার্থী শামসুজ্জোহার পেশা শিক্ষাগত। পাশাপাশি ব্যবসাও রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং।
শামসুজ্জোহার নামে কোনো মামলা নেই। চাকরি থেকে তিনি বছরে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৮ টাকা ও ব্যবসা থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় করেন। তার একটি মোটরসাইকেল আছে। নিজের নামে ১ ভরি ও স্ত্রীর নামে ৯ ভরি স্বর্ণ আছে। বাসায় আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রয়েছে সবমিলিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকার।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুদ্দীন স্বশিক্ষিত। তার নামেও কোনো মামলা নেই। কৃষিখাত থেকে তার বার্ষিক আয় ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৩ লাখ ৫৫ হাজার। তার হাতে নগদ ২ লাখ ও ব্যাংকে ১ লাখ টাকা রয়েছে। ৫ বিঘা কৃষিজমির মালিক তিনি। বাসায় আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য আছে দেড় লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ১০ ভরি সোনা।
পাঁচ বছর আগেও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা ছিল না। এখন তাঁর ব্যাংকে রয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। পাঁচ বছরেই সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব এভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এই পাঁচ বছরে সম্পদশালী হয়েছেন এমপি ফারুকের ওপর নির্ভরশীল সন্তানেরাও।
ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তাঁকে এ আসনের দলীয় প্রার্থী করেছে। এ জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন। হলফনামা থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে। যাচাই-বাছাইয়ে ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
ফারুক চৌধুরীর হলফনামায় গেছে, তার হাতে এখন নগদ আছে ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৬ টাকা। ২০১৮ সালে ছিল ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৬০২ টাকা। এর আগে ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ৬২ হাজার ৪৫০ এবং ২০০৮ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০০৮ সালে ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা থাকলেও ২০১৮ সালের মধ্যেই তা শূন্যে নেমে আসে। তবে এখন ব্যাংকে আছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। আগে কিছুই না থাকলেও এখন তাঁর বন্ড আছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন তিনি।
ফারুক চৌধুরী বরাবরই নিজের নামে ৭০ বিঘা কৃষি ও অকৃষি জমি দেখিয়ে এসেছেন। নির্ভরশীলদের কোনো জমি ছিল না। এবার তার নির্ভরশীলদের নামেও আছে ৬০ বিঘা জমি। ২০১৮ সালে নির্ভরশীলদের নামে কোনো সম্পদ না থাকলেও এখন আছে নগদ ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ টাকা, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার বন্ড, ১৭ লাখ টাকার দুটি গাড়ি ও ৮০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে কৃষিখাত থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, চাকরি থেকে ৬ লাখ এবং অন্যান্য খাত থেকে ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৬ টাকা।
হলফনামার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ধরেননি। আসনটিতে আরও সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন মো. শামসুজ্জোহা (বিএনএম), মো. আল-সাআদ (বিএনএফ), জামাল খান দুদু (তৃণমূল বিএনপি), নুরুন্নেসা (এনপিপি), বশির আহমেদ (মুক্তিজোট) ও মো. শামসুদ্দীন (জাতীয় পার্টি)।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আল সাআদ একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ১ লাখ। ব্যাংকে আছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার। স্বর্ণালঙ্কার আছে ৩৫ ভরি। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য আছে দেড় লাখ হাজার টাকার। অন্য কোনো সম্পদ নেই তার। তার নামে কোনো মামলাও নেই।
তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদুর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। তার নামেও কোনো মামলা নেই। জামালের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা। হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ১ লাখ। ব্যাংকে আছে ২ হাজার ৪৩৮ টাকা। স্ত্রীর হাতে আছে ২০ হাজার টাকা। টিনশেড একটি বাড়ি আছে তাদের। কৃষি জমি আছে ১৩ শতক। অকৃষি জমি আছে ৮ লাখ টাকার।
এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। তার নামেও কোনো মামলা নেই। কৃষিখাত থেকে তার বার্ষিক আয় ১ লাখ টাকা। হাতে আছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। নুরুন্নেসার জমি আছে ২ বিঘা। অন্য কোন খাত থেকে তার কোন আয় নেই।
মুক্তিজোটের প্রার্থী বশির আহমেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি পর্যন্ত। তার নামে কোনো মামলা নেই। টিউশনি করে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার হাতে আছে নগদ ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে আরও তার ১৯ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
বিএনএম প্রার্থী শামসুজ্জোহার পেশা শিক্ষাগত। পাশাপাশি ব্যবসাও রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং।
শামসুজ্জোহার নামে কোনো মামলা নেই। চাকরি থেকে তিনি বছরে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৮ টাকা ও ব্যবসা থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় করেন। তার একটি মোটরসাইকেল আছে। নিজের নামে ১ ভরি ও স্ত্রীর নামে ৯ ভরি স্বর্ণ আছে। বাসায় আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রয়েছে সবমিলিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকার।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুদ্দীন স্বশিক্ষিত। তার নামেও কোনো মামলা নেই। কৃষিখাত থেকে তার বার্ষিক আয় ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৩ লাখ ৫৫ হাজার। তার হাতে নগদ ২ লাখ ও ব্যাংকে ১ লাখ টাকা রয়েছে। ৫ বিঘা কৃষিজমির মালিক তিনি। বাসায় আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য আছে দেড় লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ১০ ভরি সোনা।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে