নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
দিনভর অবরুদ্ধ থাকার পর রাতে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) রুটিন দায়িত্বের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে রুয়েটের অর্ধশতাধিক শিক্ষক তাঁদের পদোন্নতির দাবিতে রুটিন দায়িত্বের ভিসি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে অবরুদ্ধ করেন। ভিসির কার্যালয়ে শিক্ষকেরা মেঝেতে বসে ছিলেন দীর্ঘ সময়। দিনভরই চলছিল আলোচনা। কিন্তু রুটিন দায়িত্বের ভিসি হিসেবে পদোন্নতি দিতে না পারার কারণ বোঝাতে ব্যর্থ হলে রাতে তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরই দপ্তর ছেড়ে চলে যান ড. সাজ্জাদ হোসেন। রাত ৯টার পর রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে সুনসান নীরবতা দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ আগেও এখানে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছিল।
রাতে আজকের পত্রিকাকে পদত্যাগের বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন ড. সাজ্জাদ হোসেন।
গত বছরের ৩০ জুলাই আগের ভিসির মেয়াদ শেষ হলে রুয়েটের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক এই পদ শূন্য হয়ে যায়। এরপর ১০ মাস থেকে রুটিন দায়িত্বের অতিরিক্ত ভিসির দায়িত্ব পালন করছিলেন অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, ১১ মাস ধরে ক্যাম্পাসে ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ ছাড়া সব শর্ত পূরণ করেও গত ১৫ মাসে অন্তত ৮০ জন শিক্ষক তাঁদের ন্যায্য পদোন্নতি ও আপগ্রেডেশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সকালে অর্ধশতাধিক শিক্ষক পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতার সঙ্গে শিক্ষকেরা ভিসির দপ্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় রুটিন দায়িত্বের ভিসিকে পদোন্নতির বিষয়টি বললে তাঁর হাতে কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানান। এর পর থেকে থেকেই শিক্ষকেরা ড. সাজ্জাদের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি তাঁকে তাঁর দপ্তর থেকে বের হতে দিচ্ছিলেন না।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বিজ্ঞপ্তির পর আর কোনো নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের একমাত্র এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টির নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও থমকে আছে। এভাবে চলতে থাকলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে রুয়েট। এ জন্য তাঁরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ ভিসি নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানো অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রবিউল আউয়াল বলেন, ‘ড. সাজ্জাদ হোসেনকে রুটিন দায়িত্বের ভিসি নিয়োগে রুয়েটের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়। নিয়মে উল্লেখ আছে, প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভিসির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু তারপরও তাঁকে দিয়েই দীর্ঘ ১০ মাস থেকে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছিলেন। অথচ তাঁর কারণেই ক্যাম্পাসের ছাত্র-শিক্ষকেরা নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।’ রুয়েটের অচলাবস্থা কাটাতে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি রুটিন দায়িত্বে ভিসি নিযুক্ত হয়েছিলাম। আমরা পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁরা এটা বুঝতে চাননি। তাঁরা মনে করছিলেন যে আমি থাকার কারণে নিয়মিত ভিসিও নিয়োগ হচ্ছে না। তাই আমি পদত্যাগ করি, এটা তাঁরা চাচ্ছিলেন। এ কারণে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘পদত্যাগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিমকে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবেন।’
দিনভর অবরুদ্ধ থাকার পর রাতে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) রুটিন দায়িত্বের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে রুয়েটের অর্ধশতাধিক শিক্ষক তাঁদের পদোন্নতির দাবিতে রুটিন দায়িত্বের ভিসি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে অবরুদ্ধ করেন। ভিসির কার্যালয়ে শিক্ষকেরা মেঝেতে বসে ছিলেন দীর্ঘ সময়। দিনভরই চলছিল আলোচনা। কিন্তু রুটিন দায়িত্বের ভিসি হিসেবে পদোন্নতি দিতে না পারার কারণ বোঝাতে ব্যর্থ হলে রাতে তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরই দপ্তর ছেড়ে চলে যান ড. সাজ্জাদ হোসেন। রাত ৯টার পর রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে সুনসান নীরবতা দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ আগেও এখানে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছিল।
রাতে আজকের পত্রিকাকে পদত্যাগের বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন ড. সাজ্জাদ হোসেন।
গত বছরের ৩০ জুলাই আগের ভিসির মেয়াদ শেষ হলে রুয়েটের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক এই পদ শূন্য হয়ে যায়। এরপর ১০ মাস থেকে রুটিন দায়িত্বের অতিরিক্ত ভিসির দায়িত্ব পালন করছিলেন অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, ১১ মাস ধরে ক্যাম্পাসে ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ ছাড়া সব শর্ত পূরণ করেও গত ১৫ মাসে অন্তত ৮০ জন শিক্ষক তাঁদের ন্যায্য পদোন্নতি ও আপগ্রেডেশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সকালে অর্ধশতাধিক শিক্ষক পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতার সঙ্গে শিক্ষকেরা ভিসির দপ্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় রুটিন দায়িত্বের ভিসিকে পদোন্নতির বিষয়টি বললে তাঁর হাতে কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানান। এর পর থেকে থেকেই শিক্ষকেরা ড. সাজ্জাদের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি তাঁকে তাঁর দপ্তর থেকে বের হতে দিচ্ছিলেন না।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বিজ্ঞপ্তির পর আর কোনো নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের একমাত্র এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টির নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও থমকে আছে। এভাবে চলতে থাকলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে রুয়েট। এ জন্য তাঁরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ ভিসি নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানো অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রবিউল আউয়াল বলেন, ‘ড. সাজ্জাদ হোসেনকে রুটিন দায়িত্বের ভিসি নিয়োগে রুয়েটের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়। নিয়মে উল্লেখ আছে, প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভিসির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু তারপরও তাঁকে দিয়েই দীর্ঘ ১০ মাস থেকে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছিলেন। অথচ তাঁর কারণেই ক্যাম্পাসের ছাত্র-শিক্ষকেরা নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।’ রুয়েটের অচলাবস্থা কাটাতে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি রুটিন দায়িত্বে ভিসি নিযুক্ত হয়েছিলাম। আমরা পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁরা এটা বুঝতে চাননি। তাঁরা মনে করছিলেন যে আমি থাকার কারণে নিয়মিত ভিসিও নিয়োগ হচ্ছে না। তাই আমি পদত্যাগ করি, এটা তাঁরা চাচ্ছিলেন। এ কারণে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘পদত্যাগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিমকে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবেন।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৫ ঘণ্টা আগে