রিমন রহমান, রাজশাহী

আট মাস ধরে মজুরি পান না রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকেরা। ঈদের আগে মজুরির টাকা পাবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই রোজায় তাহলে সংসার চলছে কীভাবে, এমন প্রশ্নে কারখানার প্রিন্টিং শাখার কর্মচারী জয়নাল আবেদীন লালন বলেন, ‘ইফতার কিংবা সাহ্রিতে কোনো দিন শাক, আলু ভর্তা, ডিম ভাজিই ভরসা। ইফতারে হয়তো মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে নিই। কখনোবা ভাত থাকলেই সেটাই খেয়ে নিই।’
জয়নাল বলেন, ‘কোনো দিন খাই, কোনো দিন খেতে পারি না। এই অবস্থায় সংসার চলছে। ধারদেনা অনেক হয়ে গেছে। দোকানদারও আর বাকি দিতে চান না। আমাদের দৈনিক বেতন ৩০০ টাকা। এতে কি হয়? এক কেজি আটা এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এক কেজি চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তাহলে কীভাবে আমাদের সংসার চলে?’
‘ঈদের আগে বেতন পাব বলেও তো মনে হচ্ছে না। তিন রোজাতে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, আজ ১৪ রোজা। আর কয়েক দিন বাদে ঈদ। সন্তানদের জামা-কাপড়ও বা কিনব কীভাবে জানা নেই।’ বলেন জয়নাল।
রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত এই রেশম কারখানাটি ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহীর রেশমের ঐতিহ্য ফেরাতে এটি আবার চালু হয় ২০১৮ সালে। এরপর পুরোনো দক্ষ শ্রমিকদের অনেকেই কাজে ফিরেছেন। এখন কারখানার ৯টি লুমে কাপড় উৎপাদন চলছে। মাসে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিটার রেশম কাপড় উৎপাদন হচ্ছে। কারখানার কয়েকটি শাখায় এখন কাজ করছেন ৩৭ জন শ্রমিক। তাঁরা ঠিকমতো মজুরি পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটছে তাঁদের।
কারখানার শ্রমিক মোসা. মুন্নির ২৫ বছরের ছেলে জিম দুই মাস আগে মারা গেছেন বিনা চিকিৎসায়। জন্ডিসে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য কারখানায় পাওনা টাকার মধ্যে অন্তত দুই হাজার চেয়েও পাননি মুন্নি।
মুন্নির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আট মাস থেকে বেতন নাই। সংসার খুব কষ্ট করে চলে। আমার বাচ্চা মরে গেল, ওরা টাকা দিল না। এরা মায়া-দয়া কিছু বুঝে না। এখানকার মাথাও ভালো না। যে কারখানা চালায় সেও ভালো না। আমরা কী করে চলছি এই রোজা-রমজানের দিনে কারও কি কোনো চিন্তা আছে? ওরা তো বেতন পাচ্ছে, ওদের তো চিন্তা নাই। চিন্তা তো আমাদের। আজ দিব, কাল দিব, পরশু দিব বলেও বেতন দেয় না।’
ছেলের কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুন্নি। চোখের পানি মুছতে মুছতে মুন্নি বলতে থাকলেন, ‘আমার যে ছেলে মরে গেল, আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলাম তা-ও দিল না। বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলে মারা গেল। এই দুঃখ কোথায় থুবো? এরা কোনো চিন্তাভাবনায় করে না।’
প্রিন্টিং শাখার শ্রমিক পারুল বেগম বলেন, ‘আটটা মাস চলছে, একটা টাকা পাইনি আমরা। বেতনের কথা বলতে গেলে চলে যেতে বলে। আমাদের দিন চলছে খুব কষ্টে। কোনো দিন খাই, কোনো দিন খাই না। যেদিন জুটাতে পারছি সেদিন খাচ্ছি, না পারলে খাচ্ছি না। ছোট বাচ্চাদের যেমন ঘোরায়, সে রকম আমাদের দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে।’
এই কারখানার শ্রমিকদের কিছু দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। আর যাঁরা লুম মেশিনে কাপড় বোনান, তাঁরা প্রতি গজের জন্য পান ৫০ টাকা। তাঁরা মাসে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকার কাজ করতে পারেন। উৎপাদিত কাপড় কারখানার প্রধান ফটকের পাশে শো-রুম থেকে বিক্রি করে টাকা জমা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। কিন্তু শ্রমিকেরা মজুরি পাচ্ছেন না।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক শামসুল আলম বললেন, ‘কাপড় বুনে আমরা মাসে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা তুলতে পারি। এই বেতনও এত দিন বন্ধ। খুবই কষ্টকর অবস্থা আমাদের। বাড়ির জিনিসপত্রও বিক্রি করতে হয়েছে। এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সামনে ঈদ, ঈদ তো আমাদের হবে না। কঠিন অবস্থা। আন্দোলন করলাম। তা-ও লাভ হলো না।’
বন্ধ হওয়ার আগে এই কারখানায় ৩১ বছর কাজ করেছেন আশরাফ আলী। নতুন করে চালুর পর আবার কাজ করছেন তিনি। আশরাফ বলেন, ‘কারখানা চালাবে এ রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের মার্কেট ধরতে হবে, সে চিন্তাও নাই। সামনে ঈদ, কী অবস্থা আমাদের? কর্মকর্তারা পোলাও-বিরিয়ানি খাবে, ওরাই খাক। ঈদের আগেও আমাদের বেতন দেয়নি। আটটা মাস চিন্তা করেন, আমরা বেতনই বা পাই কয় টাকা? আটটা মাস চলছে কীভাবে?’
সানোয়ার হোসেন আগে এখানে কাজ করেছেন ২৫ বছর। কারখানা চালুর পর ২০১৮ সালে আবার এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে বেতন পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি। যদি হয় জুন-জুলাইয়ের পর, নতুন বাজেট পাস হলে। তার আগে কোনো নিশ্চয়তা নাই। এখানকার এমপি ফজলে হোসেন বাদশাও কিছু করছেন না। বলছেন, দেন-দরবার করছি, কোনো রেজাল্ট নাই। আসছেন, ঘুরছেন-ফিরছেন চলে যাচ্ছেন।’
সানোয়ার বলেন, ঈদ নিয়ে রেশম কারখানায় বাড়তি কাপড় উৎপাদনেরও কোনো পরিকল্পনা নেই কর্তৃপক্ষের।
সানোয়ার আরও বলেন, ‘ঈদের আগে মানুষের একটা পরিকল্পনা থাকে। এখানে কিচ্ছু নাই। আমি নিজে বলেছি যে স্যার ঈদের মার্কেটটা ধরেন। ধরল না। এখন বন্ধ করে দিলেই বাঁচে।’
আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং রেশম কারখানার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক কাজী মাসুদ রেজা বলেন, বাংলাদেশে শুধু এখানেই খাঁটি রেশম কাপড় উৎপাদন হয়। তাই এর চাহিদা অনেক বেশি। এবার ঈদের আগেও অন্য বছরের তুলনায় বেশি কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভালোভাবেই কারখানা সচল রাখার পরিকল্পনা আছে।
শ্রমিকদের মজুরি না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারখানা চালু করা হয়েছে ১৭-১৮ বছর পরে বন্ধ থাকার পরে। কিন্তু সরকারিভাবে কীভাবে চালানো হবে, সে রকম কোনো সিস্টেমে আনা হয়নি। ভবিষ্যতে কোনো পরিকল্পনায় এনে ভালো করে চালানো হবে। আমাদের বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের মহাপরিচালক বলেছেন যেহেতু ঈদ আসন্ন, অন্তত তিন মাসের বেতনের যেন ব্যবস্থা করা হয়। আমরা ঈদের আগে এ টাকাটা দেওয়ার আশা করছি।’

আট মাস ধরে মজুরি পান না রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকেরা। ঈদের আগে মজুরির টাকা পাবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই রোজায় তাহলে সংসার চলছে কীভাবে, এমন প্রশ্নে কারখানার প্রিন্টিং শাখার কর্মচারী জয়নাল আবেদীন লালন বলেন, ‘ইফতার কিংবা সাহ্রিতে কোনো দিন শাক, আলু ভর্তা, ডিম ভাজিই ভরসা। ইফতারে হয়তো মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে নিই। কখনোবা ভাত থাকলেই সেটাই খেয়ে নিই।’
জয়নাল বলেন, ‘কোনো দিন খাই, কোনো দিন খেতে পারি না। এই অবস্থায় সংসার চলছে। ধারদেনা অনেক হয়ে গেছে। দোকানদারও আর বাকি দিতে চান না। আমাদের দৈনিক বেতন ৩০০ টাকা। এতে কি হয়? এক কেজি আটা এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এক কেজি চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তাহলে কীভাবে আমাদের সংসার চলে?’
‘ঈদের আগে বেতন পাব বলেও তো মনে হচ্ছে না। তিন রোজাতে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, আজ ১৪ রোজা। আর কয়েক দিন বাদে ঈদ। সন্তানদের জামা-কাপড়ও বা কিনব কীভাবে জানা নেই।’ বলেন জয়নাল।
রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত এই রেশম কারখানাটি ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহীর রেশমের ঐতিহ্য ফেরাতে এটি আবার চালু হয় ২০১৮ সালে। এরপর পুরোনো দক্ষ শ্রমিকদের অনেকেই কাজে ফিরেছেন। এখন কারখানার ৯টি লুমে কাপড় উৎপাদন চলছে। মাসে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিটার রেশম কাপড় উৎপাদন হচ্ছে। কারখানার কয়েকটি শাখায় এখন কাজ করছেন ৩৭ জন শ্রমিক। তাঁরা ঠিকমতো মজুরি পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটছে তাঁদের।
কারখানার শ্রমিক মোসা. মুন্নির ২৫ বছরের ছেলে জিম দুই মাস আগে মারা গেছেন বিনা চিকিৎসায়। জন্ডিসে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য কারখানায় পাওনা টাকার মধ্যে অন্তত দুই হাজার চেয়েও পাননি মুন্নি।
মুন্নির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আট মাস থেকে বেতন নাই। সংসার খুব কষ্ট করে চলে। আমার বাচ্চা মরে গেল, ওরা টাকা দিল না। এরা মায়া-দয়া কিছু বুঝে না। এখানকার মাথাও ভালো না। যে কারখানা চালায় সেও ভালো না। আমরা কী করে চলছি এই রোজা-রমজানের দিনে কারও কি কোনো চিন্তা আছে? ওরা তো বেতন পাচ্ছে, ওদের তো চিন্তা নাই। চিন্তা তো আমাদের। আজ দিব, কাল দিব, পরশু দিব বলেও বেতন দেয় না।’
ছেলের কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুন্নি। চোখের পানি মুছতে মুছতে মুন্নি বলতে থাকলেন, ‘আমার যে ছেলে মরে গেল, আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলাম তা-ও দিল না। বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলে মারা গেল। এই দুঃখ কোথায় থুবো? এরা কোনো চিন্তাভাবনায় করে না।’
প্রিন্টিং শাখার শ্রমিক পারুল বেগম বলেন, ‘আটটা মাস চলছে, একটা টাকা পাইনি আমরা। বেতনের কথা বলতে গেলে চলে যেতে বলে। আমাদের দিন চলছে খুব কষ্টে। কোনো দিন খাই, কোনো দিন খাই না। যেদিন জুটাতে পারছি সেদিন খাচ্ছি, না পারলে খাচ্ছি না। ছোট বাচ্চাদের যেমন ঘোরায়, সে রকম আমাদের দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে।’
এই কারখানার শ্রমিকদের কিছু দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। আর যাঁরা লুম মেশিনে কাপড় বোনান, তাঁরা প্রতি গজের জন্য পান ৫০ টাকা। তাঁরা মাসে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকার কাজ করতে পারেন। উৎপাদিত কাপড় কারখানার প্রধান ফটকের পাশে শো-রুম থেকে বিক্রি করে টাকা জমা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। কিন্তু শ্রমিকেরা মজুরি পাচ্ছেন না।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক শামসুল আলম বললেন, ‘কাপড় বুনে আমরা মাসে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা তুলতে পারি। এই বেতনও এত দিন বন্ধ। খুবই কষ্টকর অবস্থা আমাদের। বাড়ির জিনিসপত্রও বিক্রি করতে হয়েছে। এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সামনে ঈদ, ঈদ তো আমাদের হবে না। কঠিন অবস্থা। আন্দোলন করলাম। তা-ও লাভ হলো না।’
বন্ধ হওয়ার আগে এই কারখানায় ৩১ বছর কাজ করেছেন আশরাফ আলী। নতুন করে চালুর পর আবার কাজ করছেন তিনি। আশরাফ বলেন, ‘কারখানা চালাবে এ রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের মার্কেট ধরতে হবে, সে চিন্তাও নাই। সামনে ঈদ, কী অবস্থা আমাদের? কর্মকর্তারা পোলাও-বিরিয়ানি খাবে, ওরাই খাক। ঈদের আগেও আমাদের বেতন দেয়নি। আটটা মাস চিন্তা করেন, আমরা বেতনই বা পাই কয় টাকা? আটটা মাস চলছে কীভাবে?’
সানোয়ার হোসেন আগে এখানে কাজ করেছেন ২৫ বছর। কারখানা চালুর পর ২০১৮ সালে আবার এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে বেতন পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি। যদি হয় জুন-জুলাইয়ের পর, নতুন বাজেট পাস হলে। তার আগে কোনো নিশ্চয়তা নাই। এখানকার এমপি ফজলে হোসেন বাদশাও কিছু করছেন না। বলছেন, দেন-দরবার করছি, কোনো রেজাল্ট নাই। আসছেন, ঘুরছেন-ফিরছেন চলে যাচ্ছেন।’
সানোয়ার বলেন, ঈদ নিয়ে রেশম কারখানায় বাড়তি কাপড় উৎপাদনেরও কোনো পরিকল্পনা নেই কর্তৃপক্ষের।
সানোয়ার আরও বলেন, ‘ঈদের আগে মানুষের একটা পরিকল্পনা থাকে। এখানে কিচ্ছু নাই। আমি নিজে বলেছি যে স্যার ঈদের মার্কেটটা ধরেন। ধরল না। এখন বন্ধ করে দিলেই বাঁচে।’
আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং রেশম কারখানার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক কাজী মাসুদ রেজা বলেন, বাংলাদেশে শুধু এখানেই খাঁটি রেশম কাপড় উৎপাদন হয়। তাই এর চাহিদা অনেক বেশি। এবার ঈদের আগেও অন্য বছরের তুলনায় বেশি কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভালোভাবেই কারখানা সচল রাখার পরিকল্পনা আছে।
শ্রমিকদের মজুরি না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারখানা চালু করা হয়েছে ১৭-১৮ বছর পরে বন্ধ থাকার পরে। কিন্তু সরকারিভাবে কীভাবে চালানো হবে, সে রকম কোনো সিস্টেমে আনা হয়নি। ভবিষ্যতে কোনো পরিকল্পনায় এনে ভালো করে চালানো হবে। আমাদের বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের মহাপরিচালক বলেছেন যেহেতু ঈদ আসন্ন, অন্তত তিন মাসের বেতনের যেন ব্যবস্থা করা হয়। আমরা ঈদের আগে এ টাকাটা দেওয়ার আশা করছি।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।
২৫ মিনিট আগে
শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
৩১ মিনিট আগে
বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।
৩৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা অমান্য করলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানান, মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো পুলিশ সদস্য ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রতিটি টিমের ইনচার্জ—যে পদেই থাকুন না কেন—দায়িত্ব পালনসংক্রান্ত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য তাঁর মোবাইল ফোন সক্রিয় রাখবেন।
ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা এখন অগ্রাধিকার।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দায়িত্ব পালনের সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অপরাধ প্রতিরোধ বা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় অনেক সদস্যকে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। তাই দায়িত্ব পালনের সময় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা অমান্য করলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানান, মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো পুলিশ সদস্য ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রতিটি টিমের ইনচার্জ—যে পদেই থাকুন না কেন—দায়িত্ব পালনসংক্রান্ত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য তাঁর মোবাইল ফোন সক্রিয় রাখবেন।
ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা এখন অগ্রাধিকার।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দায়িত্ব পালনের সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অপরাধ প্রতিরোধ বা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় অনেক সদস্যকে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। তাই দায়িত্ব পালনের সময় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

‘ইফতার কিংবা সাহ্রিতে কোনো দিন শাক, আলু ভর্তা, ডিম ভাজিই ভরসা। ইফতারে হয়তো মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে নিই। কখনোবা ভাত থাকলেই সেটাই খেয়ে নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।
২৫ মিনিট আগে
শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
৩১ মিনিট আগে
বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।
৩৮ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

রাজধানীর সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক আজকের পত্রিকাকে আকরাম হোসেন সুমন জানান, তাঁর ভাই তারিক সাইফ মামুন কখনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না বা সন্ত্রাসী ছিলেন না। মিডিয়া ও পুলিশ তাঁকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে। এর বিচারও হবে একদিন। মামুন ঢাকায় ব্যবসা করতেন। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করার চেষ্টা করতেন। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।
মামুন বিএনপির একজন কর্মী ছিলেন জানিয়ে ছোট ভাই বলেন, ঢাকায় তিনি ব্যবসা করতেন। আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এ সময় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন করার ইচ্ছার কথাও জানান ছোট ভাই।
মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মোবারক কলোনি রয়েছে। মূলত গ্রামের বাড়ি মিরিকপুর। ছোটবেলা থেকে ঢাকায় বসবাস করতেন মামুন। গ্রামে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলেও থাকতেন না।
নিহত মামুনের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের তেমন কেউ থাকেন না।

রাজধানীর সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক আজকের পত্রিকাকে আকরাম হোসেন সুমন জানান, তাঁর ভাই তারিক সাইফ মামুন কখনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না বা সন্ত্রাসী ছিলেন না। মিডিয়া ও পুলিশ তাঁকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে। এর বিচারও হবে একদিন। মামুন ঢাকায় ব্যবসা করতেন। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করার চেষ্টা করতেন। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।
মামুন বিএনপির একজন কর্মী ছিলেন জানিয়ে ছোট ভাই বলেন, ঢাকায় তিনি ব্যবসা করতেন। আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এ সময় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন করার ইচ্ছার কথাও জানান ছোট ভাই।
মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মোবারক কলোনি রয়েছে। মূলত গ্রামের বাড়ি মিরিকপুর। ছোটবেলা থেকে ঢাকায় বসবাস করতেন মামুন। গ্রামে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলেও থাকতেন না।
নিহত মামুনের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের তেমন কেউ থাকেন না।

‘ইফতার কিংবা সাহ্রিতে কোনো দিন শাক, আলু ভর্তা, ডিম ভাজিই ভরসা। ইফতারে হয়তো মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে নিই। কখনোবা ভাত থাকলেই সেটাই খেয়ে নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
১১ মিনিট আগে
শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
৩১ মিনিট আগে
বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।
৩৮ মিনিট আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) লেখা একটি কবিতার বই বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় ইউএনওর লেখা বই শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। শিক্ষকেরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমেদের নির্দেশে মাসিক সমন্বয় সভা ও স্যানিটেশনবিষয়ক সভায় ১৬৯ জন প্রধান শিক্ষকের হাতে ওই বই তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি বইয়ের মূল্য হিসেবে নেওয়া হয় নগদ ১৫০ টাকা। শিক্ষকদের কাছে ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার বই বিক্রি করা হয়।
শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা বইটির মলাটে লেখকের নাম বলা হয়েছে ‘মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম’, যিনি নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বইয়ের নাম ‘পথহীন প্রান্তরে’, যা একটি কবিতার বই।
৭০ নম্বর পাথুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সমন্বয় সভায় বইটি নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় সভায় উপস্থিত সব শিক্ষকের হাতে একটি করে বই দিয়েছেন এবং ১৫০ টাকা করে মূল্য নিয়েছেন। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, না কিনলে চাকরিতে সমস্যা হতে পারে। এই ভয়ে বইটি নিয়েছি।’
দক্ষিণ কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দাস বলেন, ‘আমাকে বই নিতে বলা হয়। আমি চাইনি, কিন্তু দেখি, সবাই টাকা দিয়ে ইউএনওর লেখা বই নিচ্ছে। তাই আমিও ১৫০ টাকা দিয়ে বই নিয়েছি।’
৩২ নম্বর ঘনমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘সমন্বয় সভায় উপস্থিত সবাইকে বই নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমদ বলেন, ‘আমাদের ইউএনও স্যার তাঁর লেখা বই শিক্ষকদের হাতে দিতে বলেছেন। তাই বই দিয়ে প্রতি বইয়ে ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’ বই বিক্রি করে কোনো কমিশন পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কমিশন খাইনি। ইউএনও ডেকে আমার হাতে বিক্রির জন্য বইগুলো দিয়েছেন।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমার লেখা বই কাউকে চাপিয়ে দেওয়া বা বিক্রি করা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।’

পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) লেখা একটি কবিতার বই বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় ইউএনওর লেখা বই শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। শিক্ষকেরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমেদের নির্দেশে মাসিক সমন্বয় সভা ও স্যানিটেশনবিষয়ক সভায় ১৬৯ জন প্রধান শিক্ষকের হাতে ওই বই তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি বইয়ের মূল্য হিসেবে নেওয়া হয় নগদ ১৫০ টাকা। শিক্ষকদের কাছে ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার বই বিক্রি করা হয়।
শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা বইটির মলাটে লেখকের নাম বলা হয়েছে ‘মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম’, যিনি নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বইয়ের নাম ‘পথহীন প্রান্তরে’, যা একটি কবিতার বই।
৭০ নম্বর পাথুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সমন্বয় সভায় বইটি নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় সভায় উপস্থিত সব শিক্ষকের হাতে একটি করে বই দিয়েছেন এবং ১৫০ টাকা করে মূল্য নিয়েছেন। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, না কিনলে চাকরিতে সমস্যা হতে পারে। এই ভয়ে বইটি নিয়েছি।’
দক্ষিণ কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দাস বলেন, ‘আমাকে বই নিতে বলা হয়। আমি চাইনি, কিন্তু দেখি, সবাই টাকা দিয়ে ইউএনওর লেখা বই নিচ্ছে। তাই আমিও ১৫০ টাকা দিয়ে বই নিয়েছি।’
৩২ নম্বর ঘনমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘সমন্বয় সভায় উপস্থিত সবাইকে বই নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমদ বলেন, ‘আমাদের ইউএনও স্যার তাঁর লেখা বই শিক্ষকদের হাতে দিতে বলেছেন। তাই বই দিয়ে প্রতি বইয়ে ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’ বই বিক্রি করে কোনো কমিশন পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কমিশন খাইনি। ইউএনও ডেকে আমার হাতে বিক্রির জন্য বইগুলো দিয়েছেন।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমার লেখা বই কাউকে চাপিয়ে দেওয়া বা বিক্রি করা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।’

‘ইফতার কিংবা সাহ্রিতে কোনো দিন শাক, আলু ভর্তা, ডিম ভাজিই ভরসা। ইফতারে হয়তো মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে নিই। কখনোবা ভাত থাকলেই সেটাই খেয়ে নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।
২৫ মিনিট আগে
বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।
৩৮ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি বলেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশে উপাচার্য স্বাক্ষর করে ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠান। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে একই দিনে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চিঠিটি ইস্যু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রেজিস্ট্রার দপ্তর চিঠি ইস্যু করেনি। এতে বিভাগটির ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানতে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মার রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার তখন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যেমন নীতিগতভাবে অনুচিত, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের পরিপন্থী।
রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করে রাকসুর ভিপি বলেন, রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের অশোভন আচরণের তদন্ত করে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে।
এর আগে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ ও রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। রাতে এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিলেন। রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন। এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি বলেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশে উপাচার্য স্বাক্ষর করে ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠান। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে একই দিনে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চিঠিটি ইস্যু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রেজিস্ট্রার দপ্তর চিঠি ইস্যু করেনি। এতে বিভাগটির ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানতে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মার রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার তখন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যেমন নীতিগতভাবে অনুচিত, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের পরিপন্থী।
রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করে রাকসুর ভিপি বলেন, রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের অশোভন আচরণের তদন্ত করে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে।
এর আগে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ ও রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। রাতে এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিলেন। রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন। এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

‘ইফতার কিংবা সাহ্রিতে কোনো দিন শাক, আলু ভর্তা, ডিম ভাজিই ভরসা। ইফতারে হয়তো মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে নিই। কখনোবা ভাত থাকলেই সেটাই খেয়ে নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।
২৫ মিনিট আগে
শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
৩১ মিনিট আগে