নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সিরাজগঞ্জে সরকার পতনের দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থী-জনতা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন অন্তত ৫ জন, সিরাজগঞ্জ শহরে মারা গেছেন ৩ জন। রায়গঞ্জে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান তাঁর উপজেলায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক রয়েছেন। তার নাম প্রদীপ কুমার। তবে তিনি কোন গণমাধ্যমে কাজ করেন তা তিনি জানাতে পারেননি।
নিহতদের মধ্যে ইউএনও আরও যাদের নাম জানিয়েছেন তারা হলেন-উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন সরকার, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ছরওয়ার লিটন ও তাঁর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন টিটো।
ইউএনও জানান, মৃতের সংখ্যা ছয়জন হতে পারে। তবে আরেকজনের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।
ইউএনও জানান, সকাল থেকে রায়গঞ্জ উপজেলা সদরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও পৌরসভা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন।
প্রেসক্লাবে ঢুকে সেখানেও ভাঙচুর চালিয়েছেন। সেখানে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। বিকেলের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
এদিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী (এসএস সড়ক) সড়কে সকাল থেকে থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। তিনি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে মারা যাওয়াদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক রঞ্জু রহমান রয়েছেন। অন্য দুজন হলেন-সুমন শেখ (২৮) এবং আব্দুল লতিফ (৪২)। তারা যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মী বলে বাচ্চু দাবি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এসএস সড়কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে দুই পক্ষের মধ্যে।
এ সময় এসএস সড়কে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া মুজিব সড়কে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরির বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এ ছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, জেলা পরিষদ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আন্দোলনকারীরা এনায়েতপুর থানা, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা, বেলকুচি ও উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েও আগুন দিয়েছেন। বিকেলের দিকে শহরের পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রতন কুমার জানান, এ হাসপাতালে বিকেল পর্যন্ত ১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ। হতাহতের সংখ্যা কত তা অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিকেলে বলেন, ‘আন্দোলনে কয়েকজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। খোঁজখবর নিচ্ছি। শহরের অবস্থা থমথমে থাকলেও এখন কোন সংঘর্ষ চলছে না।’
সিরাজগঞ্জে সরকার পতনের দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থী-জনতা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন অন্তত ৫ জন, সিরাজগঞ্জ শহরে মারা গেছেন ৩ জন। রায়গঞ্জে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান তাঁর উপজেলায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক রয়েছেন। তার নাম প্রদীপ কুমার। তবে তিনি কোন গণমাধ্যমে কাজ করেন তা তিনি জানাতে পারেননি।
নিহতদের মধ্যে ইউএনও আরও যাদের নাম জানিয়েছেন তারা হলেন-উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন সরকার, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ছরওয়ার লিটন ও তাঁর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন টিটো।
ইউএনও জানান, মৃতের সংখ্যা ছয়জন হতে পারে। তবে আরেকজনের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।
ইউএনও জানান, সকাল থেকে রায়গঞ্জ উপজেলা সদরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও পৌরসভা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন।
প্রেসক্লাবে ঢুকে সেখানেও ভাঙচুর চালিয়েছেন। সেখানে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। বিকেলের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
এদিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী (এসএস সড়ক) সড়কে সকাল থেকে থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। তিনি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে মারা যাওয়াদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক রঞ্জু রহমান রয়েছেন। অন্য দুজন হলেন-সুমন শেখ (২৮) এবং আব্দুল লতিফ (৪২)। তারা যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মী বলে বাচ্চু দাবি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এসএস সড়কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে দুই পক্ষের মধ্যে।
এ সময় এসএস সড়কে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া মুজিব সড়কে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরির বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এ ছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, জেলা পরিষদ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আন্দোলনকারীরা এনায়েতপুর থানা, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা, বেলকুচি ও উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েও আগুন দিয়েছেন। বিকেলের দিকে শহরের পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রতন কুমার জানান, এ হাসপাতালে বিকেল পর্যন্ত ১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ। হতাহতের সংখ্যা কত তা অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিকেলে বলেন, ‘আন্দোলনে কয়েকজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। খোঁজখবর নিচ্ছি। শহরের অবস্থা থমথমে থাকলেও এখন কোন সংঘর্ষ চলছে না।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৯ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১৬ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২১ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২৫ মিনিট আগে