Ajker Patrika

কৃষক লীগের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে সড়কের গাছ বিক্রির অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, ২০: ৩৬
কৃষক লীগের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে সড়কের গাছ বিক্রির অভিযোগ

সড়কের গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন কৃষক লীগের সাবেক এক নেতা। আর সেগুলো কিনে নিয়েছেন স্থানীয় এক করাতকলের মালিক। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গাছগুলো জব্দ করলেও এ বিষয়ে অবগত নন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও। আজ মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার শেরপুরে খানপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, খানপুর ইউনিয়নের খানপুর-চকখানপুর সড়কের দুই পাশে দিয়ে বেড়ে উঠেছে ইউক্যালিপটাস গাছ। গাছগুলো প্রায় আট বছর আগে রোপণ করা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানান। এর মধ্য থেকে মঙ্গলবার সকালে সড়কের বাম পাশ থেকে কেটে ফেলা হয়েছে ১৮টি গাছ। এরপর গাছের গুঁড়িগুলো স্তূপ করে রাখা হয়েছে পাশেই স্থানীয় করাতকলে। এই করাতকলের মালিক ইকবাল হোসেন। তিনি মঙ্গলবার শ্রমিক দিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়েছেন। আর গাছের গোড়াগুলো মাটি ও আগাছা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ফলে হঠাৎ দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। 

করাতকলের মালিক ইকবাল হোসেন জানান, তাঁর করাতকলটি খানপুর মধ্যপাড়া গ্রামে। একই ওয়ার্ডে কৃষক লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আয়নাল মণ্ডল সড়কের ১৮টি ইউক্যালিপটাসগাছের জন্য ১৫ দিন আগে তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এই গাছগুলো তিনি আজ শ্রমিক দিয়ে কেটে নিয়েছেন। 

তবে অভিযুক্ত কৃষক লীগের সাবেক নেতা আয়নাল মণ্ডল গাছগুলো তাঁর নিজের বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘একসময় গাছগুলো আমি লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন গাছের পাতা জমিতে পড়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য ১৮টি গাছ করাতকলের মালিক ইকবাল হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।’ 

খানপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, গাছগুলো সরকারি সড়কের। এগুলো কোনো ব্যক্তি কাটতে পারে না। তাই সেগুলো জব্দ করে হেফাজতে নিয়ে তাঁর করাতকলের চত্বরে রেখেছি। 

খানপুর ইউপির চেয়ারম্যান পিয়ার হোসেন বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে আমার জানা ছিল না। তবে যত দূর জানি, গাছগুলো রাস্তা প্রশস্তকরণের আগেই লাগানো হয়েছিল। তবে এখন যেহেতু এসব সরকারি সম্পদ, কোনো ব্যক্তির কেটে নেওয়ার সুযোগ নেই।’ 

জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছ কাটা বা জব্দ করার বিষয়ে আমি অবগত নই। এ রকম ঘটে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত