Ajker Patrika

বৃত্তির চেক আটকে দিয়েছিল ব্যাংক, সংবাদ প্রকাশের পর টাকা পেল ছাত্রী

প্রতিনিধি, তানোর (রাজশাহী) 
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২১, ০০: ১৪
বৃত্তির চেক আটকে দিয়েছিল ব্যাংক, সংবাদ প্রকাশের পর টাকা পেল ছাত্রী

চাচার ঋণে গ্যারান্টর ছিলেন বাবা। এই কারণে এক ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা আটকে দিয়েছিল ব্যাংক। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন ব্যাংক ম্যানেজার। 

ভুক্তভোগী ছাত্রী রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির সানজিদা সুলতানা জয়া। পঞ্চম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সেই বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা জমা ছিল স্থানীয় সোনালী ব্যাংক মুন্ডুমালা হাট শাখায়। ২৯ জুলাই টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার মিঠুন কুমার দেব বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকে তোমার চাচা আতাউর রহমানের পুরোনো ক্ষুদ্র ঋণের বকেয়া রয়েছে। আর সেই ঋণের গ্যারান্টর তোমার বাবা। তাই তোমার বৃত্তির টাকা কেটে ঋণ পরিশোধে জমা করা হবে।’ 

ম্যানেজারের এই কথা শুনে ব্যাংকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে জয়া। আজকের পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পরই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। তানোর উপজেলা প্রশাসন, রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হয়। 

আজ সোমবার বিকেল ৫টায় তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও কার্যালয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় জয়ার হাতে বৃত্তির নগদ ৫ হাজার ৯০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। 

এ সময় রাজশাহী আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, মুন্ডুমালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি, সোনালী ব্যাংক মুন্ডুমালা হাটশাখার ম্যানেজার মিঠন কুমার দেব ছাড়াও ভুক্তভোগীর ছাত্রী সানজিদা সুলতানা জয়া ও তাঁর মা জেবুননেসা, তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, তানোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ইউএনও পংকজ চন্দ্র বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। আজ বিকেলে সবার উপস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। ছাত্রীর হাতে বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। 

দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে বৃত্তির টাকা হাতে পাওয়ায় খুশি স্কুল ছাত্রী সানজিদা সুলতানা জয়া। সে এই প্রতিবেদককে বলে, আমার কষ্ট দেখে সাংবাদিকরা আমাকে নিয়ে নিউজ করার পর ইউএনও স্যার তাঁর অফিসে ডেকে আমার বৃত্তির টাকা দিয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত