Ajker Patrika

রাজশাহী-১: নৌকার বিপক্ষের কর্মীদের ছবি তুলে রাখতে বলায় ক্ষুব্ধ মাহি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী-১: নৌকার বিপক্ষের কর্মীদের ছবি তুলে রাখতে বলায় ক্ষুব্ধ মাহি

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি। 

এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্যে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আপনারা কেউ কিছু লোকের কিছু কথায় ভয় পাবেন না। ৭ তারিখ সাজুগুজু করে উৎসবের মতো করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নিজের ভোটটা নিজে দেবেন। কারণ, কিছু মানুষ জানেন তাঁর জনপ্রিয়তা কতটুকু। এখানে যদি একটা কাকপক্ষিকেও জিজ্ঞেস করা হয় যে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁর জনপ্রিয়তা কতটুকু? আমার মনে হয়, ওনার থেকে অজনপ্রিয় মানুষ এই এলাকায় নেই। আশ্চর্য একটা বিষয়, একটা সিংহও যদি রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়, তাঁকে দেখে কেউ ভয় পাবে না যতটা না এই মানুষকে দেখে মানুষ ভয় পায়।’ 

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষকে এই ভয়ভীতি থেকে তাদের বাঁচানো আমার দায়িত্ব। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কে কি বলছেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ যদি কাজ করতে চায়, কাজ করতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কেন্দ্রীয় নেতারা—মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—তাঁরা অনেক মানবিক। তাঁরা এই শাসকের মতো না। তাঁদের কথা হচ্ছে—নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। তাঁরা একবারও বলেননি, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাঁদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহ, এ রকম কোনো তথ্য তো কেন্দ্র দেয়নি। আপনি কে যে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছেন?’ 

এমপি ফারুক চৌধুরীর উদ্দেশ্যে মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত নেতা-কর্মী আমার পক্ষে কাজ করছেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কাজ করছেন, তাঁদের নিয়ে আপনি মন্তব্য করেছেন ভিডিও করে রাখতে হবে, ছবি তুলে রাখতে হবে। কেন? আপনি কতদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন সেটা কিন্তু জানি। আপনি আগে কী ছিলেন, কোন দল করতেন সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। ওগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই-কাউকে ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করেন। নির্বাচনটা উৎসবমুখর হতে দেন। আপনি যে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এলাকায় একটা ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, সেটা কিন্তু এবার হবে না।’ 

ফারুক চৌধুরীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে বাধা দেবে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই আপনি কিন্তু বেশি তিড়িংবিড়িং কইরেন না। ঠিক আছে? এতদিন অনেক কিছু মানুষ সহ্য করেছে। এইবার আর করবে না। কারণ, সবকিছুর তো একটা শেষ আছে। অহংকার পতনের মূল। আপনার অহংকার, আপনার এই জমিদারি স্টাইল আপনাকে পতন করাবে। আপনার মতো শাসক এই এলাকার মানুষ আর চায় না। তারা একটা সাধারণ জনপ্রতিনিধি চায়। আপনার মতো না। তাই এই সমস্ত ভুলভাল তথ্য দেওয়া বন্ধ করেন।’ 

রাজনীতির মাঠে এসে ফারুক চৌধুরীর নানা বাঁধার কথা তুলে ধরে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাহি বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। কারণ, আমি নিজে প্রমাণ। যদি ভালোবাসতেন বঙ্গবঙ্গুর শতবর্ষ উপলক্ষে আমার আয়োজন করা টুর্নামেন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারতেন না। আপনার অত্যাচার আমি জানি। আপনি কীভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। আপনি পারেন নাই, পারবেন না। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছিলাম, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, আপনি ভয় পান। আপনার জনপ্রিয়তা নেই। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে, তারা আপনার চেয়ে বহুগুণে জনপ্রিয়, আপনারই এলাকায়।’ 

ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্প্রতি তারই এক অনুসারির মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘যেভাবে নিজের নেতা-কর্মীদেরই মোবাইল-টোবাইল ভাঙা শুরু করেছেন, এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে সব নেতাকর্মী আপনার চলে যাবে। কারণ, জনগণও আপনার সাথে নাই, আপনার নেতাকর্মীও আপনার সাথে নাই। নির্বাচনটা একটা উৎসবমুখর হতে দেন। জনগণ যাকে বেছে নেবে আমরা সেটা মেনে নেব। দশটা হুন্ডা, বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা-এই টাইপের নির্বাচন এবার হবে না। জনগণ এবার সোচ্চার। বিষয়টা মাথায় রাখবেন।’ 

এর আগে বুধবার রাতে এক নির্বাচনী সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা নৌকার বিরোধীতা করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে কাজে লাগবে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা নেতা-কর্মীদের কৌশলে ‘রাজাকার’ বলেও মন্তব্য করেন আসনের টানা তিনবারের এই এমপি।’ 

দলের কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা না থাকলেও ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন-যারা নৌকার বিপক্ষে যাবে তাদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতে হবে। দল তাদের ব্যাপারে কিছু করবে এবং সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’ 

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে দেশ স্বাধীন হতে না দেওয়া তারা হলেন রাজাকার। নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে যারা নির্বাচন করছেন তারাও রাজাকার। নৌকার পক্ষে যারা থাকবে তারা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ। নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করবে তারা আওয়ামী লীগ হতে পারবে না। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা প্রতিরোধ করেছিল, আমরা বাঙালিরা অন্য নামে ডাকি। আজকে আওয়ামী লীগের ও নৌকার বিজয়ের জায়গাকে যারা প্রতিরোধ করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার প্রতিরোধকারীরা আর এরা (স্বতন্ত্র প্রার্থী), এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এরা আমাদের দেশের কোনো মঙ্গলজনক মানুষ অবশ্যই না। যাদের দেখবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছে তাদের ছবি ও ভিডিও করে রাখবেন। আমাদের প্রয়োজনে লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়েতে চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের মিছিল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই এলাকায় মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এর কিছুক্ষণ পর ওই এলাকা দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দিকে যাওয়া একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে আধা ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তবে তার আগেই সড়ক থেকে সটকে পড়ে দুষ্কৃতকারীরা।

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মিছিলের ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড পেজে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শতাধিক লোক হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় মিছিল করছে। মিছিলের সম্মুখভাগে থাকা এক ব্যক্তির দুই হাতে ককটেল দেখা যায়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ট্রাকে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। তা ছাড়া মিছিলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মাঠে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরের সিংড়ায় আ.লীগের মশাল মিছিল, গ্রেপ্তার ৯

নাটোর প্রতিনিধি 
আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা লকডাউনের সমর্থনে গভীর রাতে নাটোরের সিংড়ায় মশাল মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সিংড়ার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে এই মিছিল করেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। পরে মিছিলের ভিডিও ফেসবুকে বিভিন্ন আইডিতে পোস্ট করেন তাঁরা।

মিছিলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।

নাটোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতা পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসবুকে সরব আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা ফেসবুকে সরব রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা ফেসবুকে সরব রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন জামালপুরের ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা।

নেতা-কর্মীদের অনেকেই নিজ নিজ ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করেছেন।

ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, ‘জয় বাংলা ১৩ নভেম্বর’ লিখে ফেসবুকে একটি রঙিন স্টিকার পোস্ট করেছেন ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা যুঁথী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায়।

গত ৩১ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী আবিদা সুলতানা যুঁথীর বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল সাজুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে যুঁথীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

অপর দিকে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিসংবলিত ফেসবুকে রঙিন স্টিকার পোস্ট করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম। এতে তিনি লেখেন, ‘শেখ হাসিনার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘চল চল ঢাকা চল, লকডাউন সফল করো’, ‘১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন সফল হোক’। জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ইসলামপুর পৌর শহরের দরিয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে দক্ষিণ কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। দীর্ঘদিন করাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেও জাহাঙ্গীরকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল মোর্শেদ হ্যাপি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউল হক জুয়েলের ফেসবুকে মন্তব্য পাওয়া গেছে।

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইমরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে কী ধরনের পোস্ট করেছে, তা দেখিনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত। এ ছাড়া ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টদাতাদের বিষয়েও কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে গভীর রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় এই বিক্ষোভ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। পরে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘কিছু যুবক হঠাৎ মহাসড়কে নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। তবে এর আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরে টহল আরও বাড়ানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত