নাটোর প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সামনেই জেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন।
চারজন সংসদ সদস্য এবং কবির বিন আনোয়ারের সামনেই নেতা-কর্মীরা চেয়ার ছুড়ে মারেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সংলগ্ন জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেক শেখের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন কবির বিন আনোয়ার। খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তখন কার্যালয় ছেড়ে চলে যান হামলাকারীরা।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবার সভা শুরু হয়। এ ঘটনার পর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন দুপুরে কান্দিভিটুয়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন করেন কবির বিন আনোয়ার। উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদসহ সাত উপজেলা ও আট পৌর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
শুরুতেই বক্তব্য দেন কবির বিন আনোয়ার। হঠাৎ সভাস্থলে বসা নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এমপি শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক রমজানের দুই অনুসারীর মধ্যে। কবির বিন আনোয়ার তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে তিনি মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে চাইলে নেতা কর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় এমপি শিমুলের এক অনুসারী মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানে উপস্থিত রমজানের অনুসারীরা। তাঁরা সভা থেকে শিমুল অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর শিমুলের আরও কিছু অনুসারী বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে রামদা, লাঠি ও কাঠের চেলা হাতে কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। তারা কবির বিন আনোয়ারের সামনেই চেয়ারে বসা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মারপিট শুরু করে।
এ সময় চার সংসদ সদস্যকে নিয়ে কার্যালয় সংলগ্ন যুগ্ম সম্পাদক মালেক শেখের কার্যালয়ে অবস্থান নেন কবির বিন আনোয়ার। কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করা সংসদ সদস্য শিমুলের আরও কিছু অনুসারী পুনরায় কার্যালয়ে ঢুকে বাঁশ ও লাঠি হাতে উপস্থিত নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় এমপি শিমুল ছুটে এসে তাঁর অনুসারীদের হামলা থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কয়েকজনকে মারধর করতেও দেখা যায় তাঁকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পড়লে শিমুল অনুসারীরা দ্রুত কার্যালয় ত্যাগ করে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা ও পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভা জেনেও বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এমপি শিমুল। শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা শুরুতে এর প্রতিবাদ করিনি। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শিমুল বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন। যারা হামলা চালিয়েছে তারা কেউ আওয়ামী লীগের কর্মী না। এমপি শিমুল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁর কাছে এ ঘটনার কৈফিয়ত তলব করা হবে।’
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘তাঁর কোনো কর্মী সংঘর্ষে জড়ায়নি। বরং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক চেয়ারে বসা নিয়ে উপস্থিত কর্মীদের মারপিট করেছেন। শিমুল বলেন, ‘যারা চেয়ার আর লাঠি ছুড়েছে নেতা-কর্মীদের ওপর, তাদের গায়ে হাত তুলে আমি নিজে থামিয়েছি। তারপর সভা পুনরায় শুরু ও সমাপ্ত হয়। আমি ভূমিকা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।’
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনো স্থান নেই। কেউ চেইন অব কমান্ড না মেনে চললে এমনটা ভাবার কারণ নেই সে আওয়ামী লীগে অতি প্রয়োজনীয়। এখন নিজেদের মধ্যে বিরোধে না জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়। শেখ হাসিনার জন্য কাজ করতে হবে প্রতিটি নেতা-কর্মীকে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সামনেই জেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন।
চারজন সংসদ সদস্য এবং কবির বিন আনোয়ারের সামনেই নেতা-কর্মীরা চেয়ার ছুড়ে মারেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সংলগ্ন জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেক শেখের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন কবির বিন আনোয়ার। খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তখন কার্যালয় ছেড়ে চলে যান হামলাকারীরা।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবার সভা শুরু হয়। এ ঘটনার পর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন দুপুরে কান্দিভিটুয়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন করেন কবির বিন আনোয়ার। উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদসহ সাত উপজেলা ও আট পৌর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
শুরুতেই বক্তব্য দেন কবির বিন আনোয়ার। হঠাৎ সভাস্থলে বসা নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এমপি শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক রমজানের দুই অনুসারীর মধ্যে। কবির বিন আনোয়ার তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে তিনি মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে চাইলে নেতা কর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় এমপি শিমুলের এক অনুসারী মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানে উপস্থিত রমজানের অনুসারীরা। তাঁরা সভা থেকে শিমুল অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর শিমুলের আরও কিছু অনুসারী বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে রামদা, লাঠি ও কাঠের চেলা হাতে কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। তারা কবির বিন আনোয়ারের সামনেই চেয়ারে বসা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মারপিট শুরু করে।
এ সময় চার সংসদ সদস্যকে নিয়ে কার্যালয় সংলগ্ন যুগ্ম সম্পাদক মালেক শেখের কার্যালয়ে অবস্থান নেন কবির বিন আনোয়ার। কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করা সংসদ সদস্য শিমুলের আরও কিছু অনুসারী পুনরায় কার্যালয়ে ঢুকে বাঁশ ও লাঠি হাতে উপস্থিত নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় এমপি শিমুল ছুটে এসে তাঁর অনুসারীদের হামলা থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কয়েকজনকে মারধর করতেও দেখা যায় তাঁকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পড়লে শিমুল অনুসারীরা দ্রুত কার্যালয় ত্যাগ করে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা ও পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভা জেনেও বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এমপি শিমুল। শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা শুরুতে এর প্রতিবাদ করিনি। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শিমুল বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন। যারা হামলা চালিয়েছে তারা কেউ আওয়ামী লীগের কর্মী না। এমপি শিমুল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁর কাছে এ ঘটনার কৈফিয়ত তলব করা হবে।’
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘তাঁর কোনো কর্মী সংঘর্ষে জড়ায়নি। বরং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক চেয়ারে বসা নিয়ে উপস্থিত কর্মীদের মারপিট করেছেন। শিমুল বলেন, ‘যারা চেয়ার আর লাঠি ছুড়েছে নেতা-কর্মীদের ওপর, তাদের গায়ে হাত তুলে আমি নিজে থামিয়েছি। তারপর সভা পুনরায় শুরু ও সমাপ্ত হয়। আমি ভূমিকা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।’
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনো স্থান নেই। কেউ চেইন অব কমান্ড না মেনে চললে এমনটা ভাবার কারণ নেই সে আওয়ামী লীগে অতি প্রয়োজনীয়। এখন নিজেদের মধ্যে বিরোধে না জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়। শেখ হাসিনার জন্য কাজ করতে হবে প্রতিটি নেতা-কর্মীকে।
আবদুল হালিম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব। সামনের জাতীয় নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করব। কিন্তু আমরা হিংসা বা ফ্যাসিবাদ সুযোগ পায়—এ ধরনের কোনো কাজে লিপ্ত হব না। ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস (আমরা ন্যায়বিচার চাই)।’ এ সময় উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন,
৬ মিনিট আগেআরাফাত বলেন, ‘আমি হিমেলের কাছে গেলে তিনি আমাকে গাড়ি আনতে বলেন। কিন্তু কোনো গাড়িচালক আসতে রাজি হননি। বহু কষ্টে একজনকে রাজি করিয়ে আনার পর এমদাদ পিস্তল বের করেন। আমি এমদাদের হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে দৌড় দিলে তিনি হিমেলের গলায় দা ধরে হত্যার হুমকি দেন। পরে আমি আবার পিস্তল দিয়ে দিই।’
১৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের পটিয়ায় শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতির কারণে ব্যাংকের চাকরি খোয়ানো মো. জাহাঙ্গীর আলম এবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদও হারিয়েছেন। সনদ জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।
৩৪ মিনিট আগেসামনে চমকপ্রদ বেশ কিছু ঘটনা ঘটবে। অনেক বিষয় আমি জানি। কিন্তু সেটির দুটি দিক আছে। একটা হলো সাময়িক কল্যাণ ও দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয়টিকে বলা যায়, কণ্টকময় পথ পাড়ি দিয়ে সাসটেইনেবল অ্যাচিভমেন্ট অর্জন করা।
৪১ মিনিট আগে