জয়পুরহাট
মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
আলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহাতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত নীতিসহায়তা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
আলু ব্যবসায়ী আব্দুন নূর জানান, এম ইসরাত, সালামিন ফুডস, আরবি ও পুনট হিমাগার থেকে প্রতিদিন তিনি ৫০০-১০০০ বস্তা আলু কেনাবেচা করেন। এসব আলু তিনি পাঠান কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিন বছর ভালো লাভ হয়েছে। কিন্তু এবার প্রতিদিন বস্তাপ্রতি গড়ে এক থেকে দেড় টাকা লোকসান গুনছি। বাজার ওঠানামা করছে। একদিন ৫০ পয়সা লাভ হলেও পরদিন ১ টাকা লোকসান হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-৯৬০ টাকায়। অথচ সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০-৪২০ টাকা। গত বছর একই ওজনের বস্তার ভাড়া ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বস্তায় ৫০ পয়সা বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে। যা তাঁদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ বিদ্যুৎ-সংকট নেই, বিদ্যুতের ভাড়াও বাড়েনি, তা সত্ত্বেও প্রতি বস্তায় ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক।’
জেলার হিচমী কাজীপাড়ার কৃষক দিলীপ কুমার বলেন, ‘চরম কষ্ট করে ৩০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি সালামিন ফুডস হিমাগারে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪২০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। একদিকে বাজারদর নেই, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া—এই সংকটে কৃষক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে আবেদন আমাদের হিমাগার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট থেকে বাঁচান।’
কালাই পৌরসভার সড়াইল মহল্লার আলু ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ও নুরুল আমিন জানান, জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে এখনো প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ৩৫০-৩৬০ টাকা। অথচ জয়পুরহাটে তা ৪০০-৪২০ টাকায় উঠে গেল কী হিসাবে। তাঁরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন।
জানতে চাইলে এম ইশরাত হিমাগারের ব্যবস্থাপক রায়হান আলম বলেন, ‘এবার হিমাগারে ২ লাখ ৩০ হাজার বস্তা আলু রাখা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৮৫ বস্তা আনলোড হয়েছে, যেখানে গত বছর এ সময় পর্যন্ত হয়েছিল প্রায় ১৭ হাজার বস্তা।’
পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব ঘোষ বলেন, ‘কিছু কৃষক ঝুঁকি নিয়ে এবার বাড়িতেই আলু রেখেছেন। সেসব এখনো বিক্রি শেষ হয়নি। তাই হিমাগার থেকে আলু কম আনলোড হচ্ছে।’ তাঁরা দাবি করেন, সরকারি নির্দেশনা ও অন্যান্য হিমাগারের সঙ্গে মিল রেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ‘আমি হিমাগারমালিকদের নির্দেশ দিয়েছি, কৃষকের স্বার্থে যেন কেজি নয়, বস্তা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হয়। উপজেলার ১৩টি হিমাগারের মধ্যে অন্তত ৯টিতে ৩৫০-৩৬০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যদিও ২-৩টি হিমাগারে ৪০০-৪২০ টাকা নিচ্ছে—এমনটাই শুনেছি। যা হোক, খুব শিগগির তাঁদের ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জয়পুরহাটের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, এবার জেলায় ২১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হিমাগারের সংখ্যা ছিল ১৯টি।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্থানীয় কৃষক ও ছাত্র-জনতা কালাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আলুর ন্যায্যমূল্য ও হিমাগারের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্মারকলিপিও দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। ফলে, গত বছরের দরেই আলু সংরক্ষণের ভাড়া নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
আলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহাতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত নীতিসহায়তা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
আলু ব্যবসায়ী আব্দুন নূর জানান, এম ইসরাত, সালামিন ফুডস, আরবি ও পুনট হিমাগার থেকে প্রতিদিন তিনি ৫০০-১০০০ বস্তা আলু কেনাবেচা করেন। এসব আলু তিনি পাঠান কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিন বছর ভালো লাভ হয়েছে। কিন্তু এবার প্রতিদিন বস্তাপ্রতি গড়ে এক থেকে দেড় টাকা লোকসান গুনছি। বাজার ওঠানামা করছে। একদিন ৫০ পয়সা লাভ হলেও পরদিন ১ টাকা লোকসান হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-৯৬০ টাকায়। অথচ সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০-৪২০ টাকা। গত বছর একই ওজনের বস্তার ভাড়া ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বস্তায় ৫০ পয়সা বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে। যা তাঁদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ বিদ্যুৎ-সংকট নেই, বিদ্যুতের ভাড়াও বাড়েনি, তা সত্ত্বেও প্রতি বস্তায় ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক।’
জেলার হিচমী কাজীপাড়ার কৃষক দিলীপ কুমার বলেন, ‘চরম কষ্ট করে ৩০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি সালামিন ফুডস হিমাগারে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪২০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। একদিকে বাজারদর নেই, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া—এই সংকটে কৃষক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে আবেদন আমাদের হিমাগার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট থেকে বাঁচান।’
কালাই পৌরসভার সড়াইল মহল্লার আলু ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ও নুরুল আমিন জানান, জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে এখনো প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ৩৫০-৩৬০ টাকা। অথচ জয়পুরহাটে তা ৪০০-৪২০ টাকায় উঠে গেল কী হিসাবে। তাঁরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন।
জানতে চাইলে এম ইশরাত হিমাগারের ব্যবস্থাপক রায়হান আলম বলেন, ‘এবার হিমাগারে ২ লাখ ৩০ হাজার বস্তা আলু রাখা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৮৫ বস্তা আনলোড হয়েছে, যেখানে গত বছর এ সময় পর্যন্ত হয়েছিল প্রায় ১৭ হাজার বস্তা।’
পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব ঘোষ বলেন, ‘কিছু কৃষক ঝুঁকি নিয়ে এবার বাড়িতেই আলু রেখেছেন। সেসব এখনো বিক্রি শেষ হয়নি। তাই হিমাগার থেকে আলু কম আনলোড হচ্ছে।’ তাঁরা দাবি করেন, সরকারি নির্দেশনা ও অন্যান্য হিমাগারের সঙ্গে মিল রেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ‘আমি হিমাগারমালিকদের নির্দেশ দিয়েছি, কৃষকের স্বার্থে যেন কেজি নয়, বস্তা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হয়। উপজেলার ১৩টি হিমাগারের মধ্যে অন্তত ৯টিতে ৩৫০-৩৬০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যদিও ২-৩টি হিমাগারে ৪০০-৪২০ টাকা নিচ্ছে—এমনটাই শুনেছি। যা হোক, খুব শিগগির তাঁদের ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জয়পুরহাটের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, এবার জেলায় ২১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হিমাগারের সংখ্যা ছিল ১৯টি।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্থানীয় কৃষক ও ছাত্র-জনতা কালাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আলুর ন্যায্যমূল্য ও হিমাগারের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্মারকলিপিও দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। ফলে, গত বছরের দরেই আলু সংরক্ষণের ভাড়া নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
৩ মিনিট আগেরোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
১৩ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
১৬ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
১৯ মিনিট আগে