রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
আর কেনই-বা স্বজন হয়ে উঠবেন না; শুধুই কি সেবা দেন তিনি। না। কারও চোখের কোণে জমে থাকা পানিও পরম মমতায় মুছে দেন আলেয়া বেগম। প্রায় এক যুগ এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের স্বজন হয়ে উঠেছেন তিনি।
আলেয়ার বাড়ি রাজশাহী নগরের হেতেমখাঁ কারিগরপাড়ায়। ২০০৬ সালে তিনি আয়া হিসেবে হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। চাকরি স্থায়ী নয়। প্রতিবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় কিছু জনবল নেয়। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবেই কাজ করেন তিনি। এ বছর তাঁর নিয়োগ হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে সে পরিচয় ছাপিয়ে অজ্ঞাতনামা রোগীদের কাছে আলেয়া হয়ে উঠেছেন একান্ত আপনজন।
আগে হাসপাতালের ওয়ার্ডের সামনেই বারান্দায় এসব রোগীদের সেবা দিয়ে যেতেন আলেয়া। গত বছর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ তাঁকে আলাদা একটি ওয়ার্ডই করে দিয়েছেন। অজ্ঞাতনামা রোগীদের অস্থায়ী ওয়ার্ড নামে সেই ওয়ার্ডে রয়েছে সাতটি শয্যা। এত দিন আলেয়া একাই পরিচয়হীন রোগীদের সামলে এসেছেন। ওয়ার্ডের সঙ্গে দুজন নারী সহকারীও পেয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সাতটি শয্যায় রয়েছে রোগী। ওয়ার্ডটি বেশ পরিচ্ছন্ন। দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়েই রোগীদের সেবা করছেন আলেয়া বেগম। এক বৃদ্ধের পায়ের ব্যান্ডেজ খুলতে খুলতে বলছিলেন, পায়ের ভেতর কতগুলো পোকা ছিল, আজকে নাই। আরাম হয়েছে?’ প্রশ্ন করেন বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ হ্যাঁসূচক মাথা নাড়েন।
অন্য বিছানায় থাকা বৃদ্ধ আলেয়াকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমার মেয়ে।’ পাশে হেসে উঠে আলেয়া বলেন, ‘নিজের নাম-পরিচয় বলতে পারে না; কিন্তু আমাকে মেয়ে ভাবে।’ বলতে বলতে তাঁর চোখের কোণেও জমে আনন্দাশ্রু। পাশে একটি শয্যায় শুয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন আরেক বৃদ্ধা। তাঁকে তুলে ওষুধ খাইয়ে দেন আলেয়া। অন্য শয্যায় পায়ে দগদগে ক্ষত নিয়ে এক তরুণী। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আলেয়া বললেন, ‘তিন মাস ধরে আছে। যাওয়ার জায়গা নাই। মনে হচ্ছে, একেও আমার বল্টুর মতো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া লাগবে।’
বল্টু ছেলে হয়ে উঠেছে আলেয়ার। এক যুগ আগে কিশোর বল্টুর দুটি পা ট্রেনে কাটা পড়ে। সুস্থ করে তোলার পর রেখে দেন নিজের কাছে। ওই তরুণীর বিষয়ে আলেয়া বললেন, ‘এই মেয়েটার যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। সুস্থ হলে সে আমার বাড়িতে থাকতে পারে। আগে বাসাবাড়িতে কাজ করত। সুস্থ হয়ে দরকার হলে তা-ই করবে।’
আলেয়া জানান, এখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহায়তা নিয়ে এ রোগীদের নাম-ঠিকানাও বের করছেন তিনি। তারপর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আগে অনেক অজ্ঞাতনামা রোগী মারা যাওয়ার পর লাশ মর্গে রেখে সিআইডির মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় বের করা হতো। সেটা দেখে আমি হাসপাতালের পরিচালকের কাছে চিঠি লিখি। অনুরোধ করি, মৃত্যুর পর এভাবে পরিচয় বের না করে আগেই সেটা করলে আমরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরাতে পারব। পরিচালক আমার অনুরোধ গ্রহণ করে সিআইডির সঙ্গে কথা বলেন। এখন আমি একটা অনুরোধ করে চিঠি লিখলেই সিআইডির সদস্যরা এসে আঙুলের ছাপ নিয়ে যান। অনেকের পরিচয় মেলে। আবার অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র করা থাকে না বলে আঙুলের ছাপ দিয়েও পরিচয় পাওয়া যায় না।’
আলেয়া জানান, এই রোগীদের সেবার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে। এ জন্য হাসপাতালে অবস্থিত সমাজসেবা অফিস থেকে কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া যায়। আলেয়া বলেন, তিনি যত দিন হাসপাতালে থাকবেন, তত দিন এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের সেবা করে যাবেন। বললেন, ‘নাম না থাকুক, তারাও তো মানুষ। তাদেরকেও তো দেখতে হবে।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলেয়া যা করছে, তা অত্যন্ত মানবিক। তার কাজ যাতে সুন্দরভাবে হয়, সে জন্য আলাদা একটা ওয়ার্ডই করে দিয়েছি। তার সঙ্গে আরও দুজনকে দিয়েছি। তাদের বেতন যেন নিয়মিত হয়, সেটা নিশ্চিত করেছি।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
আর কেনই-বা স্বজন হয়ে উঠবেন না; শুধুই কি সেবা দেন তিনি। না। কারও চোখের কোণে জমে থাকা পানিও পরম মমতায় মুছে দেন আলেয়া বেগম। প্রায় এক যুগ এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের স্বজন হয়ে উঠেছেন তিনি।
আলেয়ার বাড়ি রাজশাহী নগরের হেতেমখাঁ কারিগরপাড়ায়। ২০০৬ সালে তিনি আয়া হিসেবে হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। চাকরি স্থায়ী নয়। প্রতিবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় কিছু জনবল নেয়। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবেই কাজ করেন তিনি। এ বছর তাঁর নিয়োগ হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে সে পরিচয় ছাপিয়ে অজ্ঞাতনামা রোগীদের কাছে আলেয়া হয়ে উঠেছেন একান্ত আপনজন।
আগে হাসপাতালের ওয়ার্ডের সামনেই বারান্দায় এসব রোগীদের সেবা দিয়ে যেতেন আলেয়া। গত বছর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ তাঁকে আলাদা একটি ওয়ার্ডই করে দিয়েছেন। অজ্ঞাতনামা রোগীদের অস্থায়ী ওয়ার্ড নামে সেই ওয়ার্ডে রয়েছে সাতটি শয্যা। এত দিন আলেয়া একাই পরিচয়হীন রোগীদের সামলে এসেছেন। ওয়ার্ডের সঙ্গে দুজন নারী সহকারীও পেয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সাতটি শয্যায় রয়েছে রোগী। ওয়ার্ডটি বেশ পরিচ্ছন্ন। দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়েই রোগীদের সেবা করছেন আলেয়া বেগম। এক বৃদ্ধের পায়ের ব্যান্ডেজ খুলতে খুলতে বলছিলেন, পায়ের ভেতর কতগুলো পোকা ছিল, আজকে নাই। আরাম হয়েছে?’ প্রশ্ন করেন বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ হ্যাঁসূচক মাথা নাড়েন।
অন্য বিছানায় থাকা বৃদ্ধ আলেয়াকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমার মেয়ে।’ পাশে হেসে উঠে আলেয়া বলেন, ‘নিজের নাম-পরিচয় বলতে পারে না; কিন্তু আমাকে মেয়ে ভাবে।’ বলতে বলতে তাঁর চোখের কোণেও জমে আনন্দাশ্রু। পাশে একটি শয্যায় শুয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন আরেক বৃদ্ধা। তাঁকে তুলে ওষুধ খাইয়ে দেন আলেয়া। অন্য শয্যায় পায়ে দগদগে ক্ষত নিয়ে এক তরুণী। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আলেয়া বললেন, ‘তিন মাস ধরে আছে। যাওয়ার জায়গা নাই। মনে হচ্ছে, একেও আমার বল্টুর মতো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া লাগবে।’
বল্টু ছেলে হয়ে উঠেছে আলেয়ার। এক যুগ আগে কিশোর বল্টুর দুটি পা ট্রেনে কাটা পড়ে। সুস্থ করে তোলার পর রেখে দেন নিজের কাছে। ওই তরুণীর বিষয়ে আলেয়া বললেন, ‘এই মেয়েটার যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। সুস্থ হলে সে আমার বাড়িতে থাকতে পারে। আগে বাসাবাড়িতে কাজ করত। সুস্থ হয়ে দরকার হলে তা-ই করবে।’
আলেয়া জানান, এখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহায়তা নিয়ে এ রোগীদের নাম-ঠিকানাও বের করছেন তিনি। তারপর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আগে অনেক অজ্ঞাতনামা রোগী মারা যাওয়ার পর লাশ মর্গে রেখে সিআইডির মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় বের করা হতো। সেটা দেখে আমি হাসপাতালের পরিচালকের কাছে চিঠি লিখি। অনুরোধ করি, মৃত্যুর পর এভাবে পরিচয় বের না করে আগেই সেটা করলে আমরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরাতে পারব। পরিচালক আমার অনুরোধ গ্রহণ করে সিআইডির সঙ্গে কথা বলেন। এখন আমি একটা অনুরোধ করে চিঠি লিখলেই সিআইডির সদস্যরা এসে আঙুলের ছাপ নিয়ে যান। অনেকের পরিচয় মেলে। আবার অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র করা থাকে না বলে আঙুলের ছাপ দিয়েও পরিচয় পাওয়া যায় না।’
আলেয়া জানান, এই রোগীদের সেবার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে। এ জন্য হাসপাতালে অবস্থিত সমাজসেবা অফিস থেকে কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া যায়। আলেয়া বলেন, তিনি যত দিন হাসপাতালে থাকবেন, তত দিন এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের সেবা করে যাবেন। বললেন, ‘নাম না থাকুক, তারাও তো মানুষ। তাদেরকেও তো দেখতে হবে।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলেয়া যা করছে, তা অত্যন্ত মানবিক। তার কাজ যাতে সুন্দরভাবে হয়, সে জন্য আলাদা একটা ওয়ার্ডই করে দিয়েছি। তার সঙ্গে আরও দুজনকে দিয়েছি। তাদের বেতন যেন নিয়মিত হয়, সেটা নিশ্চিত করেছি।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
আর কেনই-বা স্বজন হয়ে উঠবেন না; শুধুই কি সেবা দেন তিনি। না। কারও চোখের কোণে জমে থাকা পানিও পরম মমতায় মুছে দেন আলেয়া বেগম। প্রায় এক যুগ এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের স্বজন হয়ে উঠেছেন তিনি।
আলেয়ার বাড়ি রাজশাহী নগরের হেতেমখাঁ কারিগরপাড়ায়। ২০০৬ সালে তিনি আয়া হিসেবে হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। চাকরি স্থায়ী নয়। প্রতিবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় কিছু জনবল নেয়। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবেই কাজ করেন তিনি। এ বছর তাঁর নিয়োগ হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে সে পরিচয় ছাপিয়ে অজ্ঞাতনামা রোগীদের কাছে আলেয়া হয়ে উঠেছেন একান্ত আপনজন।
আগে হাসপাতালের ওয়ার্ডের সামনেই বারান্দায় এসব রোগীদের সেবা দিয়ে যেতেন আলেয়া। গত বছর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ তাঁকে আলাদা একটি ওয়ার্ডই করে দিয়েছেন। অজ্ঞাতনামা রোগীদের অস্থায়ী ওয়ার্ড নামে সেই ওয়ার্ডে রয়েছে সাতটি শয্যা। এত দিন আলেয়া একাই পরিচয়হীন রোগীদের সামলে এসেছেন। ওয়ার্ডের সঙ্গে দুজন নারী সহকারীও পেয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সাতটি শয্যায় রয়েছে রোগী। ওয়ার্ডটি বেশ পরিচ্ছন্ন। দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়েই রোগীদের সেবা করছেন আলেয়া বেগম। এক বৃদ্ধের পায়ের ব্যান্ডেজ খুলতে খুলতে বলছিলেন, পায়ের ভেতর কতগুলো পোকা ছিল, আজকে নাই। আরাম হয়েছে?’ প্রশ্ন করেন বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ হ্যাঁসূচক মাথা নাড়েন।
অন্য বিছানায় থাকা বৃদ্ধ আলেয়াকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমার মেয়ে।’ পাশে হেসে উঠে আলেয়া বলেন, ‘নিজের নাম-পরিচয় বলতে পারে না; কিন্তু আমাকে মেয়ে ভাবে।’ বলতে বলতে তাঁর চোখের কোণেও জমে আনন্দাশ্রু। পাশে একটি শয্যায় শুয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন আরেক বৃদ্ধা। তাঁকে তুলে ওষুধ খাইয়ে দেন আলেয়া। অন্য শয্যায় পায়ে দগদগে ক্ষত নিয়ে এক তরুণী। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আলেয়া বললেন, ‘তিন মাস ধরে আছে। যাওয়ার জায়গা নাই। মনে হচ্ছে, একেও আমার বল্টুর মতো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া লাগবে।’
বল্টু ছেলে হয়ে উঠেছে আলেয়ার। এক যুগ আগে কিশোর বল্টুর দুটি পা ট্রেনে কাটা পড়ে। সুস্থ করে তোলার পর রেখে দেন নিজের কাছে। ওই তরুণীর বিষয়ে আলেয়া বললেন, ‘এই মেয়েটার যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। সুস্থ হলে সে আমার বাড়িতে থাকতে পারে। আগে বাসাবাড়িতে কাজ করত। সুস্থ হয়ে দরকার হলে তা-ই করবে।’
আলেয়া জানান, এখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহায়তা নিয়ে এ রোগীদের নাম-ঠিকানাও বের করছেন তিনি। তারপর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আগে অনেক অজ্ঞাতনামা রোগী মারা যাওয়ার পর লাশ মর্গে রেখে সিআইডির মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় বের করা হতো। সেটা দেখে আমি হাসপাতালের পরিচালকের কাছে চিঠি লিখি। অনুরোধ করি, মৃত্যুর পর এভাবে পরিচয় বের না করে আগেই সেটা করলে আমরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরাতে পারব। পরিচালক আমার অনুরোধ গ্রহণ করে সিআইডির সঙ্গে কথা বলেন। এখন আমি একটা অনুরোধ করে চিঠি লিখলেই সিআইডির সদস্যরা এসে আঙুলের ছাপ নিয়ে যান। অনেকের পরিচয় মেলে। আবার অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র করা থাকে না বলে আঙুলের ছাপ দিয়েও পরিচয় পাওয়া যায় না।’
আলেয়া জানান, এই রোগীদের সেবার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে। এ জন্য হাসপাতালে অবস্থিত সমাজসেবা অফিস থেকে কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া যায়। আলেয়া বলেন, তিনি যত দিন হাসপাতালে থাকবেন, তত দিন এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের সেবা করে যাবেন। বললেন, ‘নাম না থাকুক, তারাও তো মানুষ। তাদেরকেও তো দেখতে হবে।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলেয়া যা করছে, তা অত্যন্ত মানবিক। তার কাজ যাতে সুন্দরভাবে হয়, সে জন্য আলাদা একটা ওয়ার্ডই করে দিয়েছি। তার সঙ্গে আরও দুজনকে দিয়েছি। তাদের বেতন যেন নিয়মিত হয়, সেটা নিশ্চিত করেছি।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
আর কেনই-বা স্বজন হয়ে উঠবেন না; শুধুই কি সেবা দেন তিনি। না। কারও চোখের কোণে জমে থাকা পানিও পরম মমতায় মুছে দেন আলেয়া বেগম। প্রায় এক যুগ এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের স্বজন হয়ে উঠেছেন তিনি।
আলেয়ার বাড়ি রাজশাহী নগরের হেতেমখাঁ কারিগরপাড়ায়। ২০০৬ সালে তিনি আয়া হিসেবে হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। চাকরি স্থায়ী নয়। প্রতিবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় কিছু জনবল নেয়। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবেই কাজ করেন তিনি। এ বছর তাঁর নিয়োগ হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে সে পরিচয় ছাপিয়ে অজ্ঞাতনামা রোগীদের কাছে আলেয়া হয়ে উঠেছেন একান্ত আপনজন।
আগে হাসপাতালের ওয়ার্ডের সামনেই বারান্দায় এসব রোগীদের সেবা দিয়ে যেতেন আলেয়া। গত বছর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ তাঁকে আলাদা একটি ওয়ার্ডই করে দিয়েছেন। অজ্ঞাতনামা রোগীদের অস্থায়ী ওয়ার্ড নামে সেই ওয়ার্ডে রয়েছে সাতটি শয্যা। এত দিন আলেয়া একাই পরিচয়হীন রোগীদের সামলে এসেছেন। ওয়ার্ডের সঙ্গে দুজন নারী সহকারীও পেয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সাতটি শয্যায় রয়েছে রোগী। ওয়ার্ডটি বেশ পরিচ্ছন্ন। দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়েই রোগীদের সেবা করছেন আলেয়া বেগম। এক বৃদ্ধের পায়ের ব্যান্ডেজ খুলতে খুলতে বলছিলেন, পায়ের ভেতর কতগুলো পোকা ছিল, আজকে নাই। আরাম হয়েছে?’ প্রশ্ন করেন বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ হ্যাঁসূচক মাথা নাড়েন।
অন্য বিছানায় থাকা বৃদ্ধ আলেয়াকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমার মেয়ে।’ পাশে হেসে উঠে আলেয়া বলেন, ‘নিজের নাম-পরিচয় বলতে পারে না; কিন্তু আমাকে মেয়ে ভাবে।’ বলতে বলতে তাঁর চোখের কোণেও জমে আনন্দাশ্রু। পাশে একটি শয্যায় শুয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন আরেক বৃদ্ধা। তাঁকে তুলে ওষুধ খাইয়ে দেন আলেয়া। অন্য শয্যায় পায়ে দগদগে ক্ষত নিয়ে এক তরুণী। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আলেয়া বললেন, ‘তিন মাস ধরে আছে। যাওয়ার জায়গা নাই। মনে হচ্ছে, একেও আমার বল্টুর মতো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া লাগবে।’
বল্টু ছেলে হয়ে উঠেছে আলেয়ার। এক যুগ আগে কিশোর বল্টুর দুটি পা ট্রেনে কাটা পড়ে। সুস্থ করে তোলার পর রেখে দেন নিজের কাছে। ওই তরুণীর বিষয়ে আলেয়া বললেন, ‘এই মেয়েটার যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। সুস্থ হলে সে আমার বাড়িতে থাকতে পারে। আগে বাসাবাড়িতে কাজ করত। সুস্থ হয়ে দরকার হলে তা-ই করবে।’
আলেয়া জানান, এখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহায়তা নিয়ে এ রোগীদের নাম-ঠিকানাও বের করছেন তিনি। তারপর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আগে অনেক অজ্ঞাতনামা রোগী মারা যাওয়ার পর লাশ মর্গে রেখে সিআইডির মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় বের করা হতো। সেটা দেখে আমি হাসপাতালের পরিচালকের কাছে চিঠি লিখি। অনুরোধ করি, মৃত্যুর পর এভাবে পরিচয় বের না করে আগেই সেটা করলে আমরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরাতে পারব। পরিচালক আমার অনুরোধ গ্রহণ করে সিআইডির সঙ্গে কথা বলেন। এখন আমি একটা অনুরোধ করে চিঠি লিখলেই সিআইডির সদস্যরা এসে আঙুলের ছাপ নিয়ে যান। অনেকের পরিচয় মেলে। আবার অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র করা থাকে না বলে আঙুলের ছাপ দিয়েও পরিচয় পাওয়া যায় না।’
আলেয়া জানান, এই রোগীদের সেবার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে। এ জন্য হাসপাতালে অবস্থিত সমাজসেবা অফিস থেকে কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া যায়। আলেয়া বলেন, তিনি যত দিন হাসপাতালে থাকবেন, তত দিন এভাবেই অজ্ঞাতনামা রোগীদের সেবা করে যাবেন। বললেন, ‘নাম না থাকুক, তারাও তো মানুষ। তাদেরকেও তো দেখতে হবে।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলেয়া যা করছে, তা অত্যন্ত মানবিক। তার কাজ যাতে সুন্দরভাবে হয়, সে জন্য আলাদা একটা ওয়ার্ডই করে দিয়েছি। তার সঙ্গে আরও দুজনকে দিয়েছি। তাদের বেতন যেন নিয়মিত হয়, সেটা নিশ্চিত করেছি।’

আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, অপরাধী পারাপার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, অপরাধী পারাপার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, অপরাধী পারাপার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, অপরাধী পারাপার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এ সময় সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের পর সীমান্তের ‘জিরো লাইন’ এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অহেতুক সীমান্তের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে বিজিবি।
নির্বাচনের আগে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতপুর সীমান্তসংলগ্ন ২১টি বর্ডার আউটপোস্টে (বিওপি) অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তজুড়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠায় বিজিবির এই পদক্ষেপকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ও করিমপুর থানার সঙ্গে সীমান্তযুক্ত। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পদ্মা নদীর জলসীমা রয়েছে ১৭ দশমিক ১ কিলোমিটার। স্থলসীমান্তের ৫৮ দশমিক ৮ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও এখনো ২২ দশমিক ৭ কিলোমিটার সীমান্ত কাঁটাতারবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

বিজিবি জানিয়েছে, নির্বাচনকালে কোনো চিহ্নিত অপরাধী যেন সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগ বা দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পুশ ইনের মতো ঘটনা এড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে বিজিবি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু নির্বাচনকাল নয়, সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই যাতে নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে বিজিবি সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’ এ ছাড়া সন্দেহভাজন কাউকে দেখা গেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, অপরাধী পারাপার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এ সময় সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের পর সীমান্তের ‘জিরো লাইন’ এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অহেতুক সীমান্তের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে বিজিবি।
নির্বাচনের আগে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতপুর সীমান্তসংলগ্ন ২১টি বর্ডার আউটপোস্টে (বিওপি) অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তজুড়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠায় বিজিবির এই পদক্ষেপকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ও করিমপুর থানার সঙ্গে সীমান্তযুক্ত। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পদ্মা নদীর জলসীমা রয়েছে ১৭ দশমিক ১ কিলোমিটার। স্থলসীমান্তের ৫৮ দশমিক ৮ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও এখনো ২২ দশমিক ৭ কিলোমিটার সীমান্ত কাঁটাতারবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

বিজিবি জানিয়েছে, নির্বাচনকালে কোনো চিহ্নিত অপরাধী যেন সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগ বা দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পুশ ইনের মতো ঘটনা এড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে বিজিবি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু নির্বাচনকাল নয়, সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই যাতে নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে বিজিবি সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’ এ ছাড়া সন্দেহভাজন কাউকে দেখা গেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২৪ মিনিট আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর
১ ঘণ্টা আগেবড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগ হোসেন বড়াইগ্রাম উপজেলার চকবড়াইগ্রাম গ্রামের নাজমুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় শনিবার রাতে সোহাগের ভাই আবু হানিফ প্রতিবেশী আকাশ হোসেনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী আকাশ হোসেন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি থেকে বালু নামানোর কাজের কথা বলে সোহাগ হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। পরে ভোরে আকাশ হোসেন একাই বাড়ি ফিরে আসেন এবং সোহাগ পরে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান। তবে দুই দিনেও সোহাগ ফিরে না আসায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মা পারভীন বেগম বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে সোহাগ হোসেনের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আকাশ হোসেন পলাতক রয়েছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগ হোসেন বড়াইগ্রাম উপজেলার চকবড়াইগ্রাম গ্রামের নাজমুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় শনিবার রাতে সোহাগের ভাই আবু হানিফ প্রতিবেশী আকাশ হোসেনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী আকাশ হোসেন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি থেকে বালু নামানোর কাজের কথা বলে সোহাগ হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। পরে ভোরে আকাশ হোসেন একাই বাড়ি ফিরে আসেন এবং সোহাগ পরে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান। তবে দুই দিনেও সোহাগ ফিরে না আসায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মা পারভীন বেগম বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে সোহাগ হোসেনের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আকাশ হোসেন পলাতক রয়েছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন কত রোগী ভর্তি হয়। তাদের কেউ কেউ আসে একেবারে পরিচয়হীন। সঙ্গে স্বজন থাকে না, মেলে না ঠিকানা। সে সব মানুষের স্বজন হয়ে ওঠেন আলেয়া। পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তাদের। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে কতজনের মা হয়ে উঠেছেন, হয়েছেন মেয়ে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, অপরাধী পারাপার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে