Ajker Patrika

রাজশাহী সিটি করপোরেশন

বেতন কম দেওয়ায় কর্মচারীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দেয় না রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। এই অবস্থায় শ্রমিকেরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। দ্রুত দাবি মানা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাজ ফেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ সময় বক্তারা জানান, অস্থায়ী দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি বাড়িয়ে কয়েক মাস আগে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সেখানে দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের দৈনিক ৭৫০ টাকা ও অদক্ষদের ৭০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এটি বাস্তবায়ন করেনি।

বিক্ষোভে উপস্থিত শ্রমিক সাব্বির হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের দৈনিক ৭৫০ টাকা ও অদক্ষদের ৭০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৪৮৪ টাকা।

শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

একাধিক শ্রমিক জানান, গত শুক্রবার ছুটির দিনেও তাঁরা মজুরি পান না। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীরা মাস শেষে বড়জোর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পান, যা দিয়ে তাঁদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

বিক্ষোভকালে প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা নগর ভবনের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড কার্যালয়ে কর্মরত শ্রমিকেরা ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে এক মাসের মধ্যে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে আশ্বাস বাস্তবায়নে গড়িমসি হলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকেরা।

শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পরই রাসিকের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ এ বিষয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। রাসিকের সচিবকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এই কমিটি শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।

সে অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর কথা। কিন্তু প্রায় দুই মাসেও কমিটি কোনো বৈঠক করেনি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুতই সভা করে কমিটি তাঁদের মতামত দেবে। তারপর শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

রাসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদকে ফোন করা হলে তিনিও তা ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত