Ajker Patrika

জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থানের অভিযোগ, প্রক্টরকে বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম। ছবি: সংগৃহীত
নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। নূর-ই-আলম বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রক্টর নূর-ই-আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, তিনজন ছাত্রপ্রতিনিধিসহ সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই তদন্ত কমিটিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে সম্প্রতি একটি ফোনকল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে নূর-ই-আলমের মতো একটি কণ্ঠ এবং অচেনা আরেকজনের কথা শোনা যায়। ফোনকল রেকর্ডটিতে বলতে শোনা যায়, যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নেবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু যায় আসে না। এই ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রক্টর নূর-ই-আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। সোমবার সন্ধ্যায় কিছু শিক্ষার্থী নগরের চৌদ্দপাই এলাকায় ক্যাম্পাসের সামনে সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরদিন কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ ও উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এআই দিয়ে অডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, তিনি জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এর প্রমাণ তাঁর ফেসবুক আইডিতেই আছে। তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি যাচাই করার অনুরোধ করেন।

পরে তাঁর ফেসবুকে গিয়ে দেখা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৭ জুলাই তিনি প্রোফাইল পিকচার কালো করেছেন। পরদিন ১৮ জুলাই ‘সেভ বাংলাদেশি স্টুডেন্টস’ লেখা একটি ফটো কার্ড প্রোফাইল পিকচার করেছেন। ৩০ জুলাই লাল করেছেন প্রোফাইল পিকচার। ৩১ জুলাই আবার নিজের ছবির সঙ্গে ‘আমরা তোমাদের ভুলব না, সেভ বাংলাদেশি স্টুডেন্টস’ লেখা একটি ছবি প্রোফাইলে দিয়েছেন। এ ছাড়া আন্দোলনের পক্ষে তিনি বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিজের ফেসবুকে।

এ জে এম নূর-ই-আলম বলেন, ‘আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করি। আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই আমি নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের আইনি সেবা দিয়ে এসেছি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর আমি চলতি বছরে প্রক্টর হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটিতে আমি ছিলাম। আমি তাদের যাচাই-বাছাই করে সহায়তার জন্য নির্বাচিত করেছি। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলাম, এমন অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। এটা ষড়যন্ত্র।’

কারা ষড়যন্ত্র করছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং তারা আমাকে ফুল দিতে আসে। আমি বলেছি যে প্রক্টর সবার, এই শুভেচ্ছা নিতে পারব না। সম্প্রতি বিভাগের কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কারও করেছিলাম। তারপর থেকেই ষড়যন্ত্র।’

‘তারপরও অভিযোগ আসতেই পারে, কর্তৃপক্ষও সাময়িক বরখাস্ত করতে পারে; কিন্তু আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সেটা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’ যোগ করেন নূর-ই-আলম।

নূর-ই-আলমের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তাঁর নিজ বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘তিনি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন কি না, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে তিনি ছাত্রজীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখায় ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ করতেন। আমরা তাঁর অডিও শুনেছি, এটা আমাদের কাছে এআই দিয়ে তৈরি মনে হয়নি। এটা নিয়ে আমরাও আলোচনা করেছিলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্যাস নিতে গিয়ে আবারও অটোরিকশায় আগুন

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
কর্ণফুলীতে গ্যাস নিতে গিয়ে অটোরিকশায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্ণফুলীতে গ্যাস নিতে গিয়ে অটোরিকশায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গ্যাস নিতে গিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে আবারও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন ধরে গেছে। আজ রোববার উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকার ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, গ্যাস নিতে গেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. সাঈদুজ্জামান বলেন, ‘ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে গিয়ে অটোরিকশায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে কর্ণফুলী থানার সামনে একটি চলন্ত যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ও কেউ হতাহত হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৬০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জমির বিরোধ নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

আজ রোববার বিকেলে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আশপাশের কয়েক গ্রামের সালিসকারীরা চলে আসেন। সালিস বৈঠকে বসা নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশাখালি এলাকার লোকজন দুই দলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ও হেলমেট পরে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, কাতরা ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয় এবং তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমরা পিছু হটি। গ্রামবাসীকে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুবাইফেরত ৩২ মামলার আসামি বিমান থেকে নেমেই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সিলেট বিমানবন্দর থেকে ৩২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট বিমানবন্দর থেকে ৩২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুবাইফেরত মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। গতকাল শনিবার সিলেট বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার পটিয়া থানা-পুলিশের হেফাজতে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার রুহুল আমিন পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নগরীর ফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ২৭টি সিআর মামলা, একটি জিআর মামলা, চারটি সিআর সাজা ওয়ারেন্টসহ ৩২টি ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে।

এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কোতোয়ালি থানায় ১৯টি সিআর মামলা রয়েছে। একই থানায় আরও ছয়টি মামলার সাজা ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে

পুলিশ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে অধিকাংশই চেক প্রতারণার মামলা। মামলাগুলো বিচারাধীন অবস্থায় রুহুল আমিন পাঁচ বছর আগে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। সেখানে থাকাবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি মামলায় সাজা হয়। আদালত সাজা পরোয়ানা জারির পাশাপাশি তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকার পর দেশে ফেরেন ওই ব্যবসায়ী।

এ সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে না এসে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে যুবদল কর্মীকে হত্যায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম 
গ্রেপ্তার মো. রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার মো. রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল কর্মী আলমগীর ওরফে আলম হত্যার ঘটনায় মো. রাজু (২৮) নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রাজু আলমের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবক রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। আলম হত্যা মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই।

তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলমকে গুলি করার জন্য সন্ত্রাসীরা কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আলম হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাসেল খান (৪৩) এবং মো. হৃদয় (২৩) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন রশিদরপাড়া সড়কের কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন যুবদল কর্মী আলম। ঘটনার দিন পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন আলম। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। কবরস্থানের ঝোপের মাঝে লুকিয়ে ছিলেন সন্ত্রাসীরা। আলম সেখানে আসতেই গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আলমের আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদও (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আলমের বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত